চাপের মুখে টুইটার প্রধান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারকে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বলে বর্ণনা করে চাপের মুখে পড়েছেন টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত মিয়ানমারকে এভাবে অভিহিত করায় সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ পাড়ায়।।

গত মাসে ভ্রমণের উদ্দ্যেশ্যে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চল যান ডরসি। ভ্রমণের পর তিনি মিয়ানমার অন্যতম একটি পর্যটন স্থান উল্লেখ করে তার ৪০ লাখ অনুসারীর জন্য টুইট করেণ ।সেখানকার মানুষজনকে খুবই উৎফুল্ল এবং খাবারগুলো খুবই মজাদারের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এরপরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। কারণ, মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছে তা সবার জানা। এত কিছু জানার পরও তা না জানার ভান করে এমন টুইট করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।

টুইটের প্রতিউত্তরে আল-জাজিরার এক প্রতিনিধি মোহাম্মদ জামজুম লিখেছেন, অন্তত কয়েকজন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার করেছেন তিনি। যেখানে তাদের ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা জানেন।

বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের উপর চলা নির্যাতনের কথা জেনেও না জানার ভান করে আছেন ডরসি। এতে তিনি সত্যিই বাকরুদ্ধ বলে জানান।

ডরসির টুইটে অনেকেই সমালোচনা করলেও তিনি কোনটারই উত্তর দেননি। তবে তিনি টুইটের দায় স্বীকার করেছেন।

এর কিছুদিন আগেই হিন্দুদের নিয়ে টুইট করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি। এবার মিয়ানমার নিয়ে টুইট করে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য গত বছর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালানোর পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।