বাংলালিংকের গ্রাহক তথ্যে গরমিল
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি অপারেটরটির তৃতীয় প্রান্তিকের পাওয়া প্রতিবেদন নিয়ে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যার তথ্যের এই গরমিল ধরা পড়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সংখ্যার পার্থক্যের চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলালিংকের সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ৫০ লাখ। কিন্তু তার মূল কোম্পানি ভিয়ন এর কাছে এই সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ। তৃতীয় প্রান্তিকের গ্রাহক সংখ্যা সংক্রান্ত এই দুটি প্রতিবেদনই সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে।
বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলালিংকের গ্রাহক ছিল ৩ কোটি ৪৫ লাখ আর ভিয়নের প্রতিবেদনে ছিল তিন কোটি ২৯ লাখ। তৃতীয় প্রান্তিকে বিটিআরসি’র তথ্যে ছিল তিন কোটি ৫০ লাখ আর ভিয়নের প্রতিবেদনে ছিল তিন কোটি ৩১ লাখ। ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বিটিআরসি’র তথ্যে ছিল তিন কোটি ৩৫ লাখ আর ভিয়নের তথ্যে ছিল তিন কোটি ২৩ লাখ।
দুই হিসেবের পার্থক্য সম্পর্কে বাংলালিংকের চিফ করপোরেটর ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক সব ধরনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভিয়নের হিসেবের গ্রাহক সংখ্যার সঙ্গে স্থানীয় হিসেবের সামান্য পার্থক্য থাকার সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বিটিআরসি কোনো গ্রাহকের সর্বশেষ ৯০ দিনের সক্রিয়তা হিসেব করে আর ভিয়ন কোনো গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট ব্যবহারের হিসেব বিবেচনা করে। এ কারণেই দুই হিসেবে সামান্য পার্থক্য হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এটি নিয়ে যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টির না হয়, সেজন্য ইতোমধ্যে আমরা বিটিআরসিকে বিষয়টি সম্পর্কে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক গ্রাহক সংখ্যার হিসেবে কোনো পার্থক্য হওয়া উচিত নয় মন্তব্য করে বলেন, যদি তারা (বাংলালিংক অথবা ভিয়ন) অন্য কোনো ফর্মুলা অনুসরণ করে থাকে সেক্ষেত্রে তা রিপোর্টে উল্লেখ থাকতে হবে। প্রত্যেক প্রান্তিকে বাংলালিংকের এই পার্থক্য বেড়েই চলেছে। যদিও এক বছর আগে এই পার্থক্য ছিল না।