ডেনমার্কে রাষ্ট্রদূতের বাসভবন কিনতে আরও ২২ কোটি টাকা চায় মন্ত্রণালয়



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-ছবি: সংগৃহীত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-ছবি: সংগৃহীত।

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে রাষ্ট্রদূতের বাসভবন কিনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অতিরিক্ত ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই অর্থ চাওয়া হয়। চিঠিতে, বাজেটের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত থেকে এ অর্থ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্কের আঙ্কারা, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, ব্রুনাইয়ের বন্দর সেরি বেওয়ান এবং ভূটানের থিম্পুতে চ্যান্সারি ও বাসভবনের জন্য জায়গা কেনা হয়েছে। এছাড়া ইতালীর রোম এবং যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসেও জমি কেনার প্রক্রিয়া চলামান। কোপেনহেগেনে বাংলাদেশের দূতাবাস ইউরোপের কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দূতাবাসটি দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি এস্তোনিয়া ও আইসল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশীদের কনস্যুলার সেবা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধি ও বাংলাদেশমুখী বিনিয়োগ আকর্ষণে ভূমিকা রাখছে।

এসব বিবেচনায় কোপেনহেগেনে রাষ্ট্রদূতের স্থায়ী বাসভবন কেনার সুপারিশ করে ক্রয় কমিটি। ওই সুপারিশ অনুযায়ী কোপেনহেগেনের ২১টি ভবন সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। তারমধ্যে ৬টি ভবনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

এরই প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য সম্পত্তিগুলোর তালিকা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সুপারিশ দিতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থাপতি, অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গত ৭-১১ আগস্ট কোপেনহেগেন সফর করে চূড়ান্ত সুপাশি জমা দেয়। সুপারিশে বাসভবনের ডিজাইন, আকার এবং অবস্থান বিবেচনা করে জেইগার্সবার্গাল্ল ৮৮ চার্ললেটটেন্লুন্ড, কোপেনহেগেনে অবস্থিত ভবনটি কেনার সুপারিশ করা হয়।  ফলে ভবন ক্রয়, রেজিস্ট্রি এবং আইনজীবী নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক খরচ ধরা হয় ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যদিও এ খাতে বরাদ্দ মাত্র ১৭ কোটি টাকা। ফলে জমি ক