করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দিনে একবার হলেও গ্যাজেট পরিষ্কার করুন
স্মার্টফোনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। ফোনের স্ক্রিন থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপর্যন্ত ২২ টি গবেষণায় দেখা গেছে করোনাভাইরাস ধাতব, গ্লাস এবং প্লাস্টিকে জাতীয় বস্তুতে ৯দিন বেঁচে থাকতে পারে। এ থেকে একজন সুস্থ ব্যক্তির করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সম্প্রতি দ্য ডেইলি মেইলে প্রকাশিত খবর এবং গ্লোবাল হেলথের গবেষণায় বলা হয়, স্মার্টফোন থেকেও এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়াতে পারে। এজন্য দিনে দুইবার অ্যালকোহল মিশ্রিত টিস্যু দিয়ে ব্যবহারের প্রয়োজনীয় জিনিস এবং ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগল বলছে, ফোনের স্ক্রিন জীবাণুমুক্ত করার জন্য মাইক্রোফাইবার ক্লথ বা সোপি ওয়াটার ব্যবহার করা উচিত।
তাই স্মার্টফোন বা ল্যাপটপকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে ঠেকাতে যে ১০ টি কাজ করবেন:
১. প্যান্টের যে পকেটে টিস্যু বা রুমাল রাখবেন সেখানে ফোন রাখা থেকে বিরত থাকুন।
২. করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ফোনে কথা বলার সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। তাহলে ফোন আপনার মুখের সংস্পর্শে আসবে না।
৩. পাবলিক প্লেস কিংবা অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। আর ব্যবহার করতে হলে হাতে জীবাণুমুক্ত গ্লাভস পরে নিন।
৪. যদি আপনার ফোনটি ‘আইপি৬৮’ অনুমোদিত পানি নিরোধক হয় তাহলে সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
৫. কম্পিউটারের কী বোর্ড ব্যবহারের আগে অ্যালকোহলযুক্ত টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করুন। সাধারণত গ্যাজেট পরিষ্কারের জন্য অ্যালকোহল বা হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছুটা ব্যতিক্রম করা যেতে পারে। পরিষ্কারের আগে অবশ্যই ডিভাইসটি বন্ধ করে নিন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিন।
৬. ইয়ারফোন ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করে নিন।
৭. ডিভাইস পরিষ্কারের জন্য সবধরনের তরল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৮. ফোন অথবা ল্যাপটপ পরিষ্কারের পরে অবশ্যই নিজের হাত ভালো করে পরিষ্কার করুন।
৯. দিনে একবার হলেও গ্যাজেট পরিষ্কারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
১০. অন্যদের গ্যাজেট স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন এবং নিজের ডিভাইস অন্যদের দেওয়া থেকেও বিরত থাকুন।
এপর্যন্ত সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, চীনে মহামারী রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মারা গেছে ৩,৩০০ জন এবং আক্রান্তের পরিমাণ ৯৭ হাজার। বিশ্বের ৮০ টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করা গেছে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করেছে।