স্মার্ট নাগরিক গড়তে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেও প্রযুক্তির নিত্য নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ইন্টেলিজেন্স যুগে হয়ত প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে অপ্রয়োজনীয় হয়ে যেতে পারি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের 'দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে' প্রকল্পের আওতায় নির্মিত কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এই ইন্টেলিজেন্স যুগে প্রতিযোগিতার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বের আসনে আসীন করতে হলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে আমাদের দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে শুধুমাত্র শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হলেই হবে না; শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে একটা নলেজ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে এবং আমাদের মনস্তাত্ত্বিক একটা পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র সনদমুখী বা উচ্চশিক্ষামুখী না হয়ে এবং ঢাকা কিংবা বিদেশমুখী না হয়ে দক্ষতানির্ভর ও কর্মমুখী মানবসম্পদ হিসেবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোনো বিলাসী পণ্য নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী পলক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবটিকস এখন আর কোনো বিলাসী পণ্য নয়। রোবট এখন আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। উন্নত বিশ্বে উৎপাদনমুখী কারখানায় শ্রমিকের পরিবর্তে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকী তৈরি পোশাকখাতেও অনেক কাজে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাস্তবতা এটা দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকদের যদি আমরা ‘আপস্কিলিং’ বা ‘রিস্কিলিং’ করে দক্ষতার উন্নয়ন করতে না পারি, তাহলে হয়ত কিছুদিন পর আমরা দেখবো রোবট এই শ্রমিক ভাইবোনদের যায়গা দখল করে নিয়েছে।
আমাদের মেন্টরিংয়ের ভূমিকা নিতে হবে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রথাগত শিক্ষাপদ্ধতির পরিবর্তনের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আমাদের শিক্ষকদের রোলটা শুধু শিক্ষকতা না হয়ে মেন্টরিংয়ের হতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী কারিকুলামের বাইরে কিছু শিখতে চাইলে তাকে সঠিক প্ল্যাটফর্ম দেখিয়ে দিতে হবে। দীক্ষা ও মুক্তপাঠের মতো এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে, আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে যুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ। আগামীর ইন্টেলিজেন্স যুগে আমাদের সফল হতে হলে দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে একটা ব্লেন্ডেড নলেজ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে।