নেটওয়ার্ক বিপর্যয়: গ্রামীণফোনের গোঁজামিল!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণে দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চরম ভোগান্তির শিকার হন গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয় ঘটে। এই সময় গ্রাহকরা ভয়েস কল, এসএসএস ও ইন্টারনেট সেবা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। ব্যাহত হয় অপারেটরটির নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সেবা। বিঘ্নিত হয় মোবাইল ব্যাংকিং, রাইড শেয়ার, অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর কার্যক্রম। এতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হন গ্রাহকরা।

তবে এত বড় নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের ঘটনার পরও গ্রামীণফোন কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি গ্রাহকদের। প্রযুক্তিখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ফাইবার কাটা পড়ার ঘটনা বলে গ্রামীণফোন আসল কারণ ধামাচাপা দিচ্ছে।

নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের দিন তাৎক্ষণিক মন্তব্যে ও অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন দাবি করে, ঢাকা থেকে গাজীপুর সড়কে, অ্যালেঙ্গা থেকে জামালপুর সড়কের মধ্যে এবং টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ রেলপথে কেবল তিনটি কাটা পড়ে, যেগুলোর তিনটিই ব্যাকবোন ফাইবার কেবল। ওই কেবলগুলো কাটা পড়ায় এই বিপর্যয় ঘটে। তবে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গ্রামীণফোনের এ অভিযোগ নাচক করে দিয়েছে।

অন্যদিকে একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রামীণফোন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। নেটওয়ার্ক উন্নয়নের নামে হুয়াওয়ের ডাটা সেন্টারের সঙ্গে সংযোগ বসানোর সময় তাদের মূল কার্যালয়ে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গ্রাহকদের উন্নতমানের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পরিষেবা দিতে গ্রামীণফোন ও হুয়াওয়ের মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় গ্রামীণফোন তার নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কাজ করছে। হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক ডাটা সার্ভারে সঙ্গে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বসানোর কাজ হচ্ছে। হুয়াওয়ের সার্ভার ডাউন হওয়ায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিভ্রাট শুরু হয়।

নেটওয়ার্ক বিপর্যয় নিয়ে প্রযুক্তিবিদদের মধ্যেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, দেশের মাত্র ৩টা জায়গায় ফাইবার কাটা পড়ায় সারা দেশের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক। তাদের আভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিপর্যয়ের যে কারণ দেখিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য মনে হয় না।

গ্রামীণফোনের সঙ্গে নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কাজের কারণে নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছে হুয়াওয়ে। তারা ‘বিষয়টিকে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য’ বলে দাবি করেছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার নেটওয়ার্ক সচল হওয়ার পর গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও ইয়াসির আজমান স্যোশাল মিডিয়ায় অপারেটরটি হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ভিডিও বার্তা দেন।

আরও পড়ুন: নেটওয়ার্ক বিভ্রাট: গ্রামীণফোনের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা!

ঘটনাটিকে তিনি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ অ্যাখ্যা দিয়ে তিনটি ফাইবার কেটে যাওয়ার কথা জানান। তবে ইয়াসির আজমান নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণ সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি। তিনি তার বক্তব্যে কেন ফাইবার কাটা পড়ল, কোন বিভাগের সংস্কার কাজের জন্য ফাইবার কাটা পড়ল, সংস্কার কাজ কারা পরিচালনা করছিল; এসব কোন কিছু-ই উল্লেখ করেননি। দায়সারা একটি বক্তব্য দিয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।

ইয়াসির আজমান তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের টেলিযোগাযোগ খাতে একটা বড় ঘটনা ঘটে গেছে। অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, আয়ত্ত্বে থাকে না। আমরা আমাদের গ্রাহকদের যে বিটিএস (সাধারণ অর্থে টাওয়ার) দিয়ে কানেক্টেড করে থাকি সেই বিটিএসগুলো যার সাথে কানেক্টেড থাকে সেটাকে আমরা ফাইবার দ্বারা কানেক্টেড রাখি। এই ফাইবারগুলো রাস্তা ও রেললাইন দিয়ে যায়। আমরা এগুলো ভাড়া নিয়ে থাকি। অনেক সময়ই বিভিন্ন কারণে এগুলো কাটা পড়ে থাকে। আমাদের যেই ডেটা সেন্টার আমরা কয়েকটা ফাইবার দিয়ে সংযুক্ত রাখি। যেন একটা কেটে গেলে আরেকটা দিয়ে আমাদের নেটওয়ার্ক আপ রাখা যায়। এ রকম ফাইবার কাট অহরহই হয়ে থাকে বাংলাদেশে, যখন বিভিন্ন রকমের নির্মাণ কাজ চলে। শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর সব জায়গাতেই। কিন্তু আমি বলেছি দুর্ভাগ্য কারণ একই সাথে তিনটা ফাইবার কেটে গিয়েছে। এরকম হওয়াটা খুবই অস্বাভাবিক, কিন্তু সেটাই হয়েছে। যার জন্যে নেটওয়ার্ক কানেকশনের বাইরে ছিল।

নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের ঘটনায় গ্রামীণফোন সত্য গোপন করে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ে জিপি’র খোড়া যুক্তি মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। যদি টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জে ফাইবার ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হয় তাহলে সারা দেশে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় হলো কেন। ওই ফাইবার যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট অথবা ফাইবার অ্যাট হোম হয়ে থাকে তাহলে অন্য অপারেটরদের একইভাবে নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়ার কথা কিন্তু তা হয়নি। জিপি ৩৫ ভাগ ফাইবার কানেকশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সার্ভিস দিয়ে থাকে। তারা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে মোবাইল নেটওয়ার্ক সক্রিয় করে রাখে। যদি ধরে নিই সাময়িক সময়ের জন্য ফাইবার কানেকশন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহলেও তারা মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সার্ভিস দিতে পারতো।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমাদের ধারণা গ্রামীণফোন সত্য গোপন করেছে। হতে পারে তাদের সুইচিং অপারেশনে বড় কোনো বিপর্যয় ঘটেছে। কমিশনের উচিত দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত সত্য বের করা। সেইসঙ্গে গ্রাহকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া।

স্মার্টফোনের নতুন অভিজ্ঞতায় ফানটাচ ওএস১৩



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেবেন? ক্যামেরা, র্যাম-রম, নাকি আউটলুক?  অনেকেই আছেন যারা প্রথমেই যাচাই করেন স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমটি কেমন। কারণ স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কিংবা সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অনেকাংশে নির্ভর করে অপারেটিং সিস্টেমের ওপর।

বর্তমানে সেরা অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ১২ এর জুড়ি মেলা ভার। গ্রাহকের কাস্টমাইজেশনের সুবিধা সমৃদ্ধ অ্যান্ড্রয়েড ১২ তে রয়েছে নতুন কালার এক্সট্রাকশন ফিচার। যা ওয়ালপেপারের প্রাইমারি কালার বুঝে নিয়ে, সেই অনুযায়ী  সিস্টেম কালার ঠিক করে নেবে। এমনকি উইজেটের সাইজ, কালার, ডিজাইনে এসেছে নতুনত্ব। সাথে রয়েছে একাধিক প্রাইভেসি ফিচার। এই অপারেটিং সিস্টেমসমৃদ্ধ স্মার্টফোন অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় অনেক ফাস্ট।

গ্রাহকের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। ভিভোর ভি২৭ই এবং ভি২৭ স্মার্টফোনে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১২ সমৃদ্ধ ফানটাচ ওএস ১৩। যা ব্যবহারকারীদের দিচ্ছে দারুণ অভিজ্ঞতা।

প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য এই স্মার্টফোনে রয়েছে এক্সক্লুসিভ পোর্ট্রটে এলগরিদম ‘অরা লাইট’ সমৃদ্ধ ক্যামেরা সেন্সর। রয়েছে ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) এবং ইআইএস (ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সিস্টেম। যা যেকোনো ছবি কিংবা ভিডিওকে প্রাণবন্ত ভাবে উপস্থাপন করবে।

ভালো মানের প্রসেসর, বিশাল স্টোরেজ এবং ব্যাটারির সুবিধা, হ্যাং কিংবা ল্যাগহীন ভিভোর এই স্মার্টফোন দুইটি পাওয়া যাবে ভিভোর যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে। ভি২৭ই পাওয়া যাচ্ছে ল্যাভেন্ডার পার্পেল ও গ্লোরি ব্ল্যাক রঙে। দাম পড়বে ৩২,৯৯৯ টাকা। পাশাপাশি নোবেল ব্ল্যাক ও ম্যাজিক ব্লু এই দুই রঙের ভি২৭ এর দাম পড়বে ৫৪,৯৯৯ টাকা।  

;

তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি-সমৃদ্ধি: আজিজ আহমদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বললেন আজিজ আহমদ

তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বললেন আজিজ আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা আজিজ আহমদ বলেছেন, প্রযুক্তিদক্ষতায় বলিয়ান একটি যুবসমাজ বিশ্বকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। এ জন্য তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির জগতে যা কিছু ভালো তাকে আলিঙ্গন করা, আর যা কিছু মন্দ তা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে সমাজে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে তা দূর করতে বৈষম্য কমিয়ে আনার ওপরও জোর দেন এই বাংলাদেশি আমেরিকান প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে ইউনিভার্সিটি ফর পিস আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আজিজ আহমদ। মানবাধিকার চর্চায় ড্যাটা সংগ্রহ ও বণ্টন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতার ওপর এই বিশেষ সেমিনারটি আয়োজন করা হয় বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে।

এতে আজিজ আহমদ ছাড়াও প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স বিভাগের চিফ অব এডুকেশন আউটরিচ জয়শ্রি ওয়াত, মাইক্রোসফটের ডেমোক্রেসি ফরোয়ার্ড বিভাগের পরিচালক এমি লারসেন, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রধান ড্যাটা সায়েন্টিস্ট ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়র ড্যাটা সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ক্রিস উইগিনস এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এআই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা বিজ্ঞানী ড. মোনা সোলানি।

জাতিসংঘের স্বনামধন্য কূটনীতিক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ রামু দামোদারানের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটি ফর পিস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস সানজ বোরগো।

প্রযুক্তির অগ্রসরতার সাথে সাথে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারের প্রসার ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র লঙ্ঘনের মতো ঘটনাগুলো বেশি ঘটছে বলে বক্তারা আলোচনায় তুলে ধরেন ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আজিজ আহমদ বলেন, প্রযুক্তির উদ্ভাবন প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকবে তবে আমাদের এর গ্রহণ ও ব্যবহারে একটি ভারসাম্য আনতে হবে। আর সেটা নিশ্চিত করতে হবে বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিকটি বিবেচনায় রেখে। আমাদের এমন নীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি জগতের মন্দ চরিত্র ও উপকরণগুলো বৃদ্ধির সুযোগ না পায়।

তিনি বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে বেকারত্ব ও যোগ্যতার চেয়ে নিম্ন আয়ের কাজে যোগ দিতে বাধ্য হওয়া যুবসমাজকে উন্নত ও মানসম্মত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এই তথ্য প্রযুক্তি। যুব সমাজের কাছে এই সুযোগ পৌঁছে দিতে তিনি কোডার্সট্রাস্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন, আন্তর্জাতিক এই সেমিনারে জানান আজিজ আহমদ।

কোডার্সট্রাস্টের অবদানের কথা উল্লেখ করে আজিজ আহমদকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান সেনিনারের আয়োজকরা।

আলোচনায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আজিজ আহমদ বলেন, একসময় যুক্তরাষ্ট্রের এটিএন্ডটি'র লিড আর্কিটেক্ট হিসেবে তিনি যে টোয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরি নেটওয়ার্ক তৈরীতে কাজ করেছেন, তখনকার অনেক প্রযুক্তির আজ কোনো ব্যবহার নেই। বিশ্বের ৬৫ শতাংশ শিশু যারা আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে তারা কর্মজগতে ঢুকে যে কাজ করবে কিংবা যে দক্ষতা অর্জন করবে সেই দক্ষতা বা কাজের অস্তিত্বই বর্তমান সময়ে নেই। আর এই সময়ের ৪৫ শতাংশ কর্মীকে আরও দক্ষ ও পুনরায় দক্ষ করে না তুললে তারাও কর্মজগত থেকে ঝরে পড়বে, সেমিনারে ক্রমবর্ধমান দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গবেষণালদ্ধ তথ্য উপাত্য তুলে ধরেন আজিজ আহমদ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বযংক্রিয়তার জয়জয়কার চলছে বর্তমানে, কিন্তু অপর দিকে কয়েক বিলিয়ন মানুষের তথ্য প্রযুক্তিতে এখনো প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায় নি। তারা কোনো ড্যাটা তৈরি করছে না কিংবা অবদান রাখছে না, এতে সমাজে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির যা কিছু ভালো তাকে আলিঙ্গন করা আর যা কিছু মন্দ তাকে পরিহার করতে হবে, বলেন এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রবক্তা।

তিনি বলেন, বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা কিংবা প্রোপ্যাগান্ডা আমরা থামাতে পারবো না, যখন এর উদগাতাদের নিজেদের হাতেই রয়ে গেছে এইসব তৈরির ডিভাইস। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিকটি ধর্তব্যে রেখেই আমাদের এক ধরনের বিধি-বিধান তৈরি করতে হবে যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যায় ব্যবহারগুলো প্রতিহত করা যায়, মত আজিজ আহমদের।

