কালাপাহাড়: সিলেট বিভাগের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়



তৌফিক হাসান, কন্ট্রিবিউটিং ট্রাভেল এডিটর, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দিগন্ত জোড়া অবারিত সবুজ, যৌবনা পাহাড়ি ঝর্ণা, ছলছল শব্দে আঁকাবাঁকা পথে বয়ে চলা পাহাড়ি ছড়া কিংবা উঁচুনিচু পাহাড়ি জঙ্গলী পথে হাঁটা হয় না অনেকদিন। ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির আবাসের মধ্যে দিয়ে, পাখির ডাক শুনতে শুনতে, বুনো ফুলের গন্ধে মাতাল হয়ে, বাঁধন হারা বাতাসে জুম ফসলের উদ্দাম নৃত্য দেখতে দেখতে পদব্রজে ভ্রমণের সেই আনন্দ শহুরে জীবনে কংক্রিটের পথে কই? তাই তো পাহাড়ে যাই, বার বার যেতে হয় পাহাড়ের ভালবাসার আহ্বানকে অগ্রাহ্য না করতে পেরে।

অনেকদিন থেকে পাহাড়যাত্রা হচ্ছিল না বিধায় আমার পাগলপ্রায় অবস্থা। বন্ধুদের বললাম, কোথাও না কোথাও যেতেই হবে! শহরে তো পাগলের অভাব নেই, ভ্রমণবন্ধু মনির ও রাজন এক কথায় রাজি হয়ে গেল। সঙ্গে জুটলো নন ট্রেকার বন্ধু সোনিয়া। সোনিয়া ও আমার একসঙ্গে অনেক স্মৃতি, ক্লাসে সবসময় পাশাপাশি বসা হতো। ফাজলামো ও খুঁনসুটিতে পার করেছি ইউনিভার্সিটি জীবন। কিন্তু ওর ট্রেকিং-এ তেমন অভিজ্ঞতা না থাকায় খানিকটা শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও টিম ফাইনাল হলো, সদস্য মোট ৪ জন।

পাহাড় বলতে আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের কথাই জানি। অনেকবার গিয়েছি এবং আরও অসংখ্যবার যেতে চাই অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামে। কিন্তু কিছু বিচ্ছিনতাবাদীর কারণে ওই দিকে যাবার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। কয়েকজন ট্রেকার বন্ধুর নিকট খোঁজখবর করলাম কিন্তু নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়া গেল না। অতঃপর আমার খুব কাছের ক্লাসমেট খাগড়াছড়ির ছেলে তাতু চাকমার সঙ্গে আলোচনা করলাম পরিস্থিতি নিয়ে। সে খোঁজখবর করে পরামর্শ দিল এই সময়ে ওদিকটায় না যেতে।

বাঁশের সাঁকো

শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো, মৌলভীবাজারের সর্বোচ্চ স্থান কালাপাহাড়ে যাবো। শুধু মৌলভীবাজার নয়, পুরো সিলেট অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় এটি, উচ্চতা মাত্র ১০৯৮ ফুট। আসলে সিলেট অঞ্চলের পাহাড়ের উচ্চতা বেশ কম, পাহাড় না বলে টিলা বলাই ভাল। তারপরও আমাদের মতই শখের ট্রেকারের কাছে সেগুলোও পাহাড়। কালাপাহাড়কে স্থানীয়ভাবে লংলা পাহাড় নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশ জিওগ্রাফিক সোসাইটির মতে কালাপাহাড়ের নাম 'হারারগঞ্জ পাহাড়' । এই পাহাড়ের বেশিরভাগ অংশ তা প্রায় ৬০ শতাংশ বাংলাদেশে পড়েছে এবং বাকি অংশ ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় পড়েছে। এক বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে বিয়ানীবাজারমুখী এনা বাসের টিকেট কেটে রওনা হলাম, গন্তব্য কুলাউড়া। যদিও সিলেটগামী ট্রেনে গিয়েও কুলাউড়া নামা যায় তবুও আমরা বাসকেই প্রেফার করলাম। ভোর ৬টা নাগাদ কুলাউড়া নেমেই ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা সেরে ৩০০ টাকায় একটা সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চললাম আজগড়াবাদ চা বাগানের উদ্দেশ্যে। সিএনজিচালক বাদশা মিয়া বেশ সদালাপী, চলতি পথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল। ফোন নম্বর দিয়ে রাখলো, ফিরতি পথে যদি সিএনজি না পাই তাহলে যেন উনাকে ফোন করি। যাত্রা পথে এক জায়গায় খানিক দাঁড়িয়ে কিছু শুকনো খাবার আর পানি নিলাম কারণ ট্রেকিং রুটে কোথাও কিছু পাবার সম্ভাবনা নেই। যাওয়া আসা মিলিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টার ট্রেক তাই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ

সকাল ৮টা নাগাদ আজগড়াবাদ চা বাগানের মধ্য দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হলো, ততক্ষণে কেউ কেউ বাগানে কাজ শুরু করে দিয়েছে আবার কেউবা দ্রুতপায়ে আমাদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি জুম ক্ষেতে কাজ করবে বলে। চা বাগানটা বেশ বড় তবে তেমন সুন্দর নয়, তারপরও অবারিত সবুজে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছিল। চা বাগানের মধ্যেই বিশাল এক বট গাছ, দেখে বাকিরা ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো আর আমার দায়িত্ব তা তুলে দেওয়ার। চা বাগান শেষ হতেই উঁচু নিচু পথের শুরু হলো, চলতি পথে পার হতে হলো বেশ কয়েকটি পাহাড়ি খাল। খালের ওপর রয়েছে বাঁশের সাঁকো, একটা তো বেশ দুলিয়ে দিলো। তবে রক্ষা যে সাঁকোগুলো এক বাঁশের নয়। বেশ কিছুক্ষণ চলার পর সরকারি সহায়তায় তৈরি বড় একটা কংক্রিটের সিঁড়ি পেরিয়ে আমরা বেগুনছড়া পুঞ্জিতে পৌঁছলাম। এটা একটা খাসিয়া গ্রাম, গ্রামের প্রায় বাড়িঘরই পাঁকা। আধুনিকতার সকল ছোঁয়াই বিদ্যমান, মোটামুটি বেশিরভাগ বাড়ির ছাদে আকাশ কিংবা টাটা স্কাই দেখতে পেলাম। বোঝা গেল পানের ব্যবসা করে বেশ আছে উনারা। গ্রামে মোট ৩৫টি ঘর রয়েছে, কমবেশি ২৫০ জন লোকের বাস। সবাই খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী এবং গ্রাম একটু সুদৃশ্য চার্চও রয়েছে।

গুনছড়া পুঞ্জি চার্চ

বেগুনছড়া পুঞ্জিতে পৌঁছে আমরা গাইডের খোঁজ করতে লাগলাম, বিভিন্ন মারফত জানতে পেরেছিলাম বেগুনছড়া পুঞ্জিতে গাইড পাওয়া যায়। কিন্তু এই গ্রামে কোন গাইডের দেখা পেলাম না, গ্রামের কেউ গাইডের কাজ করে না। অগত্যা অনেক অনুরোধ করে জুমের জমিতে কাজ করে এমন এক শ্রমিককে সঙ্গে নিলাম পথ দেখানোর জন্য। এদিকে যারা আসবেন তারা আজগড়াবাদ নেমেই পথ দেখানোর জন্য কাউকে খুঁজে নিবেন। কমবেশি ৫০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। যাইহোক, আমাদের গাইড বাবুলকে নিয়ে শুরু হলো আমাদের প্রকৃত জঙ্গল যাত্রা। বেগুনছড়া গ্রাম ছাড়াতেই রাস্তা দুই দিকে বেঁকে গেছে, বামেরটা ছড়ায় গিয়ে মিলেছে দেখে আমরা ডানেরটা ধরলাম। ঠিক হলো ফেরার পথে আমরা ছড়ার রাস্তা দিয়ে ফিরবো। শুকনো পাতা মাড়িয়ে সরু পথ ধরে আমরা যাচ্ছি কালাপাহাড়ের চূড়ায়, দুধারে ছাড়িয়ে যাচ্ছি খাসিয়াদের পানের বাগান, ফলজ বাগান কিংবা ঘন জঙ্গল।

