বাংলাদেশে তথ্য মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের বিদায় ঘণ্টা!



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বার বার ধাক্কা খাচ্ছে। আমেরিকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে সিনেটের মুখোমুখি হতে হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে। ইতোমধ্যে কেমব্রিজ এ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে একের পর এক নানা প্রাইভেসি উদ্বেগ জন্ম দিয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। দুনিয়া জুড়ে ফেসবুক এখন ফেইক নিউজ বা মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ফলে এখন অনেকে মজা করে ফেসবুককে ‘ফেইকবুক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠী হত্যার বিচারের দাবিতে গত ২৯ জুলাই থেকে রাজধানীর প্রধান সড়কে অবস্থান নেয় সমবয়সী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে একটি গণ আন্দোলন গড়ে ওঠে। প্রথম দিন থেকেই এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশের নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের নেতা শাজাহান খানের হাসিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কার এবং ক্ষমা চেয়ে দৃশ্যপট থেকে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি।

তবে ঘটনার দু’দিন পর অন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিতে থাকেন অনেকে। শিক্ষার্থীরা হাতে যেসব প্লেকার্ড নিয়ে আন্দোলন করছিলেন সেগুলোর ছবি এডিট করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে একটি পক্ষ। আন্দোলনের বিপরীতে অবস্থান করা পক্ষটি সহজেই সেটি বিশ্বাস করে নেয়। শেয়ার দিয়ে, মত প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের ছবিগুলোকে ছড়িয়ে দেন। তবে কোনো ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের হাতে এই ধরনের অশ্লীল শব্দের প্লে-কার্ড দেখা না গেলেও ফেসবুকে এসব ছবিতে সয়লাব হয়ে উঠে। শহরের আন্দোলনকারীরাও ফেসবুককে বেছে নেন আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। সেখানেও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদদের অপমানকার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হতে থাকে। এতে একটি পক্ষ যেমন হাত তালি দিতে থাকে, আরেকটি পক্ষ মুষড়ে পড়েন। যারা ছবিগুলো পোস্ট করছিলেন, তারা একবারও এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সর্ম্পকে ভাবলেন না। নিজেদের মত ছড়িয়ে দিতে এই চরম আপত্তিকর কাজটি তারা করতেই থাকলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/06/1533531227002.jpg

জানা গেছে, মুম্বাইসহ পুরো ভারতে স্যানিটেশন একটি বড় সমস্যা। সকালে মানুষ টয়লেট ব্যবহার করার চেয়ে রাস্তার দু’ধারে পয়ঃনিস্কাশনের জন্যে বসে যান। তাদের ঠেকাতে মুম্বাই সিটি কর্পোরেশন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোর বেলায় অভিযানে নামেন। যারা পথের দু’ধারে বসে যেতে চাইতেন, তাদেরকে জরিমানা করা শুরু হয়। এমনকি কান ধরে ওঠবসও করানো হতো। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন যখন নিজেদের ফেসবুক পেইজে এসব মানুষদের ছবি পোস্ট করতে থাকেন, তখনই বাধে গোল। কারণ একজন মানুষ আইন ভাঙ্গলে তার শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় না। মুম্বাই মিরর থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান টাইমস পত্রিকা এই অপমানকার ছবিগুলোর বিপক্ষে সরব হয়ে ওঠে। কারণ এটা মানুষের সামাজিক অবস্থানের ওপর হস্তক্ষেপ।

কিন্তু বুঝে না বুঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সর্ম্পকে অপরিণামদর্শীতার অভাবে বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও এসব করতে থাকেন। আন্দোলনের সপ্তম দিনে এসে ফেসবুক হয়ে উঠলো ফেইক নিউজে ঠাসা। চার জন খুন, দুই জন ধর্ষিত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকলো। মূলধারার গণমাধ্যমে নিজেদের মনের মতো খবর প্রকাশ না হওয়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই বেছে নিলেন আন্দোলনের পক্ষ বিপক্ষ শক্তি। দুই একটি ছাড়া বেশিরভাগ মূল ধারার গণমাধ্যম যেখানে বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে খবর যাচাই করে প্রকাশ করে, সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরা নিজেদের মত প্রকাশ করে সেটাকেই তথ্য হিসেবে বেছে নিতে থাকেন বিভিন্ন মতাবলম্বীরা। তবে এক সময় যেমন খুন বা ধর্ষণের খবর মিথ্যা প্রকাশ হয়, তেমনি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার বাস্তব চিত্রও উঠে আসে মূল ধারার গণমাধ্যমে।

রোববার ধানমন্ডি-সায়েন্সল্যাব এলাকাজুড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয় পুলিশ এবং সরকারদলীয় বাহিনীর সেই খবরগুলোও যথাযথভাবেই তুলে ধরে মূল ধারার গণমাধ্যম। তবে এরই মধ্যে মতের পক্ষ বিপক্ষ যখন ঘৃণা ছড়ানোর জন্যে ফেসবুকে নিজেদের মনের মতো ছবি, ভিডিও পোস্ট করে অস্থীতিশীল অবস্থা তৈরি করতে তৎপর তখন কিন্তু সাধারণ মানুষ বেছে নিয়েছেন মূল ধারার গণমাধ্যমকেই। কারণ গত কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় অন্তত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এটুকু বুঝতে পেরেছেন, সত্যিকারের সংবাদ পেতে হলে মূল ধারার গণমাধ্যমেই ঢুঁ মারতে হবে।

