করোনা প্রতিরোধে আমাজনের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আমাজনের সাইট থেকে ভুয়া করোনাভাইরাস প্রতিষেধক এমন ১০ লাখেরও বেশি পণ্য বাতিল করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আমাজন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বলে ভুয়া পণ্যের তালিকা থেকে এসব পণ্য বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার পণ্যের চালান বাতিল করেছে আমাজন।
আমাজনের প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেশকিছু পণ্যের বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন অফার নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
আমাজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, অসাধু বিক্রেতাদের কাছ থেকে ‘দশ হাজার’ অতিরিক্ত মূল্যের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পণ্যগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) উদ্বেগ প্রকাশ করে এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি মাসের শুরুর দিকে আমাজনে কিছু ভুয়া চিকিৎসার তালিকা প্রকাশ করে। যা প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজ করে না। এছাড়া অনলাইনে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুয়া তথ্য মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
আমাজনে করোনাভাইরাস লিখে সার্চ দিলে ফেস মাস্ক, ভাইরাস সংক্রান্ত নতুন প্রকাশিত বই ইত্যাদি পাওয়া যায়। এতে করে এক শ্রেণীর মানুষ স্বাস্থ্য সংকটকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পকেট ভরছে।
বিবিসি সংবাদমাধ্যম জানায়, যেসব পণ্য আমাজন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তার কোনো তালিকা প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করেনি। এছাড়া এখনো আমাজনে সার্চ দিলে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে বিভিন্ন পণ্যের তালিকা দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, একজন বিক্রেতার কাছ থেকে অস্ত্রোপচারের ৫০-পিস মাস্কের দাম ১৭০ ডলারেরও বেশি কিন্তু একই পণ্যটির অন্য খানে দাম ৩৬ ডলার। এমনকি যেসব পণ্যের দাম কম সেসব পণ্যও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
এই পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ২,৮০০ মানুষ মারা গেছে।