তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি-সমৃদ্ধি: আজিজ আহমদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বললেন আজিজ আহমদ

তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বললেন আজিজ আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা আজিজ আহমদ বলেছেন, প্রযুক্তিদক্ষতায় বলিয়ান একটি যুবসমাজ বিশ্বকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। এ জন্য তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির জগতে যা কিছু ভালো তাকে আলিঙ্গন করা, আর যা কিছু মন্দ তা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে সমাজে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে তা দূর করতে বৈষম্য কমিয়ে আনার ওপরও জোর দেন এই বাংলাদেশি আমেরিকান প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে ইউনিভার্সিটি ফর পিস আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আজিজ আহমদ। মানবাধিকার চর্চায় ড্যাটা সংগ্রহ ও বণ্টন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতার ওপর এই বিশেষ সেমিনারটি আয়োজন করা হয় বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে।

এতে আজিজ আহমদ ছাড়াও প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স বিভাগের চিফ অব এডুকেশন আউটরিচ জয়শ্রি ওয়াত, মাইক্রোসফটের ডেমোক্রেসি ফরোয়ার্ড বিভাগের পরিচালক এমি লারসেন, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রধান ড্যাটা সায়েন্টিস্ট ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়র ড্যাটা সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ক্রিস উইগিনস এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এআই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা বিজ্ঞানী ড. মোনা সোলানি।

জাতিসংঘের স্বনামধন্য কূটনীতিক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ রামু দামোদারানের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটি ফর পিস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস সানজ বোরগো।

প্রযুক্তির অগ্রসরতার সাথে সাথে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারের প্রসার ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র লঙ্ঘনের মতো ঘটনাগুলো বেশি ঘটছে বলে বক্তারা আলোচনায় তুলে ধরেন ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আজিজ আহমদ বলেন, প্রযুক্তির উদ্ভাবন প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকবে তবে আমাদের এর গ্রহণ ও ব্যবহারে একটি ভারসাম্য আনতে হবে। আর সেটা নিশ্চিত করতে হবে বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিকটি বিবেচনায় রেখে। আমাদের এমন নীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি জগতের মন্দ চরিত্র ও উপকরণগুলো বৃদ্ধির সুযোগ না পায়।

তিনি বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে বেকারত্ব ও যোগ্যতার চেয়ে নিম্ন আয়ের কাজে যোগ দিতে বাধ্য হওয়া যুবসমাজকে উন্নত ও মানসম্মত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এই তথ্য প্রযুক্তি। যুব সমাজের কাছে এই সুযোগ পৌঁছে দিতে তিনি কোডার্সট্রাস্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন, আন্তর্জাতিক এই সেমিনারে জানান আজিজ আহমদ।

কোডার্সট্রাস্টের অবদানের কথা উল্লেখ করে আজিজ আহমদকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান সেনিনারের আয়োজকরা।

আলোচনায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আজিজ আহমদ বলেন, একসময় যুক্তরাষ্ট্রের এটিএন্ডটি'র লিড আর্কিটেক্ট হিসেবে তিনি যে টোয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরি নেটওয়ার্ক তৈরীতে কাজ করেছেন, তখনকার অনেক প্রযুক্তির আজ কোনো ব্যবহার নেই। বিশ্বের ৬৫ শতাংশ শিশু যারা আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে তারা কর্মজগতে ঢুকে যে কাজ করবে কিংবা যে দক্ষতা অর্জন করবে সেই দক্ষতা বা কাজের অস্তিত্বই বর্তমান সময়ে নেই। আর এই সময়ের ৪৫ শতাংশ কর্মীকে আরও দক্ষ ও পুনরায় দক্ষ করে না তুললে তারাও কর্মজগত থেকে ঝরে পড়বে, সেমিনারে ক্রমবর্ধমান দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গবেষণালদ্ধ তথ্য উপাত্য তুলে ধরেন আজিজ আহমদ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বযংক্রিয়তার জয়জয়কার চলছে বর্তমানে, কিন্তু অপর দিকে কয়েক বিলিয়ন মানুষের তথ্য প্রযুক্তিতে এখনো প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায় নি। তারা কোনো ড্যাটা তৈরি করছে না কিংবা অবদান রাখছে না, এতে সমাজে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির যা কিছু ভালো তাকে আলিঙ্গন করা আর যা কিছু মন্দ তাকে পরিহার করতে হবে, বলেন এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রবক্তা।

