অন্যকে বিপদে ফেলতেই জিপি'র কূট কৌশল: রবি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদ্বন্দ্বীরা যাতে বিপদে পড়ে সে কারণে স্পেকট্রামের ইস্যু আসলেই নানা কূট কৌশল অবলম্বন বাজারের সবচেয়ে বড় অপারেটরটির। প্রতিদ্বন্দ্বী অপারেটর গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে সরাসরি এমন অভিযোগ করেছে রবি।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সাংবাদিকের সঙ্গে অনলাইনে আলাপকালে রবির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রবি বলছে, বাজারের সবচেয়ে বেশি গ্রাহকের অপারেটটি (গ্রামীণফোন) সব সময় এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে যায় যাতে স্পেকট্রাম যেন অন্য অপারেটরদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।

'তাদের অনেক টাকা থাকা কারণে তারা স্পেকট্রামের দাম টাকার অংকে অনেক বাড়িয়ে নিতে যায়', এমন অভিযোগ করেছেন রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম।

বিজ্ঞাপন

আর এতে করে ছোট অপারেটরগুলোর নেটওয়ার্ক তৈরির বাজেটও চলে যায় স্পেকট্রাম কেনার পেছনে। ফলে নেটওয়ার্ক তৈরিতে সমস্যা হয় এবং তার কারণে গুনগত সেবায় বিঘ্ন ঘটে।

বহু দিন থেকেই গ্রামীণফোন এই কৌশল নিয়ে আসছে। যার কারণে সরকারের কাছে অনেক স্পেকট্রাম পড়ে থাকছে যেগুলো কেউ ব্যবহার করতে পারছে না, বলছিলেন রবির কর্মকর্তারা।

তারা আরো বলেন, স্পেকট্রাম একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। এটিকে সঠিকভাবে জনগণের কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া দরকার। তাহলে জনগণও ভালো সেবা পেতে পারতো। আবার সেবার ব্যবহারের ফলে সরকারের আয়ও অনেক বাড়ত।

মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ওপর থেকে সরকার ৫০ শতাংশের বেশি ট্যাক্স পায়। তাহলে স্পেকট্রামের দাম কমিয়ে বরং বেশি স্পেকট্রাম যদি অপারেটরদেকে দেওয়া যায় সেটি হলে মোবাইলের ব্যবহার অনেক বাড়বে। কিন্তু সাড়ে সাত কোটি গ্রাহকের মালিক গ্রামীনফোন সব সময়ই এই নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে রবি, বাংলালিংক এবং টেলিটক করোনার সময়ে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে তিন মাসের জন্যে বিনামূল্যে ৫ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম চেয়েছিল। প্রথমে গ্রামীণফোন কিছু না বলেও পরে এই প্রস্তাবে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা টাকা দিয়ে স্পেকট্রাম কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

ফলে স্পেকট্রাম বরাদ্দের ক্ষেত্রে একটি জটিল পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ গত দুই সপ্তাহ ধরে মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে।