ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে

ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে

  • Font increase
  • Font Decrease

হুয়াওয়ে এখন থেকে এর পুরানো ইআরপি সিস্টেমের বদলে মেটা-ইআরপি সিস্টেম ব্যবহার করছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি, মেটা-ইআরপি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এমন ব্যক্তি ও টিমগুলোকে স্বীকৃতি  প্রদান করে হুয়াওয়ে। গত ২০ এপ্রিল চীনের ডংগুয়ানে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির শি লিউ বেই পো ভিলেজ ক্যাম্পাসে ‘হিরোজ ফাইটিং টু ক্রস দ্য ডাডু রিভার’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজমেন্ট আইটি সিস্টেমগুলোর মধ্যে ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং) সবচেয়ে জটিল। ১৯৯৬ সালে এমআরপি ২ (ম্যানুফ্যাকচারিং রিসোর্স প্ল্যানিং) সিস্টেম নিয়ে আসে হুয়াওয়ে, পরবর্তীতে ইআরপি সিস্টেম হিসেবে বিভিন্ন আপগ্রেডের মধ্যে দিয়ে এর পরিধি বাড়ানো হয়। পুরোনো এই ইআরপি সিস্টেমটি হুয়াওয়ের গত ২০ বছরের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও দ্রুত উন্নয়নের পেছনে কোর সিস্টেম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

হুয়াওয়ের সুদক্ষ ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সহায়তা করেছে এই সিস্টেম; যে কারণে বিশ্বজুড়ে ১৭০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলারের কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

হুয়াওয়ে ২০১৯ সালে ক্রমাগত বাহ্যিক চাপ ও ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে থাকে। এ সময়, পুরোনো ইআরপি সিস্টেমটির বদলে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন মেটা-ইআরপি সিস্টেম উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির এখন পর্যন্ত নেয়া সবগুলো প্রকল্পের মধ্যে এটিই সবচেয়ে জটিল ও ব্যয়বহুল। গত তিন বছর ধরে হুয়াওয়ে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে ইন্ডাস্ট্রি ও ইকোসিস্টেম সহযোগীদের সাথে কাজ করার পাশাপাশি, এই প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ ও কয়েক হাজার মানুষকে নিয়োজিত করে। পুরোনো ইআরপি সিস্টেমের বদলে এই নতুন, ভবিষ্যৎমুখী, বৃহৎ পরিসরের উপযোগী ও ক্লাউড-বান্ধব মেটা-ইআরপি ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে।

বর্তমানে, হুয়াওয়ের বিজনেস সিনারিওর শতভাগ ও বিজনেস ভলিউমের ৮০ ভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে মেটা-ইআরপি’র মাধ্যমে। এই সিস্টেম মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বাৎসরিক সেটেলমেন্ট টেস্টেও একদম যথাসময়ে নির্ভুল ও কোনোরকম অ্যাকাউন্টিং অ্যাডজাস্টমেন্ট করা ছাড়াই পুরোপুরি উতরে গেছে।

হুয়াওয়ে’র রোটেটিং চেয়ারওমেন ও সিএফও সাবরিনা মেং বলেন, “প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে কারিগরি দক্ষতা ও কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের ভাবনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের অংশীদারদের সহযোগিতা ছাড়া মেটা-ইআরপি তৈরি করা সম্ভব হত না। উদ্ভাবনের মানসিকতার মাধ্যমে উদ্ভাবন সম্ভব; আর একসাথে কাজ করার মধ্য দিয়েই আসবে সমৃদ্ধি।”

মেটা-ইআরপির ওপর হুয়াওয়ে’র পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যা ইউলারওএস ও গাউসডিবি’র মতো অন্যান্য হুয়াওয়ে সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। একইসাথে, সেবার দক্ষতা ও পরিচালনার মান বাড়াতে মেটা-ইআরপির মাধ্যমে  ক্লাউড-নেটিভ আর্কিটেকচার, মেটাডেটা-ড্রিভেন মাল্টি-ট্যালেন্ট আর্কিটেকচার ও রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্সের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে সহযোগীদের সাথে কাজ করছে হুয়াওয়ে। সবচেয়ে সহজ উপায়ে মানসম্পন্ন কাঠামো নির্মাণ ও সবচেয়ে কম খরচে সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই হুয়াওয়ের মূল উদ্দেশ্য। ইআরপি ও পিএলএম সহ বিস্তৃত পরিসরে বাধাহীন, দক্ষ ও নিরাপদ কোর এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সিস্টেম তৈরি করতে সহযোগীদের সাথে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।

