প্রথমবারের মতো লেদার-ব্যাক ডিজাইনসহ বাজারে এলো 'রিয়েলমি সি৬৩’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণদের প্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশের স্মার্টফোন মার্কেটে কাঙিক্ষত ‘রিয়েলমি সি৬৩’ মোবাইল ডিভাইসটি নিয়ে এসেছে; আকর্ষণীয় এই ফোনে রয়েছে অসাধারণ সক্ষমতার ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জ ফিচার, যার মাধ্যমে মাত্র ৩ মিনিট চার্জের মাধ্যমে ১ ঘণ্টাব্যাপী ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করা যাবে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই স্মার্টফোনে আরো রয়েছে- ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এটি ১০ মিনিটেই ২০ শতাংশ, ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশ এবং মাত্র ৭৯ মিনিটে ১০০% অর্থাৎ পূর্ণ চার্জ লাভ করে। এছাড়া, ৬০-সেকেন্ড চার্জে ব্যবহারকারীরা ফোনে কথা বলতে ৬০ মিনিট সময় ধরে। ‘রিয়েলমি সি৬৩’ একমাত্র ফোন যেটি এই সেগমেন্টে প্রথম ‘টিইউভি রেইনল্যান্ড সেফ ফাস্ট-চার্জ সিস্টেম সার্টিফিকেশন’ অর্জন করেছে; এই সার্টিফিকেশন চার্জিং প্রক্রিয়ার নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয় অর্থ্যাৎ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পর্যায়ে কঠিন সব পরীক্ষা পেরুতে হয়েছে এটিকে।

‘রিয়েলমি সি৬৩’ এ ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে ভেগান লেদার ব্যাক কভার, যেটি পূর্বে ইন্ডাস্ট্রিতে শুধুমাত্র ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হতো। এর ফলে লাক্সারিয়াস টেক্সারের পাশাপাশি ফোনটি পাবে স্থায়িত্ব ও সুরক্ষা। ভেগান লেদার ব্যাক এর ‘কোয়ার্স লিচি প্যাটার্ন’ বেশ মানানসই, নান্দনিক ও মুঠোবন্দি করা যায় সহজেই। এই প্রাইস সেগমেন্টেই ডিভাইসটিকে প্রিমিয়াম আঁচ দিতে যুক্ত করা হয়েছে মেটাল লেন্স ডেকো।

এই স্মার্টফোনে আরো রয়েছে ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল এআই ফিচার। যেমন উল্লেখ করা যেতে পারে, এয়ার জেসচারস এবং রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ এর কথা, এটি পূর্বে শুধুমাত্র রিয়েলমি নাম্বার ও জিটি সিরিজ এ পাওয়া যেত। এই অভিনব ফিচার ব্যবহারকারীদের নিত্যদিনের চাহিদা পূরণ করবে এবং স্ক্রিন স্পর্শ না করেই নির্বিঘ্নে নেভিগেশন ও অন্যান্য কাজের সুযোগ করে দেবে। এয়ার জেসচার এর মাধ্যমে ইউজাররা হাতে স্পর্শ না করেই খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা, রান্না-বান্না ইত্যাদি কাজের সময়ও ভিডিও দেখা বা কল এর উত্তর দিতে পারবেন। রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ যেকোনো বৃষ্টিস্নাত পরিস্থিতি অথবা শাওয়ার নেওয়ার সময়ে স্মার্টফোনের নির্বিঘ্ন ব্যবহার নিশ্চিত করে। এছাড়া, ফোন কলের নয়েজ হ্রাস প্রযুক্তি রয়েছে ‘সি৬৩’ ডিভাইসে, আরো আছে প্রশংসিত ‘মিনি ক্যাপসুল ২.০ ফাংশন’; যা স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।

‘রিয়েলমি সি৬৩’ এ আরো আছে উন্নত প্রযুক্তির ‘অক্টা-কোর চিপ’। নিখুঁত পারফরম্যান্সের এই ডিভাইস মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন মার্কেটে প্রায় অদম্য। এছাড়া এই ডিভাইসে আরো রয়েছে ‘রিয়েলমি ইউআই ১৪’ এর লেটেস্ট ভার্সন।

