গ্যালাক্সি এস২০ সিরিজের প্রি-অর্ডার নিচ্ছে স্যামসাং ও গ্রামীণফোন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রি-অর্ডার সুবিধা উন্মোচনে জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, ছবি: সংগৃহীত

প্রি-অর্ডার সুবিধা উন্মোচনে জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০ সিরিজের জন্য প্রি-অর্ডার সুবিধা নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন ও স্যামসাং। গ্রাহকরা আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্যালাক্সি এস২০+ এবং গ্যালাক্সি এস২০ আল্ট্রা প্রি-অর্ডার করতে পারবে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রি-অর্ডার সুবিধা উন্মোচনে জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্যাংগুয়ান ইয়ুন বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের জন্যই তৈরি করা হয়েছে নেক্সট জেনারেশনের গ্যালাক্সি এস২০ সিরিজের ডিভাইস। তরুণরা যেনো নতুন উদ্ভাবনী উপায়ে যোগাযোগ করতে পারে এবং নিজেদের প্রকাশ করতে পারে এজন্য তাদের ক্ষমতায়নে এ ডিভাইসটি তৈরি। মানুষের জীবনের ডিজিটাল রূপান্তরে স্যামসাং এ ডিভাইসগুলো তৈরি করেছে। বাংলাদেশের ক্রেতাদের জন্য গ্রামীণফোনের সাথে প্রি-অর্ডার সুবিধা নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত।

গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘মোবাইল উদ্ভাবনের নতুন দশক শুরু হতে যাচ্ছে। এ সময়ে নতুন প্রজন্মের কানেক্টিভিটি ত্বরান্বিত করতে স্যামসাং বাংলাদেশের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস গ্যালাক্সি এস২০+ এবং গ্যালাক্সি এস২০ আলট্রা উন্মোচন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

প্রি-অর্ডারে গ্যালাক্সি এস২০সিরিজের দু’টি মডেল পাওয়া যাবে। ৬.৭ ইঞ্চির গ্যালাক্সি এস২০+ এবং ৬.৯ ইঞ্চির গ্যালাক্সি এস২০ আল্ট্রা। এ সিরিজের দু’টি মডেলেই স্যামসাং মোবাইল ডিসপ্লে ও মোবাইল ক্যামেরায় অত্যাধুনিক উদ্ভাবনে যুগান্তকারী ডিজাইন নিয়ে আসা হয়েছে।

গ্যালাক্সি এ২০ সিরিজে রয়েছে বড় আকারের ইমেজ সেন্সর, ক্যামেরা রেজ্যুলেশন আরও বাড়ানো হয়েছে, চমৎকারভাবে ছবি তুলে তা ক্রপ করে এডিট করা এবং ক্রপিং ও জুমিংও করা যাবে এই ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে। গ্যালাক্সি এস২০+ ডিভাইসে ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে এবং গ্যালাক্সি এস২০ আল্ট্রায় ব্যবহার করা হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা।

গ্যালাক্সি এস২০ সিরিজের ডিভাইসগুলো দিয়ে এইট-কে রেজ্যুলেশনের ভিডিও ধারণ করা যাবে। যা স্মার্টফোনের বাজারে প্রথম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের জীবনের সত্যিকারের সুন্দর মুহূর্তগুলো ধারণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, ছবি বা ভিডিওর কালার ও কোয়ালিটি বজায় থাকবে। এইট-কে ভিডিও ধারণ ছাড়াও, এস২০ সিরিজের ডিভাইসগুলো দিয়ে এইট-কে ভিডিও থেকে ৩৩ মেগাপিক্সেলের ছবিও ধারণ করা যাবে।

দু’টি ডিভাইসেই রয়েছে ১২৮ জিবি স্টোরেজ। যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে। গ্যালাক্সি এস২০+ ডিভাইসে রয়েছে ৮জিবি র‍্যাম ও ৪,৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সুবিধা এবং গ্যালাক্সি এস২০ আল্ট্রা ডিভাইসে রয়েছে ১২ জিবি র‍্যাব ও ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সুবিধা।

কসমিক ব্ল্যাক ও ক্লাউড ব্লু, এই দু’টি রঙে পাওয়া যাবে গ্যালাক্সি এস২০+ এবং কসমিক গ্রে ও কসমিক ব্ল্যাক এই দু’টি রঙে পাওয়া যাবে গ্যালাক্সি এস২০ আল্ট্রা। গ্যালাক্সি এস২০+ ডিভাইসটির বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯,৯৯৯ টাকা এবং গ্যালাক্সি এস২০ আল্ট্রা ডিভাইসটি পাওয়া যাবে ১,২৯,৯৯৯ টাকায়।

গ্যালাক্সি এস২০ সিরিজের স্মার্টফোন দু’টি কিনতে ক্রেতারা স্যামসাংয়ের অফিসিয়াল স্টোর ও জিপি’র চ্যানেলগুলো থেকে প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। এছাড়াও, www.s20preorder.com ও https://gpoffers.co/Samsung_S20 এই দু'টি ওয়েবসাইট থেকেও আগ্রহী ক্রেতারা অনলাইনে স্মার্টফোন দু'টির প্রি-অর্ডার করতে পারবেন।

প্রি-অর্ডারের ক্ষেত্রে আগ্রহী ক্রেতারা এক জোড়া গ্যালাক্সি বাডস প্লাস অথবা ১০ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন। এছাড়াও, স্যামসাং বাংলাদেশ দিচ্ছে এক্সচেঞ্জ অফার। নির্বাচিত মডেলের ডিভাইসগুলোর নিয়মিত এক্সচেঞ্জ মূল্যের সাথে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা এক্সচেঞ্জ ভ্যালু হিসেবে যুক্ত হবে।

প্রতিষ্ঠানটি গ্যালাক্সি এস২০+ এর জন্য ১৮ মাস এবং গ্যালাক্সি এস২০ আল্ট্রা ক্রয়ে ২৪ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে ইএমআই সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও, দু’টি ডিভাইস ক্রয়ে ২৪ মাসের ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা স্মার্টফোন দু’টি ক্রয়ে ২০ জিবি ইন্টারনেট প্যাকেজ পাবেন। যার মধ্যে ১০ জিবি তারা ফোর-জি ডাটা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং বাকি ১০ জিবি গ্রামীণফোনের নিজস্ব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপে কন্টেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও, ক্রেতারা ১৪ দিনের জন্য ‘বায়োস্কোপ প্রাইম পাস’ পাবেন। গ্রাহকরা মূল্য ছাড়ে অর্থাৎ ১৯৮ টাকা দিয়ে ১০ জিবি রেগুলার ডেটা ক্রয় করতে পারবে। এই ১০ জিবি ডেটা ক্রয়ে, তারা বিনামূল্যে ফোর-জি ব্যবহার উপযোগী অতিরিক্ত ১০ জিবি ইন্টারনেট পাবেন। যার মেয়াদ হবে সাত দিন। ক্রেতারা এই ইন্টারনেট প্যাকটি ৩ মাসে ১২ বার কিনতে পারবেন।

ডিভাইস দু'টি ক্রয়ে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা জিপি স্টার টপ টিয়ার অর্থাৎ প্লাটিনাম প্লাসে উন্নীত হবেন। এছাড়া, গ্রামীণফোন ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে একজন ব্যক্তির জন্য একবার ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ বুফে উপভোগের সুযোগ দিচ্ছে পাশাপাশি, গ্রামীণফোন চ্যানেল থেকে ওরিয়ন ফুটওয়্যারে ১৫ শতাংশ ছাড় সুবিধাও দিবে।

   

৫জির ভবিষ্যৎ নিয়ে যা জানা গেল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দেশে ৫জি অনিশ্চিত 

দেশে ৫জি অনিশ্চিত 

  • Font increase
  • Font Decrease

তরঙ্গ নিলামের প্রায় দুই বছর পর ৫জি গাইডলাইন চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তৈরি গাইডলাইন অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের আগামী এক বছরের মধ্যে ৫জি চালু করতে হবে।

তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাই এখন বলছে, কবে ৫জি চালু হবে তারা এখন বলতে পারছে না।

