টেলিভিশনগুলোকে কি বাঁচানো যাবে



মাজেদুল নয়ন; স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
টেলিভিশন/ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধুঁকছে ঢাকার টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। ব্যয়ের তুলনায় আয় না থাকায় কর্মচারী ছাঁটাই করছে নিয়মিত। অন্যদিকে, মানসম্মত অনুষ্ঠান বা খবর প্রকাশ করতে না পারায় বিজ্ঞাপনদাতারাও আর উৎসাহী হচ্ছে না।

একটি বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্ণধার জানান, দেশে টেলিভিশনের মোট দর্শকদের মাত্র ২১ শতাংশ বাংলাদেশি চ্যানেল দেখেন। বাকি ৭৯ শতাংশ বিদেশি চ্যানেলের দর্শক। দেশের যে কোনো চ্যানেলের তুলনায় ভারতের জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলোর দর্শক অনেক বেশি।

বাংলাদেশে কিছুদিন আগে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল দীপ্ত টেলিভিশনের বাংলায় ডাবিং করা তুর্কি সিরিয়াল ‘সুলতান সোলেমান।’ বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের ইতিহাসে এটি রেকর্ড সংখ্যক দর্শক পেয়েছে। ‘সুলতান সোলেমান’ চলাকালে বিজ্ঞাপনের জন্য কোম্পানিগুলোকে প্রতি মিনিটে লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়েছে। তবে সেই অনুষ্ঠানের বিপক্ষেও দাঁড়িয়ে যায় অন্য টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানগুলো এবং প্রযোজকদের সংগঠন। আবার খেলা চলাকালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোর মিনিটের মূল্য বেড়ে যায়।

তবে দেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মানসম্মত অনুষ্ঠান না বানানো এবং দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়াকেই এই বিজ্ঞাপন সংকটের জন্য দায়ী করছেন বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সুলতান সোলেমান’ এর পর দীপ্ত টিভি নিয়ে আসে ‘কোসেম সুলতান’ এবং ‘এইজেল’। তবে এই সিরিজগুলো কিন্তু আগের মতো দর্শক জনপ্রিয়তা পায়নি। কারণ একঘেয়ে হয়ে গিয়েছিল দর্শক। অন্য চ্যানেলগুলোতেও ডাবিং সিরিয়ালের জোয়ার চলে আসে। তবে সবকয়টিই ব্যর্থ হয়।

ওই প্রতিষ্ঠাটির জরিপ থেকে জানা যায়, বর্তমানে খবরের চ্যানেলের মধ্যে ‘সময়’ টেলিভিশন ছাড়া অন্য চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনের হার সন্তোষজনক নয় মালিকদের জন্য। এক মিনিট সময়ের জন্য ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে রাজি হচ্ছে না বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

দেশের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক বছরে অনেক বেশি সংবাদ চ্যানেল হয়েছে। এমনকি অনুষ্ঠান চালানোর জন্য চ্যানেল খোলা হলেও, পরে সংবাদ চালু করা হয়েছে। ভাবা হয়েছিল, সংবাদ না থাকলে বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে না। তবে ধারণা ভুল হয়েছে তিন বছর না পেরোতেই। মানুষ এখন সংবাদের জন্যে অনলাইন মাধ্যমে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে সংবাদ চ্যানেলগুলোও ঝুঁকছে অনলাইনে। ঘরে বসে টিভিতে সংবাদ দেখার দর্শকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে প্রতিদিন।

এদিকে, বেসরকারি চ্যানেলগুলোকে বাঁচাতে এবার সরকারও পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশে পহেলা এপ্রিল থেকে ডাউনলিঙ্ক করা বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

শনিবার (৩০ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তথ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা হলে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপনের হার বাড়বে এবং দেশের টেলিভিশন শিল্প আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

তবে বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞাপন দাতারা বলছেন, মানসম্মত অনুষ্ঠান বা খবর না হলে দর্শক যেমন পাবে না টেলিভিশনগুলো, তেমনি বিজ্ঞাপনের বাজারও বাড়বে না। কারণ বিজ্ঞাপন দাতা দেখবে দর্শকের অংশগ্রহণ কেমন এবং অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কতটুকু। আর তারা বিদেশি চ্যানেলের জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতেন, সেই পরিমাণ অর্থ এখন তৃতীয় মাধ্যমে খরচ করবেন। সেটি ডিজিটাল মিডিয়াতেই যাবে বলে মনে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন সংস্থার ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশে এখন ভালো দর্শক পাচ্ছে দূরন্ত টেলিভিশন। কারণ সেখানে শিশুদের অংশগ্রহণ রয়েছে উল্লেখযোগ্য। ভালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে একটি বড় সংখ্যক শিশু দর্শককে তারা চ্যানেলের দর্শক বানাতে পেরেছে। তবে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে সেটি কমে এসেছে। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে শিশুদের জন্য যে সৃষ্টিশীল অনুষ্ঠানগুলো করা হচ্ছে সেগুলো দর্শক টানছে।