   

২৫ বছরে গুগল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ সেপ্টেম্বর, আজ জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ২৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে গুগল বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে। এতে গুগলের শুরুটা হয়েছিল কীভাবে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। সময়ের সঙ্গে নিত্যনতুন পণ্য ও সেবা যোগ করে গুগল প্রতিনিয়ত নিজেদের আকার ও উপযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

বিশ্বের দেশগুলো থেকে দেড় শতাধিক ভাষায় কয়েক বিলিয়ন বার সার্চ করা হয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সামলাতে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটিকে কম খাটতে হয় না। এসব তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী গুগল গড়ে তুলেছে বিশালাকার একেকটি ডেটা সেন্টার।

গুগল সার্চ ইঞ্জিনের শুরুতে নাম রাখা হয়েছিল গুগোল (googol)। কিন্তু কোম্পানি নিবন্ধনের সময় বানান ভুল হওয়ার কারণে এর নাম গুগল (Google) হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গুগল এক লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। সেই বিনিয়োগ করেছিলেন সান মাইক্রোসিস্টেমের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি বেসটোলসহাইম।

;

স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা মহামারির পর থেকেই স্মার্টফোন যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের। করোনাকালে মানুষের জীবনে এসেছে অনেক পরিবর্তন এবং সেই সঙ্গে ইন্টারনেট মানুষকে আধুনিকায়ন হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

কিন্তু করোনাকালের পর থেকেই সব শিক্ষার্থীরা যেন আসক্তি হয়ে পড়েছে স্মার্টফোনে থাকা টিকটক ভিডিও, অনলাইন গেম এবং অনলাইন জুয়ায়। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার।

তেমনি সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের শাকদহা নামক ব্রিজে গাড়ি দিয়ে যেতে যেতেই দেখা মেলে কিছু যুবকের লাঠি  হাতে নিয়ে টিকটক ভিডিও করার দৃশ্য।

দেখা যায়, তারা একে অপরকে মারছে আর সেই দৃশ্য তাদের স্মার্টফোনে ভিডিও ধারণ করে নিচ্ছে। শুধু শহরের শাকদহা ব্রিজ নয়, বাইপাস সড়ক যেন টিকটকারদের আস্তানা। বিকেলে বের হলে দেখা মেলে স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ক্যামেরা হাতে নিয়ে ভিডিও করার দৃশ্য।

স্মার্টফোনের এই ভিডিও ধারণ করে কি হবে এমন প্রশ্নে নাম গোপন করা এক যুবক বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে শখের বসে এগুলো করি। আমাদের ভালো লাগে আমরা ভিডিও করে টিকটক, ইউটিউব, এবং ফেসবুকে আপলোড করি। সেই ভিডিওতে হাজার হাজার ভিউ হলে আমাদের অনেক ভালো লাগে। শখের বসে ভিডিও করে অনেক সাড়া পাচ্ছি, মাঝে মাঝে নিজেদেরকে সেলিব্রিটি মনে হয় এমনই বলছিলেন নাম গোপন করা ওই যুবক।

শুধু টিকটক, লাইক ভিডিও নয়। শহরে এবং গ্রামে গঞ্জে দেখা মেলে বেশিরভাগ শিশু অনলাইন গেমে আসক্তি। ফ্রি ফায়ার ও পাবজি যেন তাদের মস্তিষ্ক দখল করে নিয়েছে।

তেমনি গ্রামের এক দোকানে গেলেই দেখা মেলে চোরাটে বসে অনেক গুলো যুবক গেম খেলছে এবং পাশ থেকে সবাই উঁকি মেরে দেখছে। সবার মন যেন গেমে, কেউ ডাকলে বা কল দিলে ধরা বা শোনার সময় নেই তাদের।

তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা রাত দিন সব সময় গেম খেলে সময় কাটান। তারা অনেক অনেক দিন সারা রাত ও গেম খেলে পার করেন। তারা যেন আসক্ত হয়ে গেছে। স্কুল থেকে এসেই তারা ফোন নিয়ে গেম খেলতে বসে। গেম খেলা যেন তাদের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে। তিন বেলা ভাত খায় আর গেম এটাই তাদের জীবন। স্মার্টফোন তাদের জীবনে কাল হয়ে আসছে কিন্তু তাদের বোঝানোর কোনো উপায় না।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সময়ে যুবকরা অনলাইন গেম, টিকটক, অনলাইন জুয়ায় খুব আসক্তি হয়েছে। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে এসব অনলাইন গেমে অনেকেই আসক্তি হয়ে আত্মহত্যাও করছে। তাই আমাদের উচিত সোচ্চার হওয়া। সব বাবা মা যদি তাদের সন্তানদের নিজের দখলে রাখতে পারতো তাহলে এমন অধপতন হতো না। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো এসব অনলাইন গেম, টিকটক, অনলাইন জুয়া যেন বন্ধ করে দেয়।

;

চলতি বছরে নতুন যে ৬ ফিচার যুক্ত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে



টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার যোগ করেছে মেটা। ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল’ নামের এই ফিচারের মাধ্যমে পছন্দের ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের চ্যানেল যেমন খুঁজে পাওয়া যাবে, তেমনি খোলা যাচ্ছে নিজেরও চ্যানেলও। গত জুনে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি দেশে চালু হওয়ার পর, এটি এখন মিলছে ১৫০টি দেশে।  সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল লঞ্চ করা হয়েছে।

এছাড়া কিছু দিন পর পর নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় হোয়াটসঅ্যাপ। এবার দারুণ সব আপডেট যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এতে করে ব্যবহারকারীরা পাবেন বাড়তি সুবিধা।

পাঠানো মেসেজ এডিট করা

আপনি যদি এখনও পাঠানো মেসেজ এডিট করার অপশনটি না দেখে থাকেন তা্হলে এখুনি দেখুন।  ভুলে করে একটি মেসেজ দিয়েছেন, ভাবছেন পড়ে ফেললে কেমন হবে। তাহলে এখুনি এডিট করে নিন। যাকে মেসেজটি পাঠিয়েছেন তিনি যদি না দেখে থাকে, আপনি ১৫ মিনিট সময় পাবেন এটি এডিট করার জন্য।  

ইনস্ট্যান্ট ভিডিও পাঠানো

হোয়াটসঅ্যাপে শর্ট ভিডিও পাঠানোর নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে। এই ফিচারের সাহায্যে ইউজাররা শর্ট ভিডিও (৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত) পাঠানোর সুবিধা পাবেন। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এই ভিডিওর মাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো, কোনো কৌতুকে হাসা কিংবা সুসংবাদ জানানোর মুহূর্তের আবেগ, কারো সাথে শেয়ার করা আনন্দময় হবে।

এইচডি কোয়ালিটির ছবি পাঠানো

হোয়াটসঅ্যাপ আপনার ছবির মান নষ্ট করে তা নিয়ে চিন্তিত? ঠিক আছে, এই নতুন ফিচারে ব্যবহারকারীরা যখনই চাইবেন তখনই হাই কোয়ালিটির ছবি পাঠাতে পারবেন।

কাউকে না জানিয়ে গ্রুপ থেকে বের হওয়া

এখন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিরবে বের হওয়া যাবে। অ্যাডমিন ছাড়া কেউ টের পাবেন না।

পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত চ্যাট

নতুন ফিচারে ব্যবহারকারী তাদের চ্যাট পৃথক ফোল্ডারে ব্যক্তিগতভাবে সুরক্ষিত রাখতেন পারবেন। একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে এই চ্যাট সুরক্ষিত রাখা হবে।

একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে ৪ ফোনে ব্যবহার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ

ব্যবহারকারীরা নতুন ফিচারে চারটি মোবাইল ফোনে একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। মাল্টি-ডিভাইস ফিচারটি দীর্ঘদিন থেকে চালু রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের ল্যাপটপ, ট্যাবলেটের মতো একাধিক ডিভাইসে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে দেয়৷ কিন্তু এই নতুন ফিচারটিতে ব্যবহারকারী ৪টি মোবাইল ফোনে একটি অ্যাকাউন্ট লগইন করতে পারবেন।

;

৩ দিনের মোবাইল ডাটা চলবে ৭ দিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ইন্টারনেটের তিনদিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়া হলেও গ্রাহকের সুবিধার্থে তা সাতদিন মেয়াদে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন -বিটিআরসি। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড মেয়াদে প্যাকেজের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্যাকেজের সংখ্যা কমিয়ে সর্বোচ্চ ৪০টি করা হয়েছে। এ নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা-২০২৩’ সংক্রান্ত সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

চলতি বছরের প্যাকেজ ও ডাটার মূল্য সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় গ্রাহক জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বিটিআরসির মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাছিম পারভেজ জানান, মোবাইল ফোন অপেরাটরের একাধিক প্যাকেজে গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ফলে আমরা কয়েকটি জরিপ করি। জরিপে অংশ নেয়া এক হাজার ৬০০ ডাটা ব্যবহারকারীর ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ বিদ্যমান পাঁচটি মেয়াদ বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়। অপর দিকে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড মেয়াদের প্যাকেজের পক্ষে মত দেয়। সেই অনুযায়ী ৩ ও ১৫ দিনের মেয়াদ বাতিল করা হয়।

তবে বিটিআরসির নতুন এই নির্দেশিকায় ৩ দিনের ডাটা প্যাকেজ রাখা যায় কিনা তা পুনঃবিবেচনার অনুরোধ জানান মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটবের (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) মহাপরিচালক লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার।

তিনি বলেন, ৩ দিনের ডাটা প্যাকেজ মোবাইল অপরেটরদের জন্য একটি লাভজনক প্যাকেজ। দেশে গ্রাহকদের গড়ে ৬৯ দশমিক ২৩ শতাংশ ৩ দিনের মেয়াদ ব্যবহার করেন। ৩ দশমিক ৮২ শতাংশের পছন্দ ১৫ দিনের মেয়াদ। সব দিক বিবেচনার প্যাকেজ গুলোর পুনঃমুল্যায়ন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ক্ষুদ্র মেয়াদ প্যাকেজ, বোনাস প্যাকেজ এসব নানাবিধ প্যাকেজ দেওয়ার ফলে কিন্তু সাধারণ মানুষ নানা ভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই বিভ্রান্তি টা অনেক বেশি ছিল, সেগুলো কমাতে কমাতে আমরা সর্ব শেষ যে যায়গাটাতে এসেছি আমরা ৪০ টা প্যাকেজ নির্ধারণ করেছি।মোবাইল অপরেটরদের প্রতি অনুরোধ এই ৪০ টা প্যাকেজের মধ্য থেকে ফাঁড়ি রাস্তা খুজে বের করে এটাকে ৪০০ বানায় ফেলবেন না।

তিনি বলেন, আমরা তিন দিনের যে মেয়াদ আছে সেটাকে ৭ দিনের করেছি। কারন ৩ দিনের মেয়াদের প্যাকেজটা গ্রাহক যদি ৭ দিনে ব্যবহার করতে পারে। তাহলে গ্রাহক তো উপকৃত হবে। গ্রাহক ৩ দিনে যে ডাটা শেষ করতে পারত না সেটা ৭ দিনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে মোবাইল অপেরাটররা যদি ভাবে যে তিন দিনের মেয়াদ টা গ্রাহকদের টাকা গিলে ফেলার জন্য তৈরি করেছি। তাহলে এটা তো কোন অবস্থাতেই সঠিক বা গ্রহন যোগ্য না।

;