বুধবার বিটিআরসির কার্যালয়ে আয়োজিত টেলিযোগাযোগ বিষয়ে গণশুনানিতে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুজ্জামান বলেন, ৭০০ ব্যান্ডেও যাতে ৫জি ব্যবহার করা যায় সেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দেশে ৫জি যতটা না প্রয়োজন তার চেয়ে ৪জি উন্নত বেশি করা দরকার। দ্রুততম সময়ে যাতে ৪জি’র মান উন্নত এবং কাঙ্ক্ষিত নেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে বিটিআরসি। 

৫জি সেবা কবে চালু কবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট ডেডলাইনের কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ৫জি চালু করেছে। যখন দেখবো এটি আমাদের দেশে প্রয়োজন তখন চালু করা হবে।

২০২২ সালের মার্চে ৫জি তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০হাজার কোটি টাকায় মোট ১৯০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনে নেয় চারটি মোবাইল অপারেটর। ৫জি তরঙ্গ নিলামের সময় বলা হয়েছিল, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৫জি সেবা চালু করতে হবে। এরপর গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে ৫জি সেবা চালুর বিষয়ে তোড়জোড় চালিয়েছিলেন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তবে দ্রুততম সময়ে ৫জি সেবা চালু নিয়ে অপারেটরো আপত্তি জানিয়েছিল। বর্তমানে দেশে ৩জি ও ৪জি সেবা চালু রয়েছে। ২০১৩ সালে ৩জি এবং ২০১৮ সালে ৪জি চালু হয়।

সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫জি চালু করতে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ লাগবে। তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্র চূড়ান্ত না হওয়ায় বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে চাইছে না অপারেটরেরা। 

তবে অনেক দেশে ৫জি এখনো বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। বিশ্বব্যাপী মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন জিএসএমএ এর প্রতিবেদন বলছে, আগামী ২০২৫ সালে ২০০ কোটি মানুষ ৫জি সেবা নেবে।

;

চলছে জরিপ, ফিরছে ৩ দিনের মোবাইল প্যাকেজ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন দিনের প্যাকেজ বন্ধ হয়ে যায় গত বছরের অক্টোবরে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ ছিল।

এরপর এই প্যাকেজ বন্ধ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। অক্টোবরে ১৫ দিনের প্যাকেজও বন্ধ করা হয়েছিল। তবে জনপ্রিয় এই প্যাকেজ পুনরায় চালু হতে পারে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিটিআরসি এরই মধ্যে একটি জরিপ করেছে।

এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক (সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিল-উর রহমান বলেন, মোবাইলের নতুন প্যাকেজ বাস্তবায়নের পরেও ফিডব্যাক পেয়েছি। এ সংক্রান্ত জরিপে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের রেসপন্স পেয়েছি। গ্রাহকের ফিডব্যাকের ভিত্তিতে গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেটের প্যাকেজ প্রবর্তন করা হবে।

বুধবার (৮ মে) বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিযোগাযোগ বিষয়ে গণশুনানিতে তিনি একথা বলেন। শুনানিতে ফরিদ রেজা মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজের মেয়াদ তুলে দেওয়ার দাবি জানান। সেই সাথে তিনি এমএনপিতে যেতে টাকা কমানোর কথা বলেন।

জবাবে বিটিআরসি থেকে বলা হয়, ভর্তুকি দিয়ে অন্য অপারেটরকে স্বাগত জানাতে আহবান জানান তিনি। ৩ দিনের প্যাকেজ ৩জিবি। আবার একই প্যাকেজ এক মাসের নিলে অপারেটরের খরচ বেড়ে যায়। তাই চাইলেই একটি অপারেটর মেয়াদহীন প্যাকেজ দিতে পারছে না।

;

থ্রি-জি সেবা বন্ধ করলো বাংলালিংক, বন্ধ করছে অন্যরাও



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক তাদের থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক গত ৫ মে দেশব্যাপী থ্রি-জি সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে।

২০১৩ সালে দেশে সবগুলো অপারেটর থ্রি-জি সেবা চালু করেছিল।

এদিকে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডও থ্রি-জি সেবা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং নাটোর থেকে তারা এই কার্যক্রম শুরু করে।