মানুষের তেমন চলাচল নেই বিধায় পথটা বেশ সরু এবং লতা-গুল্মোয় ভরা। তবে পাহাড়ের প্রায় সকল বড় গাছেই পান গাছের সহাবস্থান দেখে বুঝা যায় পাহাড়ের পুরোটাই খাসিয়াদের শস্যভূমি। জুলাই-আগস্টের দিকে ওদিকটায় গেলে সাথে পথ দেখানোর কেউ না থাকলে পথ খুঁজে চূড়ায় যাওয়া মুশকিল। যত উপরের দিকে উঠতে থাকবেন তত মনুষ্য চিহ্ন কমতে থাকবে, চলতি পথে সুনসান নিরবতার ব্যাঘাত ঘটাবে পাখি কিংবা পোকামাকড়ের ডাক। পথিমধ্যে অবশ্য দু-চার জন মানুষেরও দেখা পাওয়া যেতে পারে। কাউকে হয়তো কাঁধে করে কাঠ, কাউকে বাঁশ আবার কেউকে মাথায় জুমের ফসল নিয়ে ফিরতে দেখতে পারেন।

বেগুনছড়া থেকে যাত্রা শুরুর পর বেশ কিছু পাহাড়ি চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আনুমানিক ঘণ্টা দেড়েক পর আমরা মূল পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছলাম। সেথায় দাঁড়িয়ে গাছ-গছালির ফাঁক দিয়ে পাহাড়ের চূড়া চিহ্নিত করার চেষ্টা করলাম। চূড়া বলতে আলাদা করে ঠাওর করার উপায় নাই কারণ পুরোটাই ঘন জঙ্গল, বাঁশ আর গাছে ভরা। আজ ভীষণ গরম পড়েছে, সূর্যও যেন মাথার কয়েক হাত উপরে অবস্থান করছে। উচ্চতা বেশি না হলেও সবার অবস্থা মোটামুটি কাহিল। মাঝে মাঝে বাতাসের শব্দ পাওয়া গেলেও গাছপালা পার করে আমাদের শরীর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেনা বলে কষ্টটা বেশি হচ্ছিল। তাছাড় আলসে বনে যাওয়া শরীর হঠাৎ এমন চাপ সইতে চাইছেনা। বন্ধু সোনিয়ার অস্বস্তি কিছুটা বেশি হওয়ায় গাইডসহ ওকে বসিয়ে রেখে গাইডের থেকে পথ নির্দেশনা নিয়ে যাত্রা শুরু হলো চূড়ার পথে। খানিকটা এগোতেই দেখলাম রাস্তা দুই দিকে বেঁকে গেছে, রাস্তা বলতে তেমন করে আলাদা করা যায় না কষ্ট করে বুঝে নিতে হয়।

