ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

ইন্টারনেটবিহীন ৭ দিনে বরিশালে ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল নগরীর কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলামের সংসার চলে ফ্রিল‌্যান্সিং করে। ১৮ জুলাই দুপুরে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ২৮৭ ডলার ব‌্যয় করে একটি ক‌্যাম্পেইন চালু করেছিলেন। সন্ধ‌্যায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনলাইন দুনিয়া থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

তরিকুল ইসলাম বলেন, ক‌্যাম্পেইনের অর্ডারটি (ফরমায়েশ) বিদেশী ক্লায়েন্টের ছিল। আমার ডলার কেটে নিয়ে গেলেও কাম্পেইন সম্পন্ন হয়নি। আরও কয়েকটি অর্ডার হারিয়েছি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে তা চাইলেও আগামী চার বছরেও পূরণ করতে পারবো না। শুধু তরিকুল ইসলামই নয়, বর্তমানে তার মতো প্রায় ১০ হাজার ফ্রিল্যান্সার অনলাইনে খুঁজে নিয়েছেন কর্মসংস্থান। এরা সকলেই ক্ষতির মুখে হারিয়েছেন পুঁজি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীদের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে জানা গেছে, গত সাতদিনে বরিশাল বিভাগে ন্যূনতম এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে-ইন্টারনেট নির্ভর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ফ্রিল‌্যান্সার, ক্যাবল অপারেটর ও পরিবহন কাউন্টার। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইন্টারনেট সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বরিশাল ফ্রিল‌্যান্সার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ রানা বলেন, আমার সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত দুই হাজার সদস্য রয়েছেন। সরকার অনুমোদিত আরেকটি সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রিল‌্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিতে ৫০ জন আছেন। সংগঠনের বাইরে ফ্রিল‌্যান্সার রয়েছে আরও প্রায় সাত হাজার। তারা সকলেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছয়দিনে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার নিট মুনাফা হারিয়েছে।

এরমধ্যে দেখা গেছে, অনেক অর্ডার সময় মতো ডেলিভারি দিতে ও অর্ডার নিতে পারিনি। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে বহির্বিশ্বে আমাদের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। কারণ টানা ছয়দিন কোনো ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ হয়নি। তারা আমাদেরকে প্রতারক ভাবলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। সুতরাং নেতিবাচক মনোভাব তৈরির ক্ষতি আর কখনো পুষিয়ে উঠতে পারবো বলে মনে হয় না।

জিহাদ রানা বলেন, ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট সবগুলো খাত অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পরেছে। অর্থের হিসেবে বিভাগে আনুমানিক এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু মার্কেটিং পলিসিতে খ‌্যাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা টাকায় পরিমাণযোগ‌্য নয়।

দক্ষিণাঞ্চলে ইন্টারনেট সরবারহকারী সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ইউরোটেল বিডি অনলাইন লিমিডেটের ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এসএম জাকির হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীদের পাশাপাশি ইন্টারনেট সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছে। কারণ ব‌্যান্ডউইথ কিনে ব‌্যবহারকারী পর্যায়ে দিতে না পারায় আমরা নিট মুনাফা হারিয়েছি।

উল্লেখ‌্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠি দেশে নাশকতার সৃষ্টি করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগের লাইন বিচ্ছিন্ন করায় গত ১৮ জুলাই রাতে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা। এরপর ২৪ জুলাই মাঝরাতে বরিশাল বিভাগের জেলা শহরগুলোতে ব্রডব‌্যান্ড সার্ভিস পাওয়া শুরু হলেও ২৬ জুলাই দুপুর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ গতি পাচ্ছেনা ইন্টারনেট ব‌্যবহারকারীরা।

;

ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে নির্দেশনা, বন্ধ ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। তবে, বন্ধ থাকবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দেওয়া নির্দেশনায় এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বলা হয়েছে, ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকলেও ইউটিউব চলবে।

বিটিআরসির নির্দেশনার পরই ক্যাশ সার্ভার থেকে লোকাল ব্যান্ডউইথের জোগান বাড়ানো হয়। ফলে এখন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ইউটিউব ব্যবহার করা যাবে।

জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক সাইট ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ডেটা সেন্টারে আগুন লাগায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে ইন্টারনেটশূন্য হয়ে যায় পুরো দেশ।

;

৫ দিন পর দেশে চালু হলো ইন্টারনেট



ডেস্ক ,বার্তা২৪
৫ দিন পর দেশে ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আবার চালু হয়েছে।