থ্রি-জি ডিভাইসের সংখ্যা হ্রাস এবং ফোরজি ডিভাইসের সংখ্যা বাড়ার কারণে বর্তমানে টুজি ও থ্রিজি নেটওয়ার্কে চাপ কমছে।

বাংলালিংক বলছে, থ্রি-জি বন্ধের ফলে অপারেটরটি ফোর-জি নেটওয়ার্কের আরও বেশি তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স বরাদ্দ করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হল গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ ও উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করা। ফোর-জি-এর জন্য বরাদ্দকৃত তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স আরও বাড়িয়ে, আমরা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবো। এই সফল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক হিসেবে, আমরা আমাদের গ্রাহকদের ফোর-জি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে উচ্চগতি সম্পন্ন ও আধুনিক অবকাঠামো এবং সর্বোপরি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবাগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর দিকে বাংলালিংক-এর একনিষ্ঠ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট আছি।

;

ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা নিয়ে এলো ভিভো ভি৩০ লাইট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে এলো গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৩০ লাইট। রবিবার (৫ মে) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিভো ভি৩০ লাইটকে পরিচয় করিয়ে দেন জনপ্রিয় তারকা ও ভিভোর শুভেচ্ছাদূত তাহসান খান।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের ভিভো ভি৩০ লাইটে যুক্ত হয়েছে কালার চেঞ্জিং গ্লাস ডিজাইন। সূর্যের আলোতে মুহূর্তেই বদলে যাবে ব্যাক সাইডের কালার। দেবে এক অভিনব লুক।

ভিভো ভি৩০ লাইটকে আরো প্রিমিয়াম করেছে এর ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। ব্রিজ গ্রিন আর ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

ভিভোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লাইফকে আরো লাইট আপ করতে ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটে এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটরি ১০০ শতাংশ চার্জ করতে পারবে। যা সময় বাঁচানোর পাশাপাশি দেবে স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা।

একবার চার্জে এই স্মার্টফোনে কথা বলা যাবে টানা ২৯ ঘন্টা। টানা ৮ ঘন্টা গেম উপভোগ করা যাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টানা ১৬ ঘন্টা ভিডিও চলবে।
ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে সুপার চার্জ পাম্প। এটি যেমন ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করবে, তেমনি সবচেয়ে কম তাপ উৎপন্ন করে স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখবে। ফলে চার্জের সময়ে, মাল্টিটাস্কিং বা প্রচন্ড রোদের তাপেও ভিভো ভি৩০ লাইট থাকছে ঠান্ডা।

এ ছাড়াও ব্যবহারের ৪ বছরের মধ্যে যদি এর ব্যাটারি ৮০% এর বেশি ড্যামেজ হয় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা।

৭.৭৯ মিলিমিটার সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিট পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যাবে। থাকছে অত্যাধুনিক ৬৮৫ কোয়ালকম স্নাপড্রাগন প্রসেসর এবং মাল্টি টাস্কিং এর জন্য থাকছে ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম।

একইসঙ্গে ২৫ টা অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ৮ জিবি র‍্যামের সঙ্গে থাকছে ৮ জিবি র‍্যাম বাড়ানোর সুবিধা। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। তাই গান, ভিডিও বা গেমে সাউন্ড কোয়ালিটি হবে স্মুথ এবং হাই। সঙ্গে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সঙ্গে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। যা কম আলোতে দারুণ ছবির নিশ্চয়তা দিবে ব্যবহারকারীকে। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা। ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলবে প্রি-বুকিং। প্রি-বুকিং করলেই পাওয়া যাবে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

সাথে যারা প্রি-বুকিং করবে তাদের জন্য আরো থাকছে ১৮০ দিনের ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্ট অফার। যদি ১৮০ দিনের মধ্যে স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে ভেঙে যায় তাহলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এটি ঠিক করে দেবে ভিভো। এই অফারটি পেতে সাধারণত ৯৯৯ টাকা এবং ডিসপ্লে বাবদ প্রায় ৮০০০ টাকা খরচ করতে হলেও ভিভো এটি দিচ্ছে একদম ফ্রি।

;