বাংলাদেশকে শতভাগ ডিজিটালাইজড করতে দ্রুত কাজ হচ্ছে: জয়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়

বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা শতভাগ ডিজিটালাইজড করতে কাজ করছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সেবা খাত অনলাইনে চলে এসেছে। এর কারণ ডিজিটালাইজড। আমরা সরকারকে দ্রুত ডিজিটালাইজড করতে কাজ করছি। শতভাগ ডিজিটালাইজড করতে রোডম্যাপ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে রেখেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটাল গভর্নেন্সের পথ পরিদর্শক।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে তিন দিনের এই মেলা।

তিনি বলেন, শত বছর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। স্বাধীন বাংলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারতাম না।

বিজ্ঞাপন

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আপনারা জানেন, ১১ বছর আগে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেছিলাম। এরইমধ্যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি। প্রতিমুহূর্তে আমি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের জ্ঞান অর্জন করছি, আমি অবাক হয়ে যাই। বাংলাদেশে আইটি কোম্পানি, রোবাটেক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ, ১০ বছর আগে এসব আমি বিশ্বাস করতাম না। বর্তমানে বাংলাদেশে অসম্ভব কিছু নাই, এখন এটা বাস্তবতা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রথমবার ক্ষমতা আসে বাংলাদেশে মোবাইল  ও টেলিফোন সেক্টর চালু করে। ২০ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এখন এই সেক্টর অনেক প্রসারিত হয়েছে। ১১ বছর আগেও বাংলাদেশে ইন্টারনেট ছিল ব্যয়বহুল। তখন আমাদের টেকনোলজি সেক্টর নিয়ে কথা বলার কিছু ছিল না।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিশ্রুতি ও লক্ষ্য। প্রথম দিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। আস্তে আস্তে এগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। ১১ বছর আগে ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ছিল ২জি অধিকাংশ সময় ১জি ছিল। বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে ৩জি, ৫ বছর পর আমরা তা ৪জিতে পৌঁছাই। এখন আমরা ৫জিতে উন্নত করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আপনাদের জানা উচিত, কিছু কিছু উন্নয়ন হয়েছে, যা আমরা ১০ বছর আগে চিন্তাও করিনি। সব ধরনের মোবাইল আমরা আমদানি করতাম। ৩জি ফোন বাংলাদেশে পাওয়া যেত না। আওয়ামী লীগ সরকার, এসব সমস্যার কারণ খুঁজে বের করে এবং সমাধান করে। এরপর বাংলাদেশে মোবাইল উৎপাদন শুরু হয়। জনগণের মাঝে অল্প দামে মোবাইল সরবরাহ শুরু করি। যাতে সবাই মোবাইল কিনতে পারে। আমরা একটা সময় ৩০ মিলিয়ন মোবাইল ফোন আমদানি করতাম। এখন ২০ মিলিয়ন উৎপাদন করি।

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রফতানি করেছে। আমরা মোবাইল, হার্ডওয়ার, টেলিভিশন, ইলেকট্রনিকস পণ্য রফতানি করতে পারি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা তা শুরু করব। তবে রফতানির ক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে তা হলো- কোয়ালিটি ।