রিয়েলমি সি৬৩ মনোমুগ্ধকর দুইটি রঙে ব্যবহারকারীদের হাতে শোভা পাবে, একটি হচ্ছে- ‘লেদার ব্লু’ ও অন্যটি ‘জেড গ্রিন’। স্মার্টফোনটির ৬জিবি+১২৮জিবি ভার্সন এর আকর্ষণীয় মূল্য মাত্র ১৬,৯৯৯ টাকা এবং ৮জিবি+১২৮জিবি ভার্সন এর মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। এছাড়া অনলাইন মার্কেট প্লেস পিকাবু’তে ফ্ল্যাশ সেল অফারে ৬জিবি+১২৮জিবি ভার্সনটি পাওয়া যাবে মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকা এবং ৮জিবি+১২৮জিবি ভার্সনটি পাওয়া যাবে মাত্র ১৭,৯৯৯ টাকায়।

স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য সর্বোচ্চ মান ও পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি। আর তাই সি৬৩ ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ও অভিনব সব ফিচারের লাক্সারি নিয়ে এসেছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি। রিয়েলমি এর ‘সি৬৩’ ডিভাইস এর লঞ্চ বা উন্মোচন বিষয়ক যেকোনো তথ্যের জন্য রিয়েলমি বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ভিজিট করুন- https://www.facebook.com/realmeBD/

   

রিয়েলমি সি৬৫ প্রি-বুকিং ক্যাম্পেইন বিজয়ী পেলেন ১ লাখ টাকার পুরস্কার



নিউজ ডেস্ক
রিয়েলমি সি৬৫ প্রি-বুকিং ক্যাম্পেইন বিজয়ী পেলেন ১ লাখ টাকার পুরস্কার

রিয়েলমি সি৬৫ প্রি-বুকিং ক্যাম্পেইন বিজয়ী পেলেন ১ লাখ টাকার পুরস্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

রিয়েলমি সি৬৫ প্রি-বুকিং ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দিয়েছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। একটি আকর্ষণীয় লটারির মাধ্যমে এ অনন্য সুযোগ লুফে নিয়েছেন ভাগ্যবান বিজয়ী মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম সামি। রিয়েলমি সি৬৫ ডিভাইসটি প্রি-বুক করার মাধ্যমে ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছিলেন সামি।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর ড্যারেন ঝ্যাং ১ লাখ টাকার একটি চেক মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম সামির হাতে তুলে দেন। এছাড়া, রিয়েলমি সি৬৫ কিনে ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া অন্যান্য গ্রাহকদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে আরও পাঁচ জন ভাগ্যবান বিজয়ীকে নির্বাাচিত করা হয়। এসব বিজয়ী গ্রাহকরা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ‘একটি কিনলে একটি ফ্রি’ অফার।

বাংলাদেশে রিয়েলমি সি৬৫ উন্মোচনের সময়, একটি আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে দেশজুড়ে থাকা রিয়েলমি’র অনুমোদিত আউটলেটগুলো থেকে গ্রাহকদের স্মার্টফোনটি প্রি-বুক করতে বলা হয়। সেখান থেকে নির্বাচিত বিজয়ীদের ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার এবং ‘একটি কিনলে একটি ফ্রি’ অফারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিভিন্ন সময়ে অসাধারণ ফিচার উপস্থাপনের মাধ্যমে রিয়েলমি দেশের তরুণদের মনে ১ নম্বর কোয়ালিটি ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। ৭.৬৪ মিলি মিটারের আল্টা স্লিম বডির স্টাইলিশ ফোনটি এই শ্রেণির সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীকে এই ফোন দিচ্ছে চার বছর ল্যাগ-ফ্রি ব্যবহারের আত্মবিশ্বাস। এই শ্রেণির মধ্যে এটাই একমাত্র ফোন, যেটি টিইউভি-এসইউডি সার্টিফিকেশনের কাছ থেকে পেয়েছে জার্মান ৪-বছরের স্মুদ সার্টিফিকেশন। ডিভাইসের পারফরম্যান্স কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হলে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