পাহাড়ি জঙ্গলের পথে একটু দেখে পা ফেলা

প্রথমেই গাইডের নির্দেশমতো ডানের রুটে চলা শুরু করলাম, আধা ঘণ্টা চলার পর পথ শেষ হয়ে গেল। চিপস আর জুসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে বুঝতে পারলাম জায়গাটায় আমাদের আগেও অনেকে এসেছে। জায়গাটার একটা ভিউ পয়েন্ট আছে বটে তবে তেমন কিছু নয়। গাইডের মতে এটাই চূড়া কিন্তু চূড়া হিসেবে স্থানটিকে আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারলাম না। অগত্যা ফিরতি পথ ধরে ফিরে এসে ফেলে যাওয়া বামের রুটটা ধরলাম। আমাদের গাইড বামের পথটায় যেতে বারণ করেছিল, বলেছিল এই পথ অনেক ভিতরে নিয়ে যাবে আর সময়ও লাগবে অনেক বেশি। মাথায় তখন চূড়ায় যাবার নেশা, হাতরে-পাতরে জঙ্গল সরিয়ে আমাদের এডভেঞ্চার চলতে থাকলো। পথিমধ্যে রাজন তার মোবাইলে ডাউনলোডকৃত ম্যাপে চূড়া খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে। আমি আর বন্ধু মনির হাঁটু সমান জঙ্গল পেরিয়ে চলা শুরু করে দিয়েছি। পিছন থেকে রাজন আমাদের গাইড করছে। খানিকক্ষণ চলার পর খুব সুন্দর একটা বাঁশবাগান পড়লো, বাগানের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বাঁশবাগানে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুলে আবার যাত্রা উঠতে লাগলাম, জায়গাটা কিছুটা অন্ধকার এবং সুনসান। এবার রাজন আমাদের আগে আগে চলতে লাগলো, বাঁশবাগান পেরিয়ে খানিক উঠতেই খোলা আকাশের দেখা পেলাম। রাজনের ম্যাপ অনুযায়ী এটাই চূড়া। চারিদিকে তাকিয়ে আর কোন পাহাড়ের উঁচু দেখতে পেলাম না। জায়গাটা একেবারে জঙ্গলে ভর্তি, মোটামুটি কোমর সমান জঙ্গল। পুরো এলাকাটা হাতি তছনছ করে রেখেছে, হাতির মল চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বাঁশের ঝাঁড় পর্যন্ত মুচড়ে রেখেছে, ধ্বংসের চিহ্ন দেখে হাতির বিশালতার ধারণা পেলাম। ডানে-বামে কিছুটা ঘুরে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম। নিচে সোনিয়াকে বসিয়ে রেখে এসেছি প্রায় ঘণ্টা দুয়েক হলো। রাজন আরও খানিকা এলাকা ঘুরে দেখতে চাইলেও বারণ করলাম পাছে আবার বুনো হাতির পাল্লায় পড়ি। ফিরতি পথে লক্ষ্য করলাম জোঁক আমার পায়ে চুম্বন এঁকেছে আর সেই খুশিতে আমার পা থেকে গড়িয়ে পড়ছে তাজা রক্তের ধারা। পাহাড়ে আসি প্রকৃতির ভালবাসায় আহ্বানকে উপেক্ষা করতে পারি না বলে আর পাহাড়ে আসলে এরকম দু-একটা ভালবাসার নিদর্শন একেবারে অযাচিত নয়।

পাহাড়ি পথ

মাথায় করে গনগনে সূর্য নিয়ে নিচের দিকে নামছি। গাছপালার থাকলে তো সমস্যা নেই, তবে ন্যাড়া অংশে পৌঁছলে চামড়া পুরিয়ে দিচ্ছে সুর্যি মামা। ইতিমধ্যে পানিও শেষ। তড়িঘড়ি করে নেমে এসে গাইডকে বললাম পানির ব্যবস্থা করতে। গাইড বোতল হাতে নিয়ে লাফিয়ে চলে গেল ছড়ার দিকে পানি আনতে। নিকটস্থ ছড়া থেকে পানি নিয়ে আসার পর সেই পানিতে তৃষ্ণা মিটিয়ে ফেরার পথ ধরলাম। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফিরবো ছড়ার পথ দিয়ে। গাইড দা দিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করতে করতে আমাদের নিয়ে চললো। পথ একেবারে খাড়া নিচের দিকে, পথ বলতে তো কিছু নেই। গাইড যেদিক দিয়ে নামাচ্ছে আমরা সে পথেই নামছি। কিছু কিছু জায়গার তো মাটি বেশ আলগা আবার কোথাও খানিক পিচ্ছিল, বেশ সাবধানে নামতে হচ্ছে আমাদের। বেশ অনেকক্ষণ খাড়া উঠা-নামার পর আমরা পাহাড়ি ঝিরি বা ছড়াতে এসে পরলাম। তৃষ্ণার্ত আমরা অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার এবং চলমান পানির ধারা থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করলাম। অতঃপর খানিকক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে ছড়ার ঠান্ডা পানির মধ্য দিয়ে ফিরতে থাকলাম। পথে অনেক মানুষ দেখতে পেলাম, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কাজ থেকে ফিরছে। কয়েকজনের সাথে কথাও হলো, অনেকেই কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞসা করলো আমরা কালাপাহাড়ে গিয়েছিলাম কি না!

পাহাড়ি ছড়া বা ঝিরিপথ

বৃষ্টি তেমন না হওয়াতে ছড়ায় তেমন পানি নেই। ছড়ার পানিতে গোসল করতে চাই যেনে গাইড একটা অপেক্ষাকৃত গভীর অংশে নিয়ে গেল যেখানে বেগুনছড়া পুঞ্জির লোকজন গোসল করে। খুব বেশি গভীর নয়, কোন রকম গা ভেজানো যায় আর কি, তাতেই আধা ঘণ্টার উপরে শুয়ে থাকলাম। সবার গাত্রদাহ কমলে কাপড় পাল্টিয়ে দ্রুত পা চালাতে থাকলাম। ততক্ষণে আকাশ নিকষ কালো হয়ে এসেছে, নির্ঘাত ঝাপিয়ে বৃষ্টি নামবে……

   

ইতিহাস-ঐতিহ্যের শালবন বিহারে একদিন



মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শালবন বিহারে চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা

শালবন বিহারে চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

'বার্ষিক শিক্ষাসফর' শব্দটার সাথে ছোট থেকেই পরিচিত। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বয়স, পরিবর্তন হয়েছে শিক্ষার স্তর। তবুও পরিবর্তন হয়নি অতীতে শব্দটার সাথে কাটানো কৌতূহল। ক্লাস প্রতিনিধির কাছে বার্ষিক সফরের কথাটা শুনতেই মনটা নেচে উঠলো এক পরিচিত আনন্দে। তাই দেরি না করেই চাঁদা জমা দিয়ে নিশ্চিত করলাম নিজের আসনটি।

প্রতিক্ষিত দিনটি চলে এলো। পূবের সূর্যিমামার স্বরুপ ধারণের আগেই শেষ হলো প্রস্তুতি। ভোর ছয়টায় চলে এলাম স্পটে। সাথে বন্ধু, বড় ভাই ও বোন মিলে সর্বমোট ২২০ জন। এবং আরও আছেন ডিপার্টমেন্টের বশির আহমেদ স্যার ও সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম স্যার।

পাহাড় ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে এক সারিতে চারটি গাড়ি ছুটে চলছে বিরামহীনভাবে। গন্তব্য তার ইতিহাস ঐতিহ্যে মোড়ানো কুমিল্লার শালবহন বিহার ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)।

বাস চালু হওয়ার সাথে সাথে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিভিন্ন গান ও বন্ধুদের নাচে সৃষ্টি হলো এক আনন্দ মুখর পরিবেশ। আমাদের মাঝে প্রশিক্ষিত কোন ড্যান্সার না থাকলেও আজ সকলে নেচে গেয়ে উপভোগ করছেন দিনটি। কেউবা হাতের ফোনটি দিয়ে মুহূর্তটুকু স্মরণীয় করে রাখতে তুলে রাখছেন কিছু ছবি। এভাবে নেচে গেয়ে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে যেন খুব দ্রুতই বার্ডের গেটে পৌঁছালাম আমরা। 

বাস  থেকে নেমে বার্ডের মুখে একটা গ্রুপ ফটো তুললাম। এ সময় শোভা পাচ্ছিল সকলের গায়ে একই রঙের টি-শার্ট। যেন মনে হচ্ছে কোন মায়ের জমজ সন্তান!

সবুজ গাছ গাছালি ও নিপুণ স্থাপত্য শৈলির সংমিশ্রণে শান্ত অথচ অসম্ভব সুন্দর বার্ড এলাকাটি। ধুলো-ধুঁয়োর শহর ছেড়ে স্বস্তির বাতাস নিতে আসা যে কারোর জায়গাটি ভালো লাগবে। আমরা কয়েজন বন্ধু মিলে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ফিরে দেখলাম আর ছবি তুললাম। এর মধ্যেই দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেলো তাই দেরি না করে চললাম বার্ডের ক্যাফেটেরিয়াতে। এখানে পূর্ব অর্ডার অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হলো। খাবারের পর্বটি শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বাসে উঠে বসলাম। গন্তব্য এবার শালবন বিহার!

শালবনে পৌঁছে প্রথমেই ঢুকলাম ময়নামতি জাদুঘর। এর পর গেলাম শালবন বিহারে। দেখতে পেলাম শত শত প্রাচীন স্থাপনা। যেগুলো এতদিন বইয়ের পাতায় কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে দেখেছি তা আজ চোখের  সামনে দেখতে পেয়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।

শালবন বিহারটি বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জানা যায়, প্রায় ১২শ বছর আগে বৌদ্ধরা এটি নির্মাণ করে। সারি সারি কক্ষ ও শক্তিশালী পাচীর গুলো দেখে সে সময়ের স্থাপত্যশৈলী কতটা উন্নত ছিল তা সহজেই অনুমেয়। আর আমরাও ইতিহাসের শিক্ষার্থী হওয়ায় খুটে খুটে সব দেখছিলাম, যেন ফিরে গেছি নয়শত শতাব্দির বৌদ্ধ রাজাদের আমলে।

এভাবে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ মাহবুব ভাইয়ার বাশিঁর সুর কানে আসল তার মানে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। এবার পালা ফটোসেশন ও র‍্যাফেল ড্র। আনন্দপূর্ণ ভাবে পর্বটা শেষ হতে না হতেই দেখি সূর্যিমামা জানান দিচ্ছে সে আর বেশিক্ষণ ধরণীতে থাকবে না। তাই আমাদেরও আর বেশিক্ষণ থাকা হলো না। রওনা দিলাম বাসের দিকে। নিজর সিটট খুঁজে ক্লান্ত শরীরটাকে এলিয়ে দিলাম সিটের মধ্যে। চালু হলো বাস! এভাবে ইতিহাস ঐতিহ্যে ঢাকা কুমিল্লা শালবন বিহারকে পেছনে ফেলে  ক্ষণিকের সফর শেষে এগিয়ে চললাম নীড়ের উদ্দেশ্যে।

;

হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা

হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় বাংলাদেশের ক্লাব বিএমটিসির দুই অভিযাত্রী এম এ মুহিত এবং কাজী বিপ্লব। হিমালয়ের ২০ হাজার ৩০০ ফুট উঁচু দুর্গম চূড়া ‘ফার্চামো’তে সফলভাবে আরোহণ করেছেন তারা। 

৩ নভেম্বর সকাল ৯টায় ‘ফার্চামো’র পর্বত চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন। দলের আরেক সদস্য নুরুননাহার নিম্নি অসুস্থতাজনিত কারণে সামিট সম্পন্ন করতে পারেনি। 

অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত জানান, ২৬ অক্টোবর আমরা রামেছাপ এয়ারপোর্ট থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে বিমানে চড়ি। ওইদিনই আমরা পৌঁছাই এভারেস্ট অঞ্চলের প্রবেশ দ্বার খ্যাত হিলারি তেনজিং এয়ারপোর্টে। যেটি একই সাথে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক বিমানরবন্দর হিসেবেও পরিচিত। ওইদিন আমরা ট্রেকিং শুরু করি, বিকেলে পৌঁছাই মঞ্জো। ২৭ তারিখ আমরা যাই নামচে বাজার। ২৮ তারিখে বিশ্রাম নিয়ে পরদিন পৌঁছাই থামে। পরের দিন বিশ্রাম নিয়ে ৩১ তারিখে পৌঁছাই থ্যাংবোতে। পরদিন আমরা ৪ হাজার ৮০০ মিটার উচুঁ বেসক্যাম্প পৌঁছাই। ২ তারিখে ৫ হাজার ৭০০ মিটার উচু তাশি ফুক হাই ক্যাম্পে যাই। 

হাইক্যাম্প থেকে ১০০ মিটার নিচে দলের এক সদস্য নিম্নির শরীর খারাপ লাগা শুরু হয়। প্রধান শেরপা দাওয়া তেনজিং তাকে নিয়ে ফিরে যায়। চিরিং ওয়াংচু শেরপা, ফুর কাঞ্চা শেরপা আমাদের সাথে হাই ক্যাম্পে যান। হাইক্যাম্প পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যায়। দিবাগত রাতে অর্থাৎ তিন নভেম্বর রাত সাড়ে তিনটায় হেডটর্চের আলোয় আমরা চূড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আধা ঘণ্টা পরে ক্র্যাম্পন পয়েন্টে পৌঁছি। ওই সময় তেমন বাতাস ছিল না। মেইন রোপে দেড় ঘণ্টা থাকি। 

