যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টে ২১ বছরের কম বয়সীদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা!
স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শারীরিক মানসিক নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। আর স্মার্টফোনের একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে তরুণরা। তাদের মধ্যেই স্মার্টফোনে আসক্তি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
তাই প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ভারমন্ট প্রদেশে ডেমোক্রেটিক সিনেটর জন রগার্স, ২১ বছরের কম বয়সীদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিলটি উত্থাপন করেন।
রগার্স বলেন, ২১ বছরের কম বয়সীরা স্মার্টফোন ব্যবহারের ভাল-মন্দ দিকগুলো বিচার করতে সক্ষম নয়। ফলে তাদের জীবনে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
বিলে কিশোর বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক এবং তারা যে অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। বিলে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে এ বয়সী শিশু কিশোরদের মধ্যে সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে, যার জন্য স্মার্টফোনকেই দায়ী করা হয়।
নতুন এই বিল অনুসারে, ২১ বছরের কম বয়সী কেউ যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাহলে এক বছরের জেল এবং এক হাজার ডলার জরিমানা করে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে যেমন ধূমপান করা, মদপান করা কিংবা বন্দুক রাখা যায় না তেমনি স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার আবেদন করা হয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অঞ্চলে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য বয়স সীমার বাধ্যবাধকতা নেই কিন্তু ধূমপান, মদপান এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য জন রগার্স এই বিলটি পাস হোক তা প্রত্যাশা করেন না কিন্তু এর মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি সবার নজরে আনতে চেয়েছেন
সূত্র: জিসমোচীনা