বর্তমানে দেশে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের যে বাজেট তার মাত্র ১৯ শতাংশ খরচ হচ্ছে দেশি চ্যানেলে। আর ৮১ শতাংশই দেওয়া হচ্ছিল বিদেশি চ্যানেলে।

বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞাপন দাতারা বলছেন, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে যে বিজ্ঞাপনের টাকাটা বিদেশি চ্যানেলে যেতো সেটি এখন অনলাইন বা ডিজিটাল মিডিয়ায় খরচ করবে প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ এখন মানুষ টেলিভিশনের চেয়ে ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন অ্যাপসে বেশি সময় কাটাচ্ছে। ফলে সে অনুযায়ী ক্রিয়েটিভ বিজ্ঞাপন তৈরি এবং এসব মাধ্যমে এই অর্থ ব্যয়ের দিকে মনোযোগ বিজ্ঞাপন দাতাদের। কারণ সেখানেই টার্গেট গ্রুপের উপস্থিতি বেশি।

তিনি বলেন, যাই হোক জোর করে বিজ্ঞাপন আদায় করলেও, দর্শক না থাকলে সেই বিজ্ঞাপন বেশিদিন স্থায়ী হয় না। ফলে টিভি চ্যানেলগুলো নিজেদের পরিবর্তন না করলে সরকারের এই পদক্ষেপেও কোন পরিবর্তন আসবে না।

   

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ



নিউজ ডেস্ক
ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

  • Font increase
  • Font Decrease

চার্জ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে এসেছে ভিভো ভি৩০ লাইট। এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চয়তা দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো। সাথে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। প্রতিদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারে ৪ বছরের মধ্যে যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০% থেকে কমে যায় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তাই ব্যাটারি হেলথ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

১১ মে থেকে দেশের যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে মিলছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি। থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি ব্যাক সাইডে এবার রয়েছে বেশি ভিন্ন আয়োজন। এর ব্রিজ গ্রিন রঙয়ের স্মার্টফোনটি ব্যাক প্যানেল কালার পরিবর্তন হয়। ইউভি লাইটে বা সূর্যের আলোতে হালকা সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে বেশ ভিন্ন একটি লুক আনে। ব্যবহারকারী চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ব্যাক সাইডে। ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

স্মার্টফোনটির চারপাশে রয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। মাত্র ৭.৭৯ মি.মি এর সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যায়। মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ২৪০০ × ১০৮০। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেশন ১৬৩.১৭ × ৭৫.৮১ × ৭.৭৯ মিলিমিটার।

মাল্টি টাস্কিং এর জন্য ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে স্নাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম। একই সাথে ২৫ টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোনটিতে। কারণ এতে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। সাথে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সাথে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।

;

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের খরচ বাড়বে।

এনবিআর সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

সর্বপ্রথম ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এনবিআরের সূত্র মতে, ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এমনতিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, উচ্চ কর হারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্ক হার যদি আবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্রাহক এবং সার্বিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে, বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে।

তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ সফল হবে না, কারণ ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।

;

‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ‘দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের (জেড-৭০৪০) প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর ভৈরব সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। এই প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা প্রদান করেন।

পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

রেডিসন ব্লুতে শুরু হচ্ছে ‘ফ্যাশন টেক উইক’ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে প্রযুক্তির নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাতে প্রথমবারের মতো ১৫ ও ১৬ মে  ঢাকার রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ফ্যাশন টেক উইক’ (এফটিডব্লিউ)।

অ্যাপারেল রিসোর্সেস ইন্ডিয়া, যারা নিরলসভাবে পোশাক শিল্পের উন্নয়ন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং রিটেইলে ব্যবহৃত নতুন, যুগান্তরী, সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শন করবে।

গত বছর বেঙ্গালুরুতে (ভারত) প্রথমবার অনুষ্ঠিত আয়োজনের দুর্দান্ত সাফল্যের পর, ‘ফ্যাশন টেক উইক’ (এফটিডব্লিউ), এবার বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ফ্যাশন এবং প্রযুক্তির সংযোগের গুরুত্ব ও ভূমিকা তুলে ধরার লক্ষে এই ইভেন্টের আয়োজন।

পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার বিবেচনায় এফটিডব্লিউ ২৪ এর এবারের মূল প্রতিপাদ্য মূলত চারটি স্তম্ভের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে আর তা হলো – নতুন কিছু খোঁজা, শেখা, একত্রিকরণ এবং আরও দীর্ঘ পরিসরে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।

দুই দিন ব্যাপী এই ইভেন্টটিতে ফ্যাশন টেকনোলোজির ভবিষ্যতের সাক্ষী হবার পাশাপাশি এতে রয়েছে ৪০+ স্পন্সর এবং পার্টনার, ৩ টি নেটওয়ার্কিং সেশন, ৫০+ ইন্ডাস্ট্রি বক্তা, ২৫+ সেশন ও ওয়ার্কশপ এবং দুই হাজারেরও বেশি সি-লেভেল প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ।

