করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যে ১০টি বিষয় সার্চ করবেন না
করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী এখন একটি আতঙ্কের নাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জরুরি অবস্থা জারি করেছে। চীনে মহামারী রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মারা গেছে ৩,১০০ জন এবং আক্রান্তের পরিমাণ ৯০ হাজার। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫ টি দেশে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করা গেছে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, সবাই যখন এই রোগ থেকে বাচার উপায় কিংবা করোনা সংক্রান্ত সম্পর্কে জানতে গুগল করছেন এরমধ্যে অসংখ্য ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি। আবার কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এই সংকটকে পুঁজি করে বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষেধক, তথ্য দিয়ে নিজেদের পকেট ভরছে।
তাই এই সংকটময় সময়ে ইন্টারনেটে যে দশটি বিষয় লিখে সার্চ দিবেন না তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হল:
১. অনলাইনে দেখা বিজ্ঞাপনের দিকে ঝুঁকবেন না। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোনো স্পেশাল মাস্ক নেই, তাই এরকম বিজ্ঞাপন দেখলে এসব থেকে দূরে থাকুন।
২. স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক কখনোই সম্পূর্ণ নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করে না। আর এই ভারাসের আকার এত ছোট যে এন৯৫ কিংবা সার্জিকাল মাস্ক যেটাই হোক এর ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে। তাই অনলাইনে এরকম বিষয় থেকে দূরে থাকুন।
৩. প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এখনও করোনাভাইরাস প্রতিষেধক বের হয়নি। তাও অনলাইন থেকে করোনা প্রতিষেধক এরকম কোনো মেডিসিন ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. র্যান্ডমলি অনলাইনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কিছু সার্চ করবেন না।
৫. প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো ‘টেস্ট কিট’ বের হয়নি। তাই ভুয়া করোনাভাইরাস টেস্ট কিট থেকে দূরে থাকুন।
৬. হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা টিকটকসহ যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বিশ্বাস করবেন না।
৭. করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে ইউটিউব থেকে পরামর্শ নেবেন না।
৮. করোনাভাইরাসের উপসর্গ কেমন হবে এরকম কী ওয়ার্ড দিয়ে অনলাইনে সার্চ করবেন না।
৯. যাচাই বাছাই ছাড়া কোনো আর্টিকেল বা ভিডিও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
১০. ফিশিং ইমেইলের ফাঁদে পা দেবেন না।