তাশি লাপচা পাসকে ডানে আমরা এগিয়ে যেতে থাকি। দীগন্তে ভোরের লাল আভা দেখার সময় ফ্রিক্সড রোপে আমরা জুমার লাগিয়ে আরোহণ শুরু করি। তিনটি কঠিন জায়গায় ১০০ মিটার দড়ি লাগানো ছিল। সে জায়গাগুলো ৮০ থেকে ৯০ ডিগ্রি খাড়া ছিল। ছয়টার সময় জুমার শুরু করি যা শেষ হয় সকাল নয়টার দিকে সামিটে পৌঁছে। আমরা উড়িয়ে দেই বাংলাদেশের লাল সবুজ চূড়ায়। 

পা রাখার আগেই প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়, চূড়ায় ১৫ মিনিটের মতো ছিলাম। মনে হচ্ছিল সব জমে যাবে। হাইক্যাম্পে আসতে আসতে পৌনে এগারোটা বেজে যায়। ওইদনই বেসক্যাম্প হয়ে বিকেল পাঁচটার থ্যাংবো চলে আসি।

এর আগে বাংলাদেশের পর্বতারোহী দল গত ২৪ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। ২০ হাজার ৩০০ ফুট উঁচু ‘ফার্চামো’ পর্বতশিখর এভারেস্ট-এর দক্ষিণ-পশ্চিমে নেপালের রোলওয়ালিং হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত।

এ অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত দুই বার এভারেস্ট আরোহণ করেছেন। ‘ফার্চামো’ পর্বতশিখর অভিযানটি পরিচালনা করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব এবং স্পনসর করছে ইস্পাহানী টি লিমিটেড। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড ২০ শতাংশ ছাড়ে অভিযাত্রীদের ঢাকা-কাঠমুন্ডু-ঢাকা বিমান টিকেট দেয়।

;

থাইল্যান্ডের ক্রাবিতে এখন সবচেয়ে বেশি পর্যটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর না পেরোতেই থাইল্যান্ডের ক্রাবির পর্যটন এলাকা হাত নাপ্পারাথ থারা- মু কো ফি ফি ন্যাশনাল পার্ক থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা (২৭০ মিলিয়ন বাথ)৷ দেশটির যে কোন ন্যাশনাল পার্কের তুলনায় এই আয় বেশি।

ক্রাবি ন্যাশনাল পার্কের প্রধান রাচানক পাইনই বলেন, আগামী নভেম্বর থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। দেশের মেরিন ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করবে ক্রাবি। পর্যটকদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যের মধ্যেও এখন ক্রাবি, বলে জানান তিনি।

গত বছরের অক্টোবর থেকে এই অক্টোবর পর্যন্ত শুধু টিকিট বিক্রিতেই আয় হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। গত মাসে পার্কে প্রবেশের ই-টিকিটের তথ্য থেকে জানা যায়, টিকিট বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ৷


পার্কে এরই মধ্যে পর্যটন সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। মায়া বে'তে শৌচাগার বাড়ানো হয়েছে এবং সংস্কার করা হয়েছে। সমুদ্রপাড়ে মুরিং বো বসানো হয়েছে পর্যটন জাহাজ ভেড়ার জন্য এবং সমুদ্র সৈকত এলাকাকে আরো শৃঙ্খল করা হয়েছে।

গত বছরের পর্যটন মৌসুমের চেয়ে আগামী মাস থেকে শুরু হওয়া পর্যটন মৌসুমে ক্রাবিতে আরো অনেক বেশি পর্যটক ভ্রমণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাচানক পাইনই।

আন্দানমান সাগর জুড়ে থাকা মেরিন ন্যাশনাল পার্কগুলোতে এই মৌসুমে পর্যটক আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড পর্যটন কর্তৃপক্ষ।


সম্প্রতি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ মন্ত্রী ফাতচ্রাবাত ওয়াংসুয়ান বলেছেন, ওয়ার্ল্ড বীচ গাইড অনুসারে পৃথিবীর সেরা ১০০ টি সমুদ্র সৈকতের মধ্যে ৫ টি রয়েছে থাইল্যান্ডের।

;

পর্যটনের অন্যতম স্থান হতে যাচ্ছে কাতার!