তিনি বলেন, বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা কিংবা প্রোপ্যাগান্ডা আমরা থামাতে পারবো না, যখন এর উদগাতাদের নিজেদের হাতেই রয়ে গেছে এইসব তৈরির ডিভাইস। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিকটি ধর্তব্যে রেখেই আমাদের এক ধরনের বিধি-বিধান তৈরি করতে হবে যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যায় ব্যবহারগুলো প্রতিহত করা যায়, মত আজিজ আহমদের।

একটি কর্মকাঠামো তৈরির ওপর জোর দেন তিনি যাতে আমাদের উদ্ভাবন ও নৈতিকতার একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার থাকে এবং তার মাধ্যমে ধনি-দরিদ্র, নারী-পুরুষ ও লিঙ্গবৈষম্য কমে, আমাদের সচেতন ও অবচেতন মনেও আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে পারি, আর সেটাই সমাজের জন্য সবচেয়ে জরুরি, বলেন তিনি।

   

২৫ বছরে গুগল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ সেপ্টেম্বর, আজ জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ২৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে গুগল বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে। এতে গুগলের শুরুটা হয়েছিল কীভাবে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। সময়ের সঙ্গে নিত্যনতুন পণ্য ও সেবা যোগ করে গুগল প্রতিনিয়ত নিজেদের আকার ও উপযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

বিশ্বের দেশগুলো থেকে দেড় শতাধিক ভাষায় কয়েক বিলিয়ন বার সার্চ করা হয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সামলাতে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটিকে কম খাটতে হয় না। এসব তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী গুগল গড়ে তুলেছে বিশালাকার একেকটি ডেটা সেন্টার।

গুগল সার্চ ইঞ্জিনের শুরুতে নাম রাখা হয়েছিল গুগোল (googol)। কিন্তু কোম্পানি নিবন্ধনের সময় বানান ভুল হওয়ার কারণে এর নাম গুগল (Google) হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গুগল এক লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। সেই বিনিয়োগ করেছিলেন সান মাইক্রোসিস্টেমের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি বেসটোলসহাইম।

;

স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা মহামারির পর থেকেই স্মার্টফোন যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের। করোনাকালে মানুষের জীবনে এসেছে অনেক পরিবর্তন এবং সেই সঙ্গে ইন্টারনেট মানুষকে আধুনিকায়ন হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

কিন্তু করোনাকালের পর থেকেই সব শিক্ষার্থীরা যেন আসক্তি হয়ে পড়েছে স্মার্টফোনে থাকা টিকটক ভিডিও, অনলাইন গেম এবং অনলাইন জুয়ায়। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার।

তেমনি সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের শাকদহা নামক ব্রিজে গাড়ি দিয়ে যেতে যেতেই দেখা মেলে কিছু যুবকের লাঠি  হাতে নিয়ে টিকটক ভিডিও করার দৃশ্য।

দেখা যায়, তারা একে অপরকে মারছে আর সেই দৃশ্য তাদের স্মার্টফোনে ভিডিও ধারণ করে নিচ্ছে। শুধু শহরের শাকদহা ব্রিজ নয়, বাইপাস সড়ক যেন টিকটকারদের আস্তানা। বিকেলে বের হলে দেখা মেলে স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ক্যামেরা হাতে নিয়ে ভিডিও করার দৃশ্য।

স্মার্টফোনের এই ভিডিও ধারণ করে কি হবে এমন প্রশ্নে নাম গোপন করা এক যুবক বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে শখের বসে এগুলো করি। আমাদের ভালো লাগে আমরা ভিডিও করে টিকটক, ইউটিউব, এবং ফেসবুকে আপলোড করি। সেই ভিডিওতে হাজার হাজার ভিউ হলে আমাদের অনেক ভালো লাগে। শখের বসে ভিডিও করে অনেক সাড়া পাচ্ছি, মাঝে মাঝে নিজেদেরকে সেলিব্রিটি মনে হয় এমনই বলছিলেন নাম গোপন করা ওই যুবক।

শুধু টিকটক, লাইক ভিডিও নয়। শহরে এবং গ্রামে গঞ্জে দেখা মেলে বেশিরভাগ শিশু অনলাইন গেমে আসক্তি। ফ্রি ফায়ার ও পাবজি যেন তাদের মস্তিষ্ক দখল করে নিয়েছে।

তেমনি গ্রামের এক দোকানে গেলেই দেখা মেলে চোরাটে বসে অনেক গুলো যুবক গেম খেলছে এবং পাশ থেকে সবাই উঁকি মেরে দেখছে। সবার মন যেন গেমে, কেউ ডাকলে বা কল দিলে ধরা বা শোনার সময় নেই তাদের।

তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা রাত দিন সব সময় গেম খেলে সময় কাটান। তারা অনেক অনেক দিন সারা রাত ও গেম খেলে পার করেন। তারা যেন আসক্ত হয়ে গেছে। স্কুল থেকে এসেই তারা ফোন নিয়ে গেম খেলতে বসে। গেম খেলা যেন তাদের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে। তিন বেলা ভাত খায় আর গেম এটাই তাদের জীবন। স্মার্টফোন তাদের জীবনে কাল হয়ে আসছে কিন্তু তাদের বোঝানোর কোনো উপায় না।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সময়ে যুবকরা অনলাইন গেম, টিকটক, অনলাইন জুয়ায় খুব আসক্তি হয়েছে। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে এসব অনলাইন গেমে অনেকেই আসক্তি হয়ে আত্মহত্যাও করছে। তাই আমাদের উচিত সোচ্চার হওয়া। সব বাবা মা যদি তাদের সন্তানদের নিজের দখলে রাখতে পারতো তাহলে এমন অধপতন হতো না। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো এসব অনলাইন গেম, টিকটক, অনলাইন জুয়া যেন বন্ধ করে দেয়।

;

চলতি বছরে নতুন যে ৬ ফিচার যুক্ত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে



টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার যোগ করেছে মেটা। ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল’ নামের এই ফিচারের মাধ্যমে পছন্দের ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের চ্যানেল যেমন খুঁজে পাওয়া যাবে, তেমনি খোলা যাচ্ছে নিজেরও চ্যানেলও। গত জুনে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি দেশে চালু হওয়ার পর, এটি এখন মিলছে ১৫০টি দেশে।  সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল লঞ্চ করা হয়েছে।

এছাড়া কিছু দিন পর পর নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় হোয়াটসঅ্যাপ। এবার দারুণ সব আপডেট যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এতে করে ব্যবহারকারীরা পাবেন বাড়তি সুবিধা।

পাঠানো মেসেজ এডিট করা

আপনি যদি এখনও পাঠানো মেসেজ এডিট করার অপশনটি না দেখে থাকেন তা্হলে এখুনি দেখুন।  ভুলে করে একটি মেসেজ দিয়েছেন, ভাবছেন পড়ে ফেললে কেমন হবে। তাহলে এখুনি এডিট করে নিন। যাকে মেসেজটি পাঠিয়েছেন তিনি যদি না দেখে থাকে, আপনি ১৫ মিনিট সময় পাবেন এটি এডিট করার জন্য।  

ইনস্ট্যান্ট ভিডিও পাঠানো

হোয়াটসঅ্যাপে শর্ট ভিডিও পাঠানোর নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে। এই ফিচারের সাহায্যে ইউজাররা শর্ট ভিডিও (৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত) পাঠানোর সুবিধা পাবেন। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এই ভিডিওর মাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো, কোনো কৌতুকে হাসা কিংবা সুসংবাদ জানানোর মুহূর্তের আবেগ, কারো সাথে শেয়ার করা আনন্দময় হবে।

এইচডি কোয়ালিটির ছবি পাঠানো

হোয়াটসঅ্যাপ আপনার ছবির মান নষ্ট করে তা নিয়ে চিন্তিত? ঠিক আছে, এই নতুন ফিচারে ব্যবহারকারীরা যখনই চাইবেন তখনই হাই কোয়ালিটির ছবি পাঠাতে পারবেন।

কাউকে না জানিয়ে গ্রুপ থেকে বের হওয়া

এখন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিরবে বের হওয়া যাবে। অ্যাডমিন ছাড়া কেউ টের পাবেন না।

পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত চ্যাট

নতুন ফিচারে ব্যবহারকারী তাদের চ্যাট পৃথক ফোল্ডারে ব্যক্তিগতভাবে সুরক্ষিত রাখতেন পারবেন। একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে এই চ্যাট সুরক্ষিত রাখা হবে।

একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে ৪ ফোনে ব্যবহার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ

ব্যবহারকারীরা নতুন ফিচারে চারটি মোবাইল ফোনে একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। মাল্টি-ডিভাইস ফিচারটি দীর্ঘদিন থেকে চালু রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের ল্যাপটপ, ট্যাবলেটের মতো একাধিক ডিভাইসে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে দেয়৷ কিন্তু এই নতুন ফিচারটিতে ব্যবহারকারী ৪টি মোবাইল ফোনে একটি অ্যাকাউন্ট লগইন করতে পারবেন।

;

৩ দিনের মোবাইল ডাটা চলবে ৭ দিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ইন্টারনেটের তিনদিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়া হলেও গ্রাহকের সুবিধার্থে তা সাতদিন মেয়াদে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন -বিটিআরসি। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড মেয়াদে প্যাকেজের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্যাকেজের সংখ্যা কমিয়ে সর্বোচ্চ ৪০টি করা হয়েছে। এ নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা-২০২৩’ সংক্রান্ত সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

চলতি বছরের প্যাকেজ ও ডাটার মূল্য সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় গ্রাহক জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বিটিআরসির মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাছিম পারভেজ জানান, মোবাইল ফোন অপেরাটরের একাধিক প্যাকেজে গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ফলে আমরা কয়েকটি জরিপ করি। জরিপে অংশ নেয়া এক হাজার ৬০০ ডাটা ব্যবহারকারীর ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ বিদ্যমান পাঁচটি মেয়াদ বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়। অপর দিকে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড মেয়াদের প্যাকেজের পক্ষে মত দেয়। সেই অনুযায়ী ৩ ও ১৫ দিনের মেয়াদ বাতিল করা হয়।

তবে বিটিআরসির নতুন এই নির্দেশিকায় ৩ দিনের ডাটা প্যাকেজ রাখা যায় কিনা তা পুনঃবিবেচনার অনুরোধ জানান মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটবের (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) মহাপরিচালক লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার।

তিনি বলেন, ৩ দিনের ডাটা প্যাকেজ মোবাইল অপরেটরদের জন্য একটি লাভজনক প্যাকেজ। দেশে গ্রাহকদের গড়ে ৬৯ দশমিক ২৩ শতাংশ ৩ দিনের মেয়াদ ব্যবহার করেন। ৩ দশমিক ৮২ শতাংশের পছন্দ ১৫ দিনের মেয়াদ। সব দিক বিবেচনার প্যাকেজ গুলোর পুনঃমুল্যায়ন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ক্ষুদ্র মেয়াদ প্যাকেজ, বোনাস প্যাকেজ এসব নানাবিধ প্যাকেজ দেওয়ার ফলে কিন্তু সাধারণ মানুষ নানা ভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই বিভ্রান্তি টা অনেক বেশি ছিল, সেগুলো কমাতে কমাতে আমরা সর্ব শেষ যে যায়গাটাতে এসেছি আমরা ৪০ টা প্যাকেজ নির্ধারণ করেছি।মোবাইল অপরেটরদের প্রতি অনুরোধ এই ৪০ টা প্যাকেজের মধ্য থেকে ফাঁড়ি রাস্তা খুজে বের করে এটাকে ৪০০ বানায় ফেলবেন না।

তিনি বলেন, আমরা তিন দিনের যে মেয়াদ আছে সেটাকে ৭ দিনের করেছি। কারন ৩ দিনের মেয়াদের প্যাকেজটা গ্রাহক যদি ৭ দিনে ব্যবহার করতে পারে। তাহলে গ্রাহক তো উপকৃত হবে। গ্রাহক ৩ দিনে যে ডাটা শেষ করতে পারত না সেটা ৭ দিনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে মোবাইল অপেরাটররা যদি ভাবে যে তিন দিনের মেয়াদ টা গ্রাহকদের টাকা গিলে ফেলার জন্য তৈরি করেছি। তাহলে এটা তো কোন অবস্থাতেই সঠিক বা গ্রহন যোগ্য না।

;