রবির বিজ্ঞাপনে প্রার্থনাকে কলরেটের সঙ্গে তুলনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আপনার প্রার্থনার মতোই ভেদাভেদ নেই রবি কলরেটেও, ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

আপনার প্রার্থনার মতোই ভেদাভেদ নেই রবি কলরেটেও, ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতিনিয়িত নিত্য-নতুন কোম্পানি তাদের পণ্য নিয়ে বাজারে আসছে, প্রচার করছে। এটা নিয়ে কোনো কথা নেই, সমস্যাও নেই। সমস্যা হয় তখন, যখন পণ্য খারাপ হয় কিংবা পণ্যের প্রচারে ভুল পন্থা অবলম্বন করা হয়। তেমনি বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি তাদের বিজ্ঞাপনের ইসলাম ধর্মের শিক্ষার ভুল উপস্থাপনা করে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ঈদ উপলক্ষে প্রচারিত রবির এক বিজ্ঞাপনের শুরুতে দেখা যায়, নামাজের ইকামত হচ্ছে- কাদকামাতিস সালাহ, কাদকামাতিস সালাহ। আল্লাহু আকবার- আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ওই সময় রবির ট্রেডমার্ক লাল পাঞ্জাবি গায়ে, টুপি মাথায়, হাতে জায়নামাজ নিয়ে মডেল মসজিদে ঢুকে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজে দাঁড়ান। তখন একজন রিক্সাওয়ালা আসেন মসজিদে। কিন্তু রিক্সাওয়ালা নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য মসজিদের গেটে এসে থমকে দাঁড়ায়। সে ভাবতে থাকে ভেতরে যাবে কি যাবে না, কিংবা ভেতরে যেয়ে সে কোথায় দাঁড়াবে? এমন সময় রবির মডেল তাকে তার পাশে, একই জায়নামাজে নামাজে দাঁড়ানোর জন্য ইশারা করে। রিক্সাওয়ালা খুশি মনে তার পাশে গিয়ে নামাজে দাঁড়ায়।

আর তখন স্ক্রিনে ভেসে উঠে ও বলতে শোনা যায়, ‘আপনার প্রার্থনার মতোই ভেদাভেদ নেই রবি কলরেটেও!’ রবিতে আসলেই সারাদেশে এক রেট, অফনেট অননেট যেকোনো নম্বরে মাত্র ৫০ পয়সা প্রতি মিনিট।

বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর থেকে নানা মহল থেকে কথা উঠছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অনেকে পত্রিকা অফিসে ফোনও করেছেন। ইবাতদকে কলরেটের সঙ্গে তুলনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও।

রবির এই বিজ্ঞাপনের চিত্রায়ন, বক্তব্য ও তুলনা ইত্যাদি নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনে মসজিদকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। দেখানো হয়েছে, মসজিদে নিম্ন আয়ের মানুষ যেতে ইতস্ততবোধ করছেন। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। ইসলামের শুরু থেকে মসজিদ সবার জন্য উন্মুক্ত। নামাজের জামাতে একইসঙ্গে আমির-গরিব, ছোট-বড়, কর্তা-কর্মচারী কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করেন। এটাই ইসলামের সৌন্দর্য্য। মুসলমান মাত্রই এটা জানেন, মানেন ও বিশ্বাস করেন। এটা ইসলামের রীতিও বটে। সেখানে দেখানো হলো- নিম্ন আয়ের এক রিক্সাওয়ালা নামাজ পড়তে ইচ্ছা করছেন, কিন্তু তিনি কোথায় দাঁড়াবেন- এটা নিয়ে ইতস্ততবোধ করছেন। এই ভুল ম্যাসেজ কেন?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/30/1535616155607.png

ইসলামের দৃষ্টিতে মসজিদ- মসজিদ হওয়ার জন্য শর্তই হলো- এখানে সবার প্রবেশের, ব্যবহারের সমানাধিকার থাকা। এর ভিন্নতা ইসলাম স্বীকার করে না। এমনকি, মসজিদের কারো জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে রাখা, নামাজের জামাত শুরু করতে কারো জন্য অপেক্ষা করা নাজায়েজ। ইসলামের এই নান্দনিক আচরণ ও সার্বজনীনতাকে অস্বীকার করে এমন ভুল উপস্থাপনা কেন?

অন্যদিকে নামাজের মতো একটি ফরজ ইবাদতকে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। রয়েছে ভাষা নিয়েও কথা। বলা হচ্ছে, ‘আপনার প্রার্থনার মতোই ভেদাভেদ নেই রবি কলরেটেও!’ কোথায় নামাজ আর প্রার্থনা আর কোথায় রবির কলরেট! এটা কী করে এক হলো?
রবির ফেসবুক পেইজে এটা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে, দাবী উঠেছে বিজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারের। তাদের ফেসবুক পেইজে সেলিম রাজু নামের একজন লিখেছেন, ‘ইবাদতের সাথে তুলনা করলে, এটা কেমন মানসিকতা? ... এই প্রথম দেখলাম ইবাদতের সাথে ব্যবসাকে তুলনা করলো। হ্যাঁ, হালাল ব্যবসাও একটি ইবাদত বটে তবে এ ব্যবসাটা সে স্তরে পড়ে না।’

মীর আবু জুবায়ের (Mir Abu Zubair) নামের একজন লিখেছেন, ‘এ কেমন এড, কোথায় নামাজ আর কোথায় রবি। আমি কি বলতে চাইছি আশা করি- বুঝতে পেরেছেন। দয়া করে ভুলভাল এড দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন আশা করি।’

চাদনি মুন হাসান লিখেছেন, ‘বুঝলাম না তাই বলা, প্রার্থনার সাথে কলরেটের তুলনা! ইতরামির একটা সীমা থাকা দরকার। ধর্মকে খুব সহজেই ব্যাবসার কাজে লাগানো যায়, না?’

গোলাম মোস্তফা মাসুম লিখেছেন, ‘জাস্ট ফর ফান, এই রিকশাওয়ালা মনে হয় প্রথমবার মসজিদে গেছে। তা না হলে আমাদের ইসলামে মসজিদে সবাই সমান। লোকটি এমনভাবে অবাক হলো- যেন এটা অবাস্তব। সে জীবনে এমন ঘটনা দেখেনি। ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র শান্তিময় পরিপূর্ণ ধর্ম।’

এভাবে এই বিজ্ঞাপনকে সস্তা কনসেপ্টের বিজ্ঞাপন আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবী করেছেন অনেকে। অনেকে এভাবে নামাজ, মসজিদ ও ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বাণিজ্য না করার আহবান জানান।

আমরা আশা করি, শুধু রবি নয়; যেকোনো প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনে এভাবে ধর্মকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো তদারকি করবে।

   

এআই জীবনধারাকে সহজ করলেও সভ্যতার জন্য ঝুঁকি: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ করে এআই এর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি যাতে ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাাংলাদেশ এবছর প্রথম বারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করেন।

১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের পাশাপাশি এ দিনটি জাতীয় জীবনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ এর পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দু:সাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। জনাব পলক বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজ লভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্রের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠা বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে স্বারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে একটিভ নেটওয়ার্ক স্মারক সাক্ষরিত হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ ব্ক্তৃতা করেন।

;

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ



নিউজ ডেস্ক
ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

  • Font increase
  • Font Decrease

চার্জ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে এসেছে ভিভো ভি৩০ লাইট। এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চয়তা দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো। সাথে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। প্রতিদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারে ৪ বছরের মধ্যে যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০% থেকে কমে যায় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তাই ব্যাটারি হেলথ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

১১ মে থেকে দেশের যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে মিলছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি। থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি ব্যাক সাইডে এবার রয়েছে বেশি ভিন্ন আয়োজন। এর ব্রিজ গ্রিন রঙয়ের স্মার্টফোনটি ব্যাক প্যানেল কালার পরিবর্তন হয়। ইউভি লাইটে বা সূর্যের আলোতে হালকা সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে বেশ ভিন্ন একটি লুক আনে। ব্যবহারকারী চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ব্যাক সাইডে। ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

স্মার্টফোনটির চারপাশে রয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। মাত্র ৭.৭৯ মি.মি এর সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যায়। মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ২৪০০ × ১০৮০। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেশন ১৬৩.১৭ × ৭৫.৮১ × ৭.৭৯ মিলিমিটার।

মাল্টি টাস্কিং এর জন্য ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে স্নাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম। একই সাথে ২৫ টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোনটিতে। কারণ এতে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। সাথে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সাথে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।

;

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের খরচ বাড়বে।

এনবিআর সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

সর্বপ্রথম ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এনবিআরের সূত্র মতে, ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এমনতিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, উচ্চ কর হারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্ক হার যদি আবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্রাহক এবং সার্বিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে, বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে।

তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ সফল হবে না, কারণ ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।

;

‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ‘দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের (জেড-৭০৪০) প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর ভৈরব সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। এই প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা প্রদান করেন।

পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;