পিকলু চক্রবর্তী, কাতার করেসপেন্ডন্ট, বার্তা২৪.কম
পর্যটনদের জন্য অন্যতম স্থান হতে যাচ্ছে কাতার!

পর্যটনদের জন্য অন্যতম স্থান হতে যাচ্ছে কাতার!

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতারে ক্রমশই বড় হচ্ছে পর্যটন খাত। বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা।দেশটিতে পর্যটক বাড়ার পেছনে প্রধান কারণ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন। পর্যটন প্রেমীদের কথা মাথায় রেখে দোহা একের পর এক পর্যটনখাতকে উন্নত করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মরুর বুকে সবুজ পরিবেশ প্রচারের লক্ষ্যে ২ অক্টোবর থেকে কাতারে শুরু হয়েছে ছয়মাস ব্যাপী দোহা এক্সপো-২০২৩।

এক্সপো ২০২৩ দোহাতে সর্বাধিক পরিদর্শন এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ল্যান্ডমার্ক। এর ক্রিয়েটিভ বৈশিষ্ট্যগুলোর সংমিশ্রণ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। আল বিদ্দা পার্কেটি প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এখানকার বিভিন্ন আয়োজন মুগ্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

এদিকে, আল মুরজান গার্ডেনের শৈপ্লিক কারুকাজ দেখে দর্শনার্থীরা খুবই আনন্দিত। এখানে বিশাল হলুদ টেডি বিয়ার, হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিখ্যাত ল্যাম্প বিয়ার স্থাপন করা হয়েছে।


কাতার এয়ারওয়েজ গার্ডেনের মনোরম দৃশ্য এক্সপোতে আসা পর্যটকদের সুন্দর ক্যানভাসের অভিজ্ঞতা দেবে। এর প্রাণবন্ত সৌন্দর্যে মুগ্ধ হাজারো দর্শনার্থী।

এক্সপোতে কুরআনিক বোটানিক গার্ডেনে, একটি শিক্ষামূলক পরিবেশের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। এখানে বন্যপ্রাণীর সাথে বাগানের দর্শকরা বিভিন্ন বিনোদনমূল ইভেন্টে অংশ নিতে পারে। কুরআনিক বোটানিক গার্ডেনের বিশেষ ফোকাস হচ্ছে- মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা। বাগানের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল হার্বেরিয়াম, যেখানে উদ্ভিদের নমুনাগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা এই প্রজাতির স্থায়ী রেকর্ড দেখানো হবে।

এই সংরক্ষণ বিভাগটি কাতারের স্থানীয় এবং বন্য উদ্ভিদ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিকে আন্ডারলাইন করে। এক্সপো ২০২৩ দোহা বোর্ড গেমস, আর্ট ওয়ার্কশপ এবং মঞ্চে লাইভ পারফরম্যান্সসহ অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গন, কংগ্রেস কেন্দ্র, প্রদর্শনী কেন্দ্র, এবং পিকনিকসহ বিভিন্ন স্থান পর্যটকদের মুগ্ধ করবে।


উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্টে পর্যটন খাতে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

আগস্টে ২ লাখ ৬৪ হাজার পর্যটক কাতার ভ্রমণ করেছে। অবশ্য পর্যটকের মোট সংখ্যা আগের মাস জুলাইয়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ কম। জুলাইয়ে গত বছরের তুলনায় পর্যটক বেড়েছিল ৯১ দশমিক ৪ শতাংশ। মোট পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার।

আগস্টের ৪৩ শতাংশ পর্যটকই ছিল উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে আসা। ফিফা বিশ্বকাপের সফল আয়োজনের ফলে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে, যা কাতারকে পর্যটনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্থান দিয়েছে।

কাতার ট্যুরিজমের চেয়ারম্যান এবং কাতার এয়ারওয়েজ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আকবর আল-বাকার বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইভেন্টের গতিকে কাজে লাগাতে কাতার পর্যটনের নতুন পরিকল্পনা ঠিক করেছে। যার ভালো ফল দেখা যাচ্ছে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করতে পর্যটন খাতকে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে সরকার।

;