তরঙ্গের বিনিময়ে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চায় গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন
অপারেটরদেরকে ফ্রি তরঙ্গ দেওয়ার বিনিময়ে তাদের কাছে থেকে নিখরচায় বা নামমাত্র মূল্যে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি তুলেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, গত ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমিত হবার পর থেকেই কেউ কেউ গৃহে স্বেচ্ছায় অবস্থান শুরু করেন এবং ২০ মার্চ থেকে সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও গৃহে অবস্থান করতে নির্দেশনা প্রদান করে।
“বর্তমানে সারা দেশেই অঘোষিত লকডাউন চলছে। এমতাবস্থায় নাগরিকদের খাদ্য, পানীয়, জ্বালানি ও ওষুধের পাশাপাশি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সেবার অন্যতম নাম হচ্ছে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট,” বলেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
গ্রাহকদের ঘরে রাখতে হলে তার জন্য দরকার নিরবিচ্ছিন্ন টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবা। কারণ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিনোদন ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে মোবাইলফোন, বলছে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সব ব্যবসা পতনের সাথে সাথে এই খাতের ব্যবসাতেও কিছু পরিবর্তন ও ক্ষতি সাধিত হয়েছে যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। ভয়েস কল কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ, তবে মোবাইল ডেটার ব্যবহার বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈশ্বিক এ মহামারিতে বেশ কিছু দেশ ইতোমধ্যে তাদের নাগরিকদের বিনামূল্যে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে। আমাদের দেশে এই ধরনের সেবা প্রাপ্তিতে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“আমাদের দাবি থাকবে অপারেটরদের থেকে একেবারে বিনামূল্যে না নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ যা অব্যবহৃত ভাবে পড়ে আছে (তরঙ্গ) তা প্রত্যেক অপারেটরকে ৫ মেগাহার্স করে ৬ মাসের জন্য ফ্রি প্রদান করতে পারে সরকার। আর এর মাধ্যমে অপারেটরদেরকে বিনামূল্যে এই সেবা প্রদান করতে বলা যেতে পারে। আর এতে করে ৮০ শতাংশ নাগরিককে ঘরে আটকে রাখা যাবে বলে আমরা মনে করি।”
গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন বলছে, টেলিযোগাযোগ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত এই খাত হলেও সমন্বয়হীনতার কারণে এই সেবা প্রাপ্তিতে বড় বাধা সৃষ্টি করছে।
গত ২০ মার্চ থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরের ডিলাররা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, আর রিটেইলাররা প্রথম সপ্তাহে দোকান খুলতে পারে নাই প্রশাসনের নির্দেশনা না থাকায়। পরবর্তীতে এই খাতকে জরুরি সেবার আওতায় আনলেও স্বল্প পরিসরে কিছু দোকান খোলা থাকে কিন্তু অনেকে আবার লোড শেষ হওয়ায় এরাও বন্ধ করে দিয়েছে।