মার্কিন সাময়িকী ফরচুন’র এক প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, ডেটা বা তথ্য নিরাপত্তা লঙ্ঘণ নিয়ে মার্কিন আর ইউরোপীয় সরকারগুলোর কড়া তদন্তের মুখে রয়েছে ফেসবুক এবং তার প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেতে হলো ফেসবুককে। গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ফেসবুকের শেয়ার দর ২০ শতাংশ কমে যায়। ফলে ফেসবুকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা টাকার অঙ্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে কোনো কোম্পানির একদিনে সবচেয়ে বড় ক্ষতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/06/1533531251003.jpg

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন আর্ন্তজাতিক মিডিয়াগুলোর প্রধান খবরগুলোর একটি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও ফেইক নিউজের বাহক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছে ফেসবুক। অন্তত এটুকু অনুমান করা যায়, ব্যবহারকারীরা অন্তত নিজেদের পক্ষ না হোক বিপক্ষ মতের প্রচারণা যাচাই করার জন্যে হলেও মূলধারার গণমাধ্যম থেকে যাচাই করবে। আর সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে হবে অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে।

২০১৬ সালের আগেও আমেরিকান নির্বাচনের আগে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ এবং সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের একটি বড় বিতর্কের জায়গা ছিল, ফেসবুক বা টুইটার অথবা ইউটিউব কি মূলধারার গণমাধ্যমের জন্যে ঝুঁকি হয়ে উঠবে? ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়েন ভোটাররা। তবে নির্বাচনের পরে হলেও সেখানকার মানুষ বুঝতে পারে যে ফেসবুকের ফেইক নিউজ দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তারা। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী নতুন ধারণার জন্ম নেয় যে ফেসবুকের নিজের মৃত্যুর কারণ হবে ফেসবুক নিজেই। এতো বেশি মিথ্যা আর ভ্রান্তি ছড়ানো শুরু হবে যে মানুষ আবারো ট্রেডিশনাল মিডিয়াতে প্রবেশ করতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সেই বিষয়টি বাংলাদেশিদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে। ফেসবুক এখানেও ফেইক বুক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়ছে। গণমাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে। মানুষকে সত্য জানতে মূলধারার গণমাধ্যমেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। তথ্যের মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশে ফেসবুকের মৃত্যু ঘণ্টা হয়তো এখান থেকেই বাজতে শুরু করেছে।

   

এআই জীবনধারাকে সহজ করলেও সভ্যতার জন্য ঝুঁকি: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ করে এআই এর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি যাতে ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাাংলাদেশ এবছর প্রথম বারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করেন।

১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের পাশাপাশি এ দিনটি জাতীয় জীবনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ এর পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দু:সাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। জনাব পলক বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজ লভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্রের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠা বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে স্বারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে একটিভ নেটওয়ার্ক স্মারক সাক্ষরিত হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ ব্ক্তৃতা করেন।

;

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ



নিউজ ডেস্ক
ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

  • Font increase
  • Font Decrease

চার্জ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে এসেছে ভিভো ভি৩০ লাইট। এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চয়তা দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো। সাথে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। প্রতিদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারে ৪ বছরের মধ্যে যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০% থেকে কমে যায় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তাই ব্যাটারি হেলথ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

১১ মে থেকে দেশের যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে মিলছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি। থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি ব্যাক সাইডে এবার রয়েছে বেশি ভিন্ন আয়োজন। এর ব্রিজ গ্রিন রঙয়ের স্মার্টফোনটি ব্যাক প্যানেল কালার পরিবর্তন হয়। ইউভি লাইটে বা সূর্যের আলোতে হালকা সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে বেশ ভিন্ন একটি লুক আনে। ব্যবহারকারী চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ব্যাক সাইডে। ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

স্মার্টফোনটির চারপাশে রয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। মাত্র ৭.৭৯ মি.মি এর সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যায়। মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ২৪০০ × ১০৮০। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেশন ১৬৩.১৭ × ৭৫.৮১ × ৭.৭৯ মিলিমিটার।

মাল্টি টাস্কিং এর জন্য ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে স্নাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম। একই সাথে ২৫ টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোনটিতে। কারণ এতে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। সাথে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সাথে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।

;

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের খরচ বাড়বে।

এনবিআর সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

সর্বপ্রথম ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এনবিআরের সূত্র মতে, ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এমনতিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, উচ্চ কর হারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্ক হার যদি আবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্রাহক এবং সার্বিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে, বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে।

তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ সফল হবে না, কারণ ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।

;

‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ‘দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের (জেড-৭০৪০) প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর ভৈরব সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। এই প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা প্রদান করেন।

পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;