অ্যাপারেল রিসোর্সেসের পরিচালক মায়াঙ্ক মহিন্দ্র বলেন, “গত বছর ভারতের বেঙ্গালুরুতে এফটিডব্লিউ উদ্বোধনী ইভেন্টে প্রদর্শক এবং পরিদর্শনকারী প্রতিনিধিদের চোখে উচ্ছ্বাস দেখে ভীষণ আনন্দিত হয়েছিলাম। এই উচ্ছ্বাস অনুপ্রেরণা জুগিয়ে আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে আরও শক্তিশালী করেছে, আর তাই এবছর আমরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সাথে আমাদের ইভেন্টটিকে প্রসারিত করেছি। আমি বিশ্বাস করি সাম্প্রতিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলে এ দেশের পোশাক শিল্প নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়িয়ে এবং বিশ্ববাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবে।”

ইভেন্টের এক্সপো জোন AI/ML/AR/VR, 3D, IoT-এর মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে অন-ডিমান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, ইন্ডাস্ট্রি 4.0, ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণ, ট্রেন্ড ফোরকাস্টিং, ভার্চুয়াল ফিটিং রুম, এজ কম্পিউটিং, ব্লকচেইন, স্মার্ট টেক্সটাইল রোবোটিক্স, গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়ানো এবং টিকিয়ে রাখার মতো প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শিল্প উক্ত ইভেন্টে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এফটিডব্লিউ-এর নিবন্ধনের জন্য উৎসাহের সাথে এগিয়ে এসেছে।

পোশাক শিল্পে প্রযুক্তিগত সেবা প্রদাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন সিএলও ভার্চুয়াল ফ্যাশন, সলভেই৮, পাকিজা সফটওয়্যার লিমিটেড, লজিক সফটওয়্যার লিমিটেড, ব্লুকাকটাস, টুকাটেক, ক্লিক ইআরপি, জাজা সফ্টওয়্যার, সিজিফি এবং আর-প্যাক থাকছে এফটিডব্লিউ ঢাকাতে।

ইন্ডাস্ট্রির সকল অংশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এফটিডব্লিউ ২০২৪- এ নিজেদের মূল্যবান বক্তৃতা প্রদাণ করবেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট বক্তার নাম হল: উসামা মাকসুদ, পরিচালক, এক্সপেরিয়েন্স গ্রুপ; ফজলুল হক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্লামি ফ্যাশনস; রেহান রহমান, পরিচালক, বিং হিউম্যান বাংলাদেশ; হেলাল উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারম্যান, জেসিএল গ্রুপ; শরীফ জহির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনন্ত গ্রুপ; জয়নব মাকসুদ, প্রতিষ্ঠাতা, আমিরা ও পরিচালক, এক্সপেরিয়েন্স গ্রুপ এবং বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আরো অনেকে।

এফটিডব্লিউ ঢাকা সেমিনারে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে তা্র মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এআই রেভোলিউশন ইন সোর্সিং: দ্য নেক্সট বিগ থিং; বাংলাদেশের টেক্সটাইল সোর্সিং কৌশল পুনর্নির্মাণ; পোশাক তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রি ৪.0: স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা; থ্রি ডি গার্মেন্ট ভিজ্যুয়ালাইজেশন: আমরা কি এর জন্য প্রস্তুত নই?; ফ্যাশন শিল্পের জন্য সীমাহীন 3D সম্ভাবনা; লজিস্টিকস ৪.0: স্মার্ট গুদামজাতকরণ অপারেশনাল উৎকর্ষের দিকে নিয়ে যায়; রিয়েল টাইম ডেটা: উৎপাদনকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন রোডম্যাপ; অন-ডিমান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং এবং বাংলাদেশ: সম্ভাব্যতা এবং সুযোগ; টেকসইতা নিশ্চিত করার জন্য ট্রেসেবিলিটি এবং আরও অনেক।

এছাড়াও এফটিডব্লিউ ’২৪ ঢাকা অ্যাপারেল অনলাইন বাংলাদেশ (এওবি)-এর ‘৪০ অনূর্ধ্ব ৪০’ অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনের সাক্ষী হতে যাচ্ছে। ‘৪০ অনূর্ধ্ব ৪০’-এর এই ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগের মাধ্যমে, এওবি-এর লক্ষ্য বাংলাদেশের আরএমজি শিল্পে তরুণ নেতাদের ব্যতিক্রমী অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং উদযাপন করা। পুরষ্কারগুলি সেই ব্যক্তিদের সম্মানিত করতে চায় যারা অসামান্য নেতৃত্ব, উদ্ভাবন পোশাক শিল্পের ক্রমশ বৃদ্ধিতে, এবং আগামীতে পথ চলার বাহক হিসেবে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

;