একটি ম্যারাথন ব্যাটারির পাশাপাশি এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা। মাত্র ৩০ মিনিটের চার্জেই স্মার্টফোনপ্রেমীরা পাচ্ছেন ৫০% পর্যন্ত চার্জিংয়ের সুবিধা। এতে আরও রয়েছে টিইউভি লো ব্লু লাইটের মতো হাই-এন্ড সেফগার্ডিং ফিচার, যার কারণে টানা ব্যবহারেও ফোন ব্যবহারকারীর চোখের ব্যথা (আই স্ট্রেইন) কম হবে। রিয়েলমি সি৬৫ স্মার্টফোনে রয়েছে আইপি৫৪ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এবং রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ ও একটি ৩৬০ ডিগ্রি সারাউন্ড অ্যান্টেনা ডিজাইনের মতো উদ্ভাবনী ফিচারসমুহ। এসব ফিচার ফোনের দীর্ঘস্থায়িত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকেও আরও বাড়িয়ে তোলে।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর ড্যারেন ঝ্যাং বলেন, “প্রতিটি নতুন ডিভাইস উন্মোচনের সঙ্গে সঙ্গে ব্র্যান্ডের স্বনামধন্য দীর্ঘস্থায়িত্ব ও নির্ভরযোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি। বাজারে আনার পর সি৬৫ গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ক্যাম্পেইনে ১ লাখ টাকা পুরস্কার বিজয়ী এবং পাঁচজন ‘একটি কিনলে একটি ফ্রি’ ডিল বিজয়ীদের আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

১ লাখ টাকা পুরস্কারজয়ী মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম সামি বলেন, “রিয়েলমি’র কাছ থেকে পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ টাকা পাব, এ বিষয়টি আমার জন্য পুরোটাই সারপ্রাইজ ছিল। একটি ফোন কিনে এমন ভাগ্যবান হব, এটা আমি ভাবতেই পারিনি। গ্রাহকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য রিয়েলমি’র এই প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই। এই মুহুর্তে, আমি রিয়েলমি সি৬৫ ডিভাইসের অসাধারণ ফিচারসমূহ ব্যবহার করতে পেরেই খুশি, তার ওপর পোয়া বারো হিসেবে পুরস্কারের টাকা তো এসেছেই!”

ব্র্যান্ডের গ্রাহকদের বুঝতে পারে এমন একটি টেক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় রিয়েলমি। তাই ভবিষ্যতেও চমৎকার ডিভাইস বাজারে আনা এবং আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইন আয়োজন করা চালিয়ে যাবে সকলের প্রিয় এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি।

;

মোবাইল খাতে কর বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে গ্রাহক ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আলোচনা সভা

আলোচনা সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোবাইল সেবা ব্যবহারের ওপর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও সিম সংযোগের ওপর ১০০ টাকা মূল্য সংযোজন কর (মুসক) আরোপের ফলে মোবাইল গ্রাহক এবং এই শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এর আগে, এ ধরনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেবার মূল্য বৃদ্ধি করা হলে গ্রাহকরা মোবাইলের ব্যবহার কমিয়ে দেন। ফলশ্রুতিতে একদিকে যেমন রাজস্ব আহরণ কমে যায় অপরদিকে সরকারের কোষাগারেও প্রদেয় অর্থের পরিমাণ হ্রাস পায়।

সিম সংযোগের ওপর প্রদেয় ভ্যাট ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করার কারণে মোবাইল গ্রাহকের প্রবৃদ্ধি অনেক কমে যাবে।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) বনানী অফিসে আয়োজিত এই সম্মেলনে অপারেটরের প্রতিনিধিরা সদ্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন বাংলালিংক ডিজিটালের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন এবং এমটব মহাসচিব লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.)।

