স্মার্টফোনের নতুন অভিজ্ঞতায় ফানটাচ ওএস১৩



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেবেন? ক্যামেরা, র্যাম-রম, নাকি আউটলুক?  অনেকেই আছেন যারা প্রথমেই যাচাই করেন স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমটি কেমন। কারণ স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কিংবা সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অনেকাংশে নির্ভর করে অপারেটিং সিস্টেমের ওপর।

বর্তমানে সেরা অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ১২ এর জুড়ি মেলা ভার। গ্রাহকের কাস্টমাইজেশনের সুবিধা সমৃদ্ধ অ্যান্ড্রয়েড ১২ তে রয়েছে নতুন কালার এক্সট্রাকশন ফিচার। যা ওয়ালপেপারের প্রাইমারি কালার বুঝে নিয়ে, সেই অনুযায়ী  সিস্টেম কালার ঠিক করে নেবে। এমনকি উইজেটের সাইজ, কালার, ডিজাইনে এসেছে নতুনত্ব। সাথে রয়েছে একাধিক প্রাইভেসি ফিচার। এই অপারেটিং সিস্টেমসমৃদ্ধ স্মার্টফোন অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় অনেক ফাস্ট।

গ্রাহকের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। ভিভোর ভি২৭ই এবং ভি২৭ স্মার্টফোনে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১২ সমৃদ্ধ ফানটাচ ওএস ১৩। যা ব্যবহারকারীদের দিচ্ছে দারুণ অভিজ্ঞতা।

প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য এই স্মার্টফোনে রয়েছে এক্সক্লুসিভ পোর্ট্রটে এলগরিদম ‘অরা লাইট’ সমৃদ্ধ ক্যামেরা সেন্সর। রয়েছে ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) এবং ইআইএস (ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সিস্টেম। যা যেকোনো ছবি কিংবা ভিডিওকে প্রাণবন্ত ভাবে উপস্থাপন করবে।

ভালো মানের প্রসেসর, বিশাল স্টোরেজ এবং ব্যাটারির সুবিধা, হ্যাং কিংবা ল্যাগহীন ভিভোর এই স্মার্টফোন দুইটি পাওয়া যাবে ভিভোর যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে। ভি২৭ই পাওয়া যাচ্ছে ল্যাভেন্ডার পার্পেল ও গ্লোরি ব্ল্যাক রঙে। দাম পড়বে ৩২,৯৯৯ টাকা। পাশাপাশি নোবেল ব্ল্যাক ও ম্যাজিক ব্লু এই দুই রঙের ভি২৭ এর দাম পড়বে ৫৪,৯৯৯ টাকা।  

   

ডেটাকম প্রজেক্ট টিম লিডার’ নিবে হুয়াওয়ে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ডেটাকম প্রজেক্ট টিম লিডার’ নিবে হুয়াওয়ে

ডেটাকম প্রজেক্ট টিম লিডার’ নিবে হুয়াওয়ে

  • Font increase
  • Font Decrease

শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ (লিমিটেড) ‘ডেটাকম প্রজেক্ট টিম লিডার’ পদে জনবল নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। টেলিকম ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ইন্ডাস্ট্রিতে সেরা মেধাবীদের খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

হুয়াওয়ে সক্রিয়ভাবে একটি বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্ম পরিবেশ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর, যেখানে তারা কর্মীদের বিকাশ ও কর্মজীবনে অগ্রগতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে।

পদসংশ্লিষ্ট দায়িত্ব
- সফলভাবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালনা অথবা কাস্টমার সাপোর্ট প্রদান করা
- একটি হাই-পারফরম্যান্স টিম এর ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও ব্যক্তিক সন্তুষ্টির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা
- সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স ও সেবার মান নিশ্চিতের মাধ্যমে অনন্য গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের ওপর ফোকাস করে চলমান প্রকল্পের জন্য সকল প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা পরিচালনা করা এবং ডিভাইসগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার শর্তাবলী
- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই), ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) অথবা এ সম্পর্কিত আইটি বিষয়ে নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রি (চার বছর মেয়াদী);
- টেলিকম/আইএসপি ইন্ডাস্ট্রিতে নূন্যতম ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, এ পদে ডেটা-কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কস বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অগ্রাধিকার পাবেন।

অন্যান্য যোগ্যতা
- এমপিএলএস, এল২ভিপিএন/এল৩ভিপিএন, এমপি-বিজিপি, ওএসপিএফ, বিএফডি ও ভিপিএন এফআরআর এর মতো প্রধান প্রধান প্রযুক্তিতে প্রার্থীদের বিস্তৃত কাজের অভিজ্ঞতা
- হুয়াওয়ে ডেটাকম প্রোডাক্টস-এ কাজের অভিজ্ঞতা
- আইইটিএফ, আইটিইউ-টি, আইইইই সহ ইন্ডাস্ট্রি মানদণ্ড সম্পর্কে পরিচিতি এবং চাহিদানুযায়ী গ্রাহক চাহিদা পূরণ
- এইচসিআইই, সিসিআইই অথবা ডেটা নেটওয়ার্কে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সার্টিফিকেশন অগ্রাধিকারযোগ্য

নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণকারী আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে এবং হুয়াওয়ে- এর অসাধারণ টিমের অংশ হতে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যাতে তারা বাংলাদেশ এবং এর বাইরে উদ্ভাবনী আইসিটি সল্যুশন্স এবং পরিষেবা প্রদানে কোম্পানির ক্রমাগত সাফল্যে অবদান রাখবে।

;

ডিসপ্লে আর লুকে দুর্দান্ত ভিভো ওয়াই ১৭ এস



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রস্টেড এলিগেন্স ডিজাইনের দারুণ চমকে দেশে যাত্রা শুরু করছে ভিভো ওয়াই১৭এস। আকর্ষণীয় গ্লিটার পার্পেল এবং ফরেস্ট গ্রিন রঙের ভিভো ওয়াই১৭এস স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ৮৪০ নিটস হাই ব্রাইটনেস ডিসপ্লে, ৫০ মেগাপিক্সেল এইচডি ক্যামেরাসহ দারুণ সব ফিচার।

স্মার্টফোনে রঙের ব্যবহারে বরাবরই বেশ রুচিশীল গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। এবার ভিভো ওয়াই১৭এস এর ব্যাক সাইডের রঙ নির্বাচনেও পাওয়া যাচ্ছে এমনই রুচিশীলতার পরিচয়।

প্রথম লুকেই গ্লিটার পার্পেল কিংবা ফরেস্ট গ্রিন রং দেবে চোখের আরাম, মনে আসবে এক ধরনের প্রশান্তির অনুভূতি আর সেই অভিব্যক্তি মুখের ভাষায় হবে ‘‘অসাধারণ”। ব্যাক সাইডে ক্যামেরার চারপাশে স্কয়ার শেপের অভিনব গ্লসি ডিজাইন নজর কাড়বে সবার। ২.৫ডি কার্ভড ডিজাইন এবং কম্পোজিট ম্যাটেরিয়ালের সিল্কি স্মুথ ফিনিশ দেবে দুর্দান্ত গ্রিপ। তাই লুকে বাজিমাত করার পাশাপাশি মাত্র ১৮৬ গ্রামের স্মার্টফোনটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে স্মুথ ও লাইট অভিজ্ঞতা।

এবার আসি, কেমন পারফরমেন্স করবে ভিভো ওয়াই১৭এস। স্মার্টফোনটির ডান পাশেরই রয়েছে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার যা অত্যন্ত দ্রুত লক-আনলক করতে সক্ষম। রয়েছে ফেস ওয়াক। এই দুইটি ফিচার যেমন দ্রুত কাজ করে সময় বাঁচাবে তেমনি ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা দিয়ে ব্যবহারকারীকে রাখবে নিশ্চিন্ত। চাইলে ব্যবহারকারী ঠিক করতে পারবে তার স্মার্টফোন অন্যরা দেখার সময় কোনো অ্যাপ বা ইন্টারফেস দেখতে পারবে কি না। এমনকি নিরাপত্তার স্বার্থে লোকেশন এবং ব্যক্তিগত তথ্য বাদ দিয়ে ছবি শেয়ার করতে পারবে ব্যবহারকারী।

