লকডাউন: স্মার্টফোনে নয়, সময় দিন পরিবারে
স্মার্টফোন আমদের জীবনের একটি অংশ। আর অন্য সবকিছুর মতো এরও ভাল-মন্দ আছে। তেমনি পরিতাপের একটি মন্দ হচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী চলমান লকডাউনে অনেকেই তাদের পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো বাদ দিয়ে ডুবে গেছেন স্মার্টফোনে।
স্মার্টফোনের আশক্তি থেকে বিরত থাকতে কিছু টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
'ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং' নামে অ্যান্ড্রয়েড পাই ভার্সনের পর থেকে সব স্মার্টফোনে রয়েছে। এই ফিচারটি ব্যবহার করে একজন ইউজার তার ডেইলি অ্যাক্টিভিটি বা তিনি স্মার্টফোনে কত সময় ব্যয় করে তা জানতে পারবে। এখান থেকে একজন ইউজার তার ফোনের কোন অ্যাপে কত সময় ব্যয় করে, কতবার আনলক করে নোটিফিকেশন দেখার জন্য ইত্যাদির পরিসংখ্যান দেবে।
এক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান একবার হলেও ইউজারকে ভাবিয়ে তুলবে। তাই ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং থেকে কিছু ফিচারস সচল করে স্নার্টফোনের আশক্তি থেকে পরিত্রাণ মিলতে পারে।
সেট লিমিটস: ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং এন্ড প্যারেন্টাল কন্ট্রোল থেকে ড্যাশবোর্ড ট্যাপ করুন > শো অল অ্যাপস > আওয়ার গ্লাস আইকন > এখানে কতক্ষণ আপনি অ্যাপটি ইউজ করতে চান তার সময় নির্ধারণ করুন > ওকে ট্যাপ করুন।
এবার এরকমভাবে যেসব অ্যাপে বেশি সময় ব্যয় করা হয় সেগুলো নির্বাচন করে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। ব্যাস এর পর থেকে সেই অ্যাপ ব্যবহারের নির্ধারিত সময় অতিক্রম করলে অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
ফোকাস মুড: পরিবারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটাতে ফোনের ডিজিটা ওয়েলবিয়িং অপশন থেকে ফোকাস মুড অন করে যেসব অ্যাপস থেকে নোটিফিকেশন রিসিভ করতে চান না সেগুলো সিলেক্ট করুন। আর ইউজার চাইলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অ্যাপগুলোতে ফোকাস মুড চালু রাখতে পারবেন। ফলে সে সময়ে ইউজার চাইলেও নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে সেই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না।
উইন্ড ডাউন: এই ফিচারটি হচ্ছে রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় যখন ইউজার কোনো মেসেজ, কল, নোটিফিকেশনসস রিসিভ করতে চান না তখন অন করতে হবে। ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং থেকে উইন্ড ডাউন অন করলে ফোনের কালার স্কিম পরিবর্তন হয়ে গ্রে কালার হবে, স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দেবে এবং ডু নোট ডিস্টার্ব মুড অন করে দেবে।
উল্লেখিত এই তিনটি টিপস ব্যবহার করে একজন ইউজার তার জীবনে স্মার্টফোন ইউজের স্বাস্থ্যসম্মত স্মার্ট ব্যালেন্স করে নিতে পারেন। তবে এর সফলতা নির্ভর করবে ইউজারের ওপর, তিনি আসলে কতুটুকু চান।