একটি কর্মকাঠামো তৈরির ওপর জোর দেন তিনি যাতে আমাদের উদ্ভাবন ও নৈতিকতার একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার থাকে এবং তার মাধ্যমে ধনি-দরিদ্র, নারী-পুরুষ ও লিঙ্গবৈষম্য কমে, আমাদের সচেতন ও অবচেতন মনেও আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে পারি, আর সেটাই সমাজের জন্য সবচেয়ে জরুরি, বলেন তিনি।

;

ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে

ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে

  • Font increase
  • Font Decrease

হুয়াওয়ে এখন থেকে এর পুরানো ইআরপি সিস্টেমের বদলে মেটা-ইআরপি সিস্টেম ব্যবহার করছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি, মেটা-ইআরপি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এমন ব্যক্তি ও টিমগুলোকে স্বীকৃতি  প্রদান করে হুয়াওয়ে। গত ২০ এপ্রিল চীনের ডংগুয়ানে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির শি লিউ বেই পো ভিলেজ ক্যাম্পাসে ‘হিরোজ ফাইটিং টু ক্রস দ্য ডাডু রিভার’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজমেন্ট আইটি সিস্টেমগুলোর মধ্যে ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং) সবচেয়ে জটিল। ১৯৯৬ সালে এমআরপি ২ (ম্যানুফ্যাকচারিং রিসোর্স প্ল্যানিং) সিস্টেম নিয়ে আসে হুয়াওয়ে, পরবর্তীতে ইআরপি সিস্টেম হিসেবে বিভিন্ন আপগ্রেডের মধ্যে দিয়ে এর পরিধি বাড়ানো হয়। পুরোনো এই ইআরপি সিস্টেমটি হুয়াওয়ের গত ২০ বছরের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও দ্রুত উন্নয়নের পেছনে কোর সিস্টেম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

হুয়াওয়ের সুদক্ষ ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সহায়তা করেছে এই সিস্টেম; যে কারণে বিশ্বজুড়ে ১৭০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলারের কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

হুয়াওয়ে ২০১৯ সালে ক্রমাগত বাহ্যিক চাপ ও ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে থাকে। এ সময়, পুরোনো ইআরপি সিস্টেমটির বদলে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন মেটা-ইআরপি সিস্টেম উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির এখন পর্যন্ত নেয়া সবগুলো প্রকল্পের মধ্যে এটিই সবচেয়ে জটিল ও ব্যয়বহুল। গত তিন বছর ধরে হুয়াওয়ে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে ইন্ডাস্ট্রি ও ইকোসিস্টেম সহযোগীদের সাথে কাজ করার পাশাপাশি, এই প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ ও কয়েক হাজার মানুষকে নিয়োজিত করে। পুরোনো ইআরপি সিস্টেমের বদলে এই নতুন, ভবিষ্যৎমুখী, বৃহৎ পরিসরের উপযোগী ও ক্লাউড-বান্ধব মেটা-ইআরপি ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে।

বর্তমানে, হুয়াওয়ের বিজনেস সিনারিওর শতভাগ ও বিজনেস ভলিউমের ৮০ ভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে মেটা-ইআরপি’র মাধ্যমে। এই সিস্টেম মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বাৎসরিক সেটেলমেন্ট টেস্টেও একদম যথাসময়ে নির্ভুল ও কোনোরকম অ্যাকাউন্টিং অ্যাডজাস্টমেন্ট করা ছাড়াই পুরোপুরি উতরে গেছে।

হুয়াওয়ে’র রোটেটিং চেয়ারওমেন ও সিএফও সাবরিনা মেং বলেন, “প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে কারিগরি দক্ষতা ও কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের ভাবনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের অংশীদারদের সহযোগিতা ছাড়া মেটা-ইআরপি তৈরি করা সম্ভব হত না। উদ্ভাবনের মানসিকতার মাধ্যমে উদ্ভাবন সম্ভব; আর একসাথে কাজ করার মধ্য দিয়েই আসবে সমৃদ্ধি।”

মেটা-ইআরপির ওপর হুয়াওয়ে’র পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যা ইউলারওএস ও গাউসডিবি’র মতো অন্যান্য হুয়াওয়ে সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। একইসাথে, সেবার দক্ষতা ও পরিচালনার মান বাড়াতে মেটা-ইআরপির মাধ্যমে  ক্লাউড-নেটিভ আর্কিটেকচার, মেটাডেটা-ড্রিভেন মাল্টি-ট্যালেন্ট আর্কিটেকচার ও রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্সের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে সহযোগীদের সাথে কাজ করছে হুয়াওয়ে। সবচেয়ে সহজ উপায়ে মানসম্পন্ন কাঠামো নির্মাণ ও সবচেয়ে কম খরচে সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই হুয়াওয়ের মূল উদ্দেশ্য। ইআরপি ও পিএলএম সহ বিস্তৃত পরিসরে বাধাহীন, দক্ষ ও নিরাপদ কোর এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সিস্টেম তৈরি করতে সহযোগীদের সাথে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।

;

বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা দেবে ভিভো ভি২৭ই এবং ভি২৭



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু সাথে থাকা স্মার্টফোনের চিন্তায় পা বাড়াতে পারছেন না। অথবা ব্যাক পকেটে স্মার্টফোন, হাতে না নিয়েই ভুল করে বসে পড়েছেন। চাপে ক্যামেরা কিংবা স্ক্রিন ফেটে গেল কি না এই দুশ্চিন্তায় ঘাম ছুটছে সারাক্ষণ।
 
যদি পকেটে থাকে ভিভো ভি২৭ই কিংবা ভি২৭ তবে এসকল দুশ্চিন্তা থেকে নিমিষেই মিলবে মুক্তি। কারণ, গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর ভি২৭ই এবং ভি২৭ মূলত আইপি৫৪ ডাস্ট এবং স্প্ল্যাশ রেসিসটেন্স যা ধুলোবালি এবং পানি ঝাপটা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এমনকি সাধের স্মার্টফোনটি যেন চাপে ফেটে না যায় এর জন্যও ব্যবস্থা নিয়েছে ভিভো। তাই ৫০০ বার মোচড়ালে কিংবা ১০০০ বার ভারি কোনো কিছু চাপে ভেঙ্গে যাবে না ভিভো স্মার্টফোন দুইটি।
 
ল্যাব টেস্টে আরো দেখা যায়, এর পাওয়ার বাটন প্রায় দেড় লক্ষবার ক্লিক করবে কোনো ঝামেলা ছাড়াই। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় স্মার্টফোনটি হবে দুরন্ত গতি সম্পন্ন।
ভিভোর এক্সক্লুসিভ পোর্ট্রটে এলগরিদম ‘অরা লাইট’ সমৃদ্ধ ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহৃত হয়েছে ভি২৭ই এবং ভি২৭ স্মার্টফোন দুইটিতে। ছবির মান ভালো রাখতে ভি২৭ইতে ব্যবহৃত হয়েছে হেলিও জি৯৯ প্রসেসর এবং ভি২৭ তে ব্যবহৃত হয়েছে ডাইমেন্সিটি ৭২০০ প্রসেসর।
 
যেকোনো ধরনের ঝাঁকুনিতেই পরিষ্কার এবং ঝকঝকে ছবি ও ভিডিও করতে এই স্মার্টফোনে পাওয়া যাবে ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) এবং ইআইএস (ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সিস্টেম। ফলে যেকোনো ছবি কিংবা ভিডিও হবে প্রাণবন্ত।
৬৬ ওয়াট ফ্লাশ চার্জার ৪,৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি চার্জে যেন নিরবিচ্ছিন্ন সঙ্গ দেয়, এজন্যও করা হয়েছে ল্যাব টেস্ট। টেস্টে দেখা যায় প্রায় ১০ হাজার বার প্লাগ ইন-প্লাগ আউট করা যাবে এই স্মার্টফোনে। ফলে ১৯ মিনিটে যেমন ৫০ শতাংশ চার্জের সুবিধা পাওয়া যাবে, তেমনি দীর্ঘদিন ব্যবহারেও এর চার্জিং পোর্ট নষ্ট হবার ভয় থাকবে না।
৮ জিবি র‍্যাম+ ৮ জিবি এক্সটেন্ডন্ট র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি রমের সুবিশাল স্টোরেজ সমৃদ্ধ ভি২৭ই পাওয়া ল্যাভেন্ডার পার্পেল ও গ্লোরি ব্ল্যাক রঙে। দাম পড়বে ৩২,৯৯৯ টাকা। পাশাপাশি নোবেল ব্ল্যাক ও ম্যাজিক ব্লু এই দুই রঙের ভি২৭ এর দাম পড়বে ৫৪,৯৯৯ টাকা।
;