তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি-সমৃদ্ধি: আজিজ আহমদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বললেন আজিজ আহমদ

তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বললেন আজিজ আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা আজিজ আহমদ বলেছেন, প্রযুক্তিদক্ষতায় বলিয়ান একটি যুবসমাজ বিশ্বকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। এ জন্য তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির জগতে যা কিছু ভালো তাকে আলিঙ্গন করা, আর যা কিছু মন্দ তা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে সমাজে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে তা দূর করতে বৈষম্য কমিয়ে আনার ওপরও জোর দেন এই বাংলাদেশি আমেরিকান প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে ইউনিভার্সিটি ফর পিস আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আজিজ আহমদ। মানবাধিকার চর্চায় ড্যাটা সংগ্রহ ও বণ্টন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতার ওপর এই বিশেষ সেমিনারটি আয়োজন করা হয় বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে।

এতে আজিজ আহমদ ছাড়াও প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স বিভাগের চিফ অব এডুকেশন আউটরিচ জয়শ্রি ওয়াত, মাইক্রোসফটের ডেমোক্রেসি ফরোয়ার্ড বিভাগের পরিচালক এমি লারসেন, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রধান ড্যাটা সায়েন্টিস্ট ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়র ড্যাটা সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ক্রিস উইগিনস এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এআই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা বিজ্ঞানী ড. মোনা সোলানি।

জাতিসংঘের স্বনামধন্য কূটনীতিক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ রামু দামোদারানের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটি ফর পিস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস সানজ বোরগো।

প্রযুক্তির অগ্রসরতার সাথে সাথে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারের প্রসার ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র লঙ্ঘনের মতো ঘটনাগুলো বেশি ঘটছে বলে বক্তারা আলোচনায় তুলে ধরেন ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আজিজ আহমদ বলেন, প্রযুক্তির উদ্ভাবন প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকবে তবে আমাদের এর গ্রহণ ও ব্যবহারে একটি ভারসাম্য আনতে হবে। আর সেটা নিশ্চিত করতে হবে বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিকটি বিবেচনায় রেখে। আমাদের এমন নীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি জগতের মন্দ চরিত্র ও উপকরণগুলো বৃদ্ধির সুযোগ না পায়।

তিনি বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে বেকারত্ব ও যোগ্যতার চেয়ে নিম্ন আয়ের কাজে যোগ দিতে বাধ্য হওয়া যুবসমাজকে উন্নত ও মানসম্মত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এই তথ্য প্রযুক্তি। যুব সমাজের কাছে এই সুযোগ পৌঁছে দিতে তিনি কোডার্সট্রাস্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন, আন্তর্জাতিক এই সেমিনারে জানান আজিজ আহমদ।

কোডার্সট্রাস্টের অবদানের কথা উল্লেখ করে আজিজ আহমদকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান সেনিনারের আয়োজকরা।

আলোচনায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আজিজ আহমদ বলেন, একসময় যুক্তরাষ্ট্রের এটিএন্ডটি'র লিড আর্কিটেক্ট হিসেবে তিনি যে টোয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরি নেটওয়ার্ক তৈরীতে কাজ করেছেন, তখনকার অনেক প্রযুক্তির আজ কোনো ব্যবহার নেই। বিশ্বের ৬৫ শতাংশ শিশু যারা আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে তারা কর্মজগতে ঢুকে যে কাজ করবে কিংবা যে দক্ষতা অর্জন করবে সেই দক্ষতা বা কাজের অস্তিত্বই বর্তমান সময়ে নেই। আর এই সময়ের ৪৫ শতাংশ কর্মীকে আরও দক্ষ ও পুনরায় দক্ষ করে না তুললে তারাও কর্মজগত থেকে ঝরে পড়বে, সেমিনারে ক্রমবর্ধমান দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গবেষণালদ্ধ তথ্য উপাত্য তুলে ধরেন আজিজ আহমদ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বযংক্রিয়তার জয়জয়কার চলছে বর্তমানে, কিন্তু অপর দিকে কয়েক বিলিয়ন মানুষের তথ্য প্রযুক্তিতে এখনো প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায় নি। তারা কোনো ড্যাটা তৈরি করছে না কিংবা অবদান রাখছে না, এতে সমাজে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির যা কিছু ভালো তাকে আলিঙ্গন করা আর যা কিছু মন্দ তাকে পরিহার করতে হবে, বলেন এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রবক্তা।

তিনি বলেন, বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা কিংবা প্রোপ্যাগান্ডা আমরা থামাতে পারবো না, যখন এর উদগাতাদের নিজেদের হাতেই রয়ে গেছে এইসব তৈরির ডিভাইস। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিকটি ধর্তব্যে রেখেই আমাদের এক ধরনের বিধি-বিধান তৈরি করতে হবে যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যায় ব্যবহারগুলো প্রতিহত করা যায়, মত আজিজ আহমদের।

একটি কর্মকাঠামো তৈরির ওপর জোর দেন তিনি যাতে আমাদের উদ্ভাবন ও নৈতিকতার একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার থাকে এবং তার মাধ্যমে ধনি-দরিদ্র, নারী-পুরুষ ও লিঙ্গবৈষম্য কমে, আমাদের সচেতন ও অবচেতন মনেও আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে পারি, আর সেটাই সমাজের জন্য সবচেয়ে জরুরি, বলেন তিনি।

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;