করোনার তথ্য দিতে হোয়াটসঅ্যাপের পর আসছে ভাইবার চ্যাটবট
এর আগে ম্যাসেঞ্জার চ্যাটবট নিয়ে এসেছে দেশের অনেকগুলো তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রিক কোম্পানি। পরে হোয়াটসঅ্যাপেও এসেছে এই একই সেবা। আর এবার অ্যাপভিত্তিক কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম ভাইবারেও আসছে একটি চ্যাটবট।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, ভাইবার প্ল্যাটফর্মেও চ্যাটবট চালু করতে যাচ্ছে তাদের বিভাগ। ইতিমধ্যে সফট লঞ্চিং হয়ে গেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই চ্যাটবটটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
পলক বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ যেমন আড়াই কোটি গ্রাহক আছে তেমনি দেশে ভাইবার ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কিন্তু দেড় কোটির বেশি। এই দেড় কোটির মধ্যে অনেকেই হয়তো হোয়াটসঅ্যাপও ব্যবহার করেন। কিন্তু ভাইবার ব্যবহারে অভ্যস্ত এমন মানুষ তো কম নয়। মূলত এই মানুষের কাছেও যাতে সহজে করোনা বিষয়ক সচেতনতা এবং সাবধানতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্যেই তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন জানান পলক।
হোয়াটসঅ্যাপের মতোই একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরের বিপরীতে এই চ্যাটবটটি কাজ করবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর মধ্যে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যেও কমিউনিকেশন অ্যাপ ইমো ব্যবহার করে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে। তাতে করে দেশে প্রচলিত সবগুলো মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যাপকেই সরকার করোনার সেবায় ব্যবহার করল।
তাছাড়া তথ্য প্রচারের জন্যে সরকারের দিকে থেকে ফেসবুক এবং গুগলের সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, আইসিটি বিভাগ কিছুদিন আগে লাইভ করোনা টেস্ট ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করে। ওই সাইটটিকে এবার ভাইবার চ্যাটবটে ইন্টিগ্রেটেড করা হবে-যেটি হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাপবট চালু করার সময়েও।
ফলে ভাইবার ব্যবহার করেও ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একটি ধারনা পেতে পারবেন যে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন কি-না?
জানা গেছে, ভাইবারে চ্যাটবট চালু করতে সরকার দেশিয় প্রতিষ্ঠান প্রেনিউর ল্যাবের সহযোগিতা নিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফ নিজামি বলেন, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর বড় একটি অংশ হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবার ব্যবহার করেন। সে কারণেই সরকার এই দুটি প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগাতে চাইছে।
এর আগে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান প্রেনিউর ল্যাবের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবারের চ্যাটবট তৈরি করে নিয়েছে যা অনেক জরুরি কাজেও লাগছে, বলেন নিজামি।