প্রসেসর হিসেবে মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ এবং অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ফানটাচ ওএস১৩ রয়েছে ভিভো ওয়াই১৭এস এ। দু’য়ে মিলে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে স্মার্টফোনটি। ৬.৫৬ ইঞ্চি এলসিডি মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেতে পাওয়া যাবে ১৬১২ × ৭২০ রেজুলেশন। এর ২৬৯ পিপিআই পিক্সেল ডেন্সিটি রঙের আসল উজ্জ্বলতা তুলে ধরে দেবে কন্টেন্ট উপভোগের অন্যন্য অভিজ্ঞতা। ৮৪০ নিটস পর্যন্ত ব্রাইটনেস থাকায় যেকোনো আলোতে ডিসপ্লে ব্যবহারে আলো-জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। যা এই বাজেটের মধ্যে এবারই প্রথম।

একাধিক অ্যাপ ব্যবহারের পাশাপাশি স্পিলিট স্ক্রিন মুড অন করে দুইটি অ্যাপ এক সাথে একই স্ক্রিনে কাজ করা যাবে। মাল্টিটাস্কিং এ অন্যন্য অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে ভিভো ওয়াই১৭এসে। রয়েছে ৬ জিবি র‌্যামের পাশাপাশি আরো ৬ জিবি র‌্যাম বাড়ানোর সুযোগ। স্টোরেজের দুশ্চিন্তা দূর করতে রয়েছে ১২৮ জিবি রমের সুবিধা।

১৩ ঘণ্টা টানা সট ভিডিও দেখা, ১৯ ঘণ্টার বেশি অনলাইনে কন্টেন্ট উপভোগ কিংবা ৬০ ঘণ্টা অনলাইনে গান শোনা-ভিভো ওয়াই১৭এস এর পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সুবাদে এই সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারবে গ্রাহক। সাথে রয়েছে ১৫ ওয়াটের টাইপ সি ফ্ল্যাশ চার্জার। একবার চার্জে সারা দিনে ব্যবহারের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা মিলবে নিমিষেই।

৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার ক্যামেরা লেন্সের পাওয়া যাবে ১.৮ এফ এ্যাপারচার। পারফেক্ট সেলফির জন্য রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ। সাথে রয়েছে চমৎকার সব ক্যামেরা মুড। রাতের ছবির জন্য রয়েছে সুপার নাইট মুড। রাতের দুর্দান্ত সব ছবি ধরা দেবে এই ক্যামেরা মুডে। আরো রয়েছে প্যানোরামা, লাইভ ফটো, স্লো-মো, টাইম-ল্যাপস, প্রো, ডকুমেন্টস মোড। তাই ক্যামেরায় নিজের হোক কিংবা অন্যের, ছবি হবে দশে দশ।
ভিভোর যেকোনো অথোরাইজড শো রুম কিংবা ই-স্টোরের আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ১৫,৯৯৯ টাকায় হাতের নাগালে পাওয়া যাবে দুর্দান্ত ভিভো ওয়াই১৭এস ।

;

২৫ বছরে গুগল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ সেপ্টেম্বর, আজ জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ২৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে গুগল বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে। এতে গুগলের শুরুটা হয়েছিল কীভাবে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। সময়ের সঙ্গে নিত্যনতুন পণ্য ও সেবা যোগ করে গুগল প্রতিনিয়ত নিজেদের আকার ও উপযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

বিশ্বের দেশগুলো থেকে দেড় শতাধিক ভাষায় কয়েক বিলিয়ন বার সার্চ করা হয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সামলাতে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটিকে কম খাটতে হয় না। এসব তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী গুগল গড়ে তুলেছে বিশালাকার একেকটি ডেটা সেন্টার।

গুগল সার্চ ইঞ্জিনের শুরুতে নাম রাখা হয়েছিল গুগোল (googol)। কিন্তু কোম্পানি নিবন্ধনের সময় বানান ভুল হওয়ার কারণে এর নাম গুগল (Google) হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গুগল এক লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। সেই বিনিয়োগ করেছিলেন সান মাইক্রোসিস্টেমের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি বেসটোলসহাইম।

;

স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

স্মার্টফোনে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা মহামারির পর থেকেই স্মার্টফোন যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের। করোনাকালে মানুষের জীবনে এসেছে অনেক পরিবর্তন এবং সেই সঙ্গে ইন্টারনেট মানুষকে আধুনিকায়ন হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

কিন্তু করোনাকালের পর থেকেই সব শিক্ষার্থীরা যেন আসক্তি হয়ে পড়েছে স্মার্টফোনে থাকা টিকটক ভিডিও, অনলাইন গেম এবং অনলাইন জুয়ায়। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার।

তেমনি সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের শাকদহা নামক ব্রিজে গাড়ি দিয়ে যেতে যেতেই দেখা মেলে কিছু যুবকের লাঠি  হাতে নিয়ে টিকটক ভিডিও করার দৃশ্য।

দেখা যায়, তারা একে অপরকে মারছে আর সেই দৃশ্য তাদের স্মার্টফোনে ভিডিও ধারণ করে নিচ্ছে। শুধু শহরের শাকদহা ব্রিজ নয়, বাইপাস সড়ক যেন টিকটকারদের আস্তানা। বিকেলে বের হলে দেখা মেলে স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ক্যামেরা হাতে নিয়ে ভিডিও করার দৃশ্য।

স্মার্টফোনের এই ভিডিও ধারণ করে কি হবে এমন প্রশ্নে নাম গোপন করা এক যুবক বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে শখের বসে এগুলো করি। আমাদের ভালো লাগে আমরা ভিডিও করে টিকটক, ইউটিউব, এবং ফেসবুকে আপলোড করি। সেই ভিডিওতে হাজার হাজার ভিউ হলে আমাদের অনেক ভালো লাগে। শখের বসে ভিডিও করে অনেক সাড়া পাচ্ছি, মাঝে মাঝে নিজেদেরকে সেলিব্রিটি মনে হয় এমনই বলছিলেন নাম গোপন করা ওই যুবক।

শুধু টিকটক, লাইক ভিডিও নয়। শহরে এবং গ্রামে গঞ্জে দেখা মেলে বেশিরভাগ শিশু অনলাইন গেমে আসক্তি। ফ্রি ফায়ার ও পাবজি যেন তাদের মস্তিষ্ক দখল করে নিয়েছে।

তেমনি গ্রামের এক দোকানে গেলেই দেখা মেলে চোরাটে বসে অনেক গুলো যুবক গেম খেলছে এবং পাশ থেকে সবাই উঁকি মেরে দেখছে। সবার মন যেন গেমে, কেউ ডাকলে বা কল দিলে ধরা বা শোনার সময় নেই তাদের।

তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা রাত দিন সব সময় গেম খেলে সময় কাটান। তারা অনেক অনেক দিন সারা রাত ও গেম খেলে পার করেন। তারা যেন আসক্ত হয়ে গেছে। স্কুল থেকে এসেই তারা ফোন নিয়ে গেম খেলতে বসে। গেম খেলা যেন তাদের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে। তিন বেলা ভাত খায় আর গেম এটাই তাদের জীবন। স্মার্টফোন তাদের জীবনে কাল হয়ে আসছে কিন্তু তাদের বোঝানোর কোনো উপায় না।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সময়ে যুবকরা অনলাইন গেম, টিকটক, অনলাইন জুয়ায় খুব আসক্তি হয়েছে। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে এসব অনলাইন গেমে অনেকেই আসক্তি হয়ে আত্মহত্যাও করছে। তাই আমাদের উচিত সোচ্চার হওয়া। সব বাবা মা যদি তাদের সন্তানদের নিজের দখলে রাখতে পারতো তাহলে এমন অধপতন হতো না। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো এসব অনলাইন গেম, টিকটক, অনলাইন জুয়া যেন বন্ধ করে দেয়।

;