মোবাইল খাতের নতুন করে করারোপ না করে তাকে যৌক্তিক অবস্থায় আনতে এনবিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সরকাররের কাছে বার বার অনুরোধ করা হলেও কর বৃদ্ধি করায় অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে করি। এর আগে আমরা সরকারের কাছে সুপারিশমালা তুলে ধরেছিলাম কিন্তু তার কোনকিছুই মানা হয়নি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য আনুযায়ী, দেশে ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক। বর্তমানে দৈনিন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাফতরিক কার্জকম- সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহার। অথচ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখনো টেলিকম সেবার বাইরে রয়েছে দেশের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী। আমাদের প্রতিবেশী দেশের তুলানায় কয়েকগুণ পিছিয়ে রয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে ডাটা ব্যবহারেও। তবে এ খাতে গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে সাথে রাজস্ব বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ যখন বিশ্ব দরবারে ডিজিটাল সেবা প্রদানে প্রশংসিত হচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে নতুন করে গ্রাহকদের ওপর আরও করের বোঝা বৃদ্ধি করা হলো। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবা ব্যবহারে গ্রাহকদের সর্বমোট কর দিতে হবে ৩৯ টাকা। যা হবে সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবোর্চ্চ।

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল মিলিয়ে একজন মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মাসে গ্রাহক ব্যবহার করে ২৭-২৯ জিবি। বাংলাদেশের গ্রাহকরা ভারতের তুলনায় ডাটা ব্যবহারে কয়েকগুণ পিছিয়ে আছেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গ্রাহক পর্যায়ের মোবাইল ইন্টারনেট সেবার কর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মালেশিয়ায় ৬%, থাইল্যান্ড ৭%, নাইজেরিয়া ৭.৫%, সিঙ্গাপুর ৯%, ইন্দোনেশিয়া ১১%, ফিলিপাইন ১২%, ক্যাম্বোডিয়া ১৩%, ভারত ১৮%, শ্রীলঙ্কা ২৩.৫%, নেপাল ২৬.২%, বাংলাদেশ ৩৩.২৫% এবং পাকিস্তান ৩৪.৫% কর আরোপিত রয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখনো টেলিকম সেবার বাইরে রয়েছে দেশের ৪২ শতাংশ জনগোষ্ঠী। বর্তমান মোবাইল সেবা ব্যবহারকারীদের ৬৩ শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ৫৪ শতাংশ ৪জি গ্রাহক। অর্থাৎ বর্তমান মোবাইল সেবা ব্যবহারকারীদের মধ্যেও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো মোবাইল ইন্টারনেট সেবা (৩৭%) ব্যবহার করতে পারছে না এবং ৪জি সেবা (৪৬%) ব্যবহারের সক্ষমতাও অর্জন করতে পারেনি। এ খাতে গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে সাথে রাজস্ব বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ রয়েছে।

সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। তবে করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়ে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব।
করনীতি স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের বিপরীত দিকেই হাঁটছে। কাজেই মোবাইল সেবার চলমান উন্নয়ন এবং গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রসার বেগবান করতে যৌক্তিক কর কাঠামোর কোন বিকল্প নেই।

;

বাংলাদেশে এআই-বিশেষজ্ঞ-ডেভেলপার তৈরিতে‌ মাইক্রোসফটের আগ্রহ প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), বিশেষজ্ঞ ও ডেভেলপার তৈরি, স্টার্ট-আপদের মধ‌্যে ইন্টারন‌্যা‌শনাল বিজনেস সক্ষমতা তৈরি এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব‌্যক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তিবিষয়ক জায়ান্ট মাইক্রোসফট।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের সঙ্গে দেখা করে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুপ ফারুক এ আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান।

এসময় স্টার্ট-আপ অন মাইক্রোসফট ফাউন্ডার প্রোগ্রাম, সাইবার নিরাপত্তা, পরিপূর্ণ ডাটা ও এআই-এর জন‌্য একক প্ল্যাটফর্ম তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনাকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পৃথিবী আরেকটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তনের এই অভিযাত্রায় রয়েছে অনেক চ‌্যালেঞ্জ।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে প্রযুক্তির এ চ‌্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। দেশের ব্যাংকিং, টেলিকম, আইসিটিসহ সব খাতে সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট এবং প্রযুক্তির নতুন টুল তৈরিতে মাইক্রোসফট অবদান রাখতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ এবং স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গড়তে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইকে বাইপাস করে কিছু করা সম্ভব নয়।

তাই, এখন সরকারের চ্যালেঞ্জ বা আলোচনার বিষয় হচ্ছে, কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে এবং কতটুকু অপপ্রয়োগকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

;

স্মার্টফোন ব্যবহার কমাতে বাটন ফোনে ঝুঁকছে তরুণরা



টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্টফোন মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। তবে, প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মোবাইলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমন অবস্থায় পুরোনো সেই বাটন ফোনের দিকে ঝুঁকছে তরুণ ও বয়স্করা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বাটন ফোন ব্যবহার করার বিষয়ে কানাডার নাগরিক ১৬ বছর বয়সী লুক মার্টিন বলেন, আমি যখন স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করলাম, তখন দেখলাম আমি সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি। কারণ আমি মোবাইলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতাম। বিশেষ করে আমি যখনই ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার শুরু করেছি তখনই আমার অবনতি ঘটেছে।

তবে লুক একা নয়, তার মতো এখন বেশিরভাগ তরুণের একই অবস্থা।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার ফলে মস্তিষ্কে আঘাত করে। যা একটি আসক্তিযুক্ত পদার্থ গ্রহণ করার সময়ও ট্রিগার হয়। এটি তরুণদের মধ্যে ফোনের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

যুক্তরাজ্যে পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশের হাতে এখন নিজস্ব স্মার্টফোন রয়েছে। যুক্তরাজ্যের অফিস অব কমিউনিকেশনের (অফকম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে , বিশেষত শিশুদের ওপর । কিছু ক্যাম্পেইনার চাচ্ছে মোবাইল ব্যবহারের বয়স নির্ধারণ করে দিতে।

অন্যদিকে লুকের মতো অনেকেই বাটন ফোনের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। লুক বলেন, বাটন ফোন ব্যবহার করার ফলে এখন ২০ মিনিটের বেশি মোবাইল ব্যবহার করা হয় না তার। তার বন্ধুদেরও একি অবস্থা, বলে জানায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্তানদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও বাটন ফোনে উৎসাহী হচ্ছে, তারা আত্মীয় স্বজনদেরও উপহার দিচ্ছে।

লিজি ব্রাটনের পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি নিজের জন্য একটি নকিয়ার ফ্লিপ ফোন কিনেছেন বলে জানান। বলেন, শুধু নিজের অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য নয়, আমার ছেলকে যেন পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি তার জন্য।

সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, উত্তর আমেরিকতে বাটন ফোনের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাম্বওয়্যারলেসের স্টোর-মালিক ডেইজি ক্রিগবাউম বলে, গ্রাহকরা নিম্ন প্রযুক্তির ডিভাইস খুঁজছেন। অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চার জন্য বাটন ফোন চাইছেন। তারা চান তাদের সন্তানরা যেনো ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে দূরে থাকুক।

মিডিয়া এবং অনলাইন জগতের সঙ্গে শিশুদের সম্পর্কের বার্ষিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মেসেজিং পরিষেবা ব্যবহার করে এমন পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা ৫৯ থেকে বেড়ে ৬৫ শতাংশ হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এই বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩০ থেকে বেড়ে ৩৮ শতাংশ হয়েছে। লাইভস্ট্রিমের জন্য এ হার ৩৯ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। মাত্র ৪০ শতাংশ অনলাইনে গেম খেলে, যা গত বছর ছিল ৩৪ শতাংশ। ১৩ বছরের কম বয়সী অর্ধেকেরও বেশি শিশু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। এটি বেশিরভাগ বড় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের নীতিমালার লঙ্ঘন।

;