৫ দিন পর দেশে ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আবার চালু হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

৫ দিন পর দেশে ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আবার চালু হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে চলমান পরিস্থিতির মধ্যে সারা দেশের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ছিল। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের কারণ হিসেবে ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলেছে সরকার।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করে দেয় সরকার। টানা ৫ দিন ইন্টারনেটের বাইরে ছিল দেশ। তবে ইন্টারনেট চালু হলেও স্লো কাজ করছে।

এর আগে সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ব্যাংক খাত, বাণিজ্যিক এলাকা, মিডিয়া ও বন্দর এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হতে কিছু সময় লাগবে।

সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ৯টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ হিসেবে তখন চলমান পরিস্থিতির কথা বলেছেন। শুক্রবার (১৯ জুলাই) তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্বৃত্তদের আগুনে মহাখালীতে অবস্থিত ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জানান, রাজধানীর মহাখালীতে দুস্কৃতকারীদের অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ডেটা সেন্টার ও সঞ্চালন লাইন পুনঃসংযোগের কাজ চলছে; যা মেরামত করতে আরও সময় লাগবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মহাখালীতে দুর্যোগ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। এ ভবনের পাশেই থাকা তিনটি ভবনে আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেটা সেন্টারসহ ইন্টারনেট সরবরাহকারী কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। আগুনে এসব ভবনের বাহিরে থাকা কিছু কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই ডেটা সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত কেবল কেটে ফেলা হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এ জায়গা থেকে সারা দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়। ফলে এখানে ডেটা সেন্টার বন্ধ থাকলে সারা দেশের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে না।

এদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ইমদাদুল হক শনিবার (২০ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মহাখালীতে ডেটা সেন্টারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে কেবল ও বিভিন্ন সঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা সেবাগুলো আবার চালু করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ  অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রতিদিন আইসিটি সেবা খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে যেসব ফরমাশ আসে, সেখানে যোগাযোগে সমস্যা হচ্ছে। গ্রাহকেরা আস্থা হারাচ্ছেন। বাংলাদেশের বাজারের প্রতিও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এত দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট সেবা না পাওয়ায় আইসিটি খাতে সুদূরপ্রসারী ধাক্কা আসবে।

;

স্মার্ট নাগরিক গড়তে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

ছবি: সংগৃহীত, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেও প্রযুক্তির নিত্য নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ইন্টেলিজেন্স যুগে হয়ত প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে অপ্রয়োজনীয় হয়ে যেতে পারি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের 'দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে' প্রকল্পের আওতায় নির্মিত কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এই ইন্টেলিজেন্স যুগে প্রতিযোগিতার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বের আসনে আসীন করতে হলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে আমাদের দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে শুধুমাত্র শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হলেই হবে না; শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে একটা নলেজ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে এবং আমাদের মনস্তাত্ত্বিক একটা পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সনদমুখী বা উচ্চশিক্ষামুখী না হয়ে এবং ঢাকা কিংবা বিদেশমুখী না হয়ে দক্ষতানির্ভর ও কর্মমুখী মানবসম্পদ হিসেবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোনো বিলাসী পণ্য নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী পলক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবটিকস এখন আর কোনো বিলাসী পণ্য নয়। রোবট এখন আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। উন্নত বিশ্বে উৎপাদনমুখী কারখানায় শ্রমিকের পরিবর্তে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকী তৈরি পোশাকখাতেও অনেক কাজে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাস্তবতা এটা দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকদের যদি আমরা ‘আপস্কিলিং’ বা ‘রিস্কিলিং’ করে দক্ষতার উন্নয়ন করতে না পারি, তাহলে হয়ত কিছুদিন পর আমরা দেখবো রোবট এই শ্রমিক ভাইবোনদের যায়গা দখল করে নিয়েছে।

আমাদের মেন্টরিংয়ের ভূমিকা নিতে হবে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রথাগত শিক্ষাপদ্ধতির পরিবর্তনের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

আমাদের শিক্ষকদের রোলটা শুধু শিক্ষকতা না হয়ে মেন্টরিংয়ের হতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী কারিকুলামের বাইরে কিছু শিখতে চাইলে তাকে সঠিক প্ল্যাটফর্ম দেখিয়ে দিতে হবে। দীক্ষা ও মুক্তপাঠের মতো এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে, আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে যুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ। আগামীর ইন্টেলিজেন্স যুগে আমাদের সফল হতে হলে দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে একটা ব্লেন্ডেড নলেজ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে।

;