স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ‘ফ্যাক্ট চেক’ মূল শক্তি

  • সাব্বিন হাসান
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

 

সারা বিশ্বে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক প্রকৃত অর্থে ‘অসম্পাদিত’। যার মাধ্যমে সমাজে থেকে থেকেই গুজব আর বিভ্রান্তিও ছড়ায়। তাই মিডিয়াকে প্রোপাগান্ডা বিমুখ করতে ফ্যাক্ট চেক ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) সাংবাদিকদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। পিআইবি পরিচালিত দুদিনের প্রশিক্ষণ সমাপন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সাংবাদিকদের ‘জ্যাক অব অল ট্রেড বাট মাস্টার অব জার্নালিজম’ হতে আহ্বান জানান দৈনিক বাংলাদেশের খবর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া।

বিজ্ঞাপন

সভাপ্রধান প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিনিয়তই নানা রকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই খবর উপস্থাপনে ফ্যাক্ট চেক ছাড়াও ক্রস চেকের বিষয়ে ডিজিটাল সাংবাদিকদের আরও সুদক্ষ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

শনিবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সম্মেলন কেন্দ্রে আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) সদস্যদের নিয়ে দুদিনের ‘সাংবাদিকতায় ফ্যাক্ট চেক’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খবরের সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ে ফ্যাক্ট চেক স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা না ছড়াতে ক্রস চেক না করে কোনো সংবাদ প্রকাশ অনুচিত। সংবাদ প্রকাশ বা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতাকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে।

সভাপ্রধান ও পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আইসিটি সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব সংগঠন বিআইজেএফ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রযুক্তি জ্ঞানই মূল পরিচালক। তাই বিআইজেএফ সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সবার আগে ‘ড্রোন’ সাংবাদিকতার বিষয়ে জানাতে চাই। আইসিটি সাংবাদিকদের যন্ত্রনির্ভর প্রতিবেদনের বদলে জনজীবনের প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে বেশি কাজ করার সুযোগ আছে। আইসিটি বিষয়ে লেখার ভাষা হবে সহজ ও নমনীয়। যা সাধারণ পাঠকের বোধগম্য হবে। দৈনিক পত্রিকার শুধু নির্দিষ্টস্থান জুড়ে বা সপ্তাহে এক দিন নয়, প্রতিদিনের বিশেষ অংশে তথ্যপ্রযুক্তির খবর জানানো উচিত।

‘আবেগ’ ও ‘বিনয়’ দেখিয়ে কীভাবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা যায় সে বিষয়েও কথা বলেন বক্তারা।

বিআইজেএফ সদস্যদের জন্য আগামীতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানে পিআইবি’র আরও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতার মানোন্নয়নে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) দায়িত্ব পালন করে আসছে। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। যার প্রকৃত বাস্তবায়নে ডিজিটাল গণমাধ্যমই প্রধান শক্তি। পিআইবি নিয়মিত বিআইজেএফ সদস্যদের জন্য ই-লার্নিং, ড্রোন জার্নালিজম, সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা, ডেটা জার্নালিজম, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও মোবাইল সাংবাদিকতাসহ সমসাময়িক বিষয়ে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দুদিনের ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন এএফপি বাংলাদেশ (ফ্যাক্ট চেক) এডিটর কদরুদ্দীন শিশির ও ফ্যাক্ট চেকার মুহাম্মদ আলী মাজেদ। প্রশিক্ষণ সমাপনে সভাপ্রধান জাফর ওয়াজেদ, প্রধান অতিথি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।

সমাপন অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ভূইয়া এনাম লেনিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরমান, কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান লিমন ও নির্বাহী সদস্য এস এম ইমদাদুল হক, পিআইবি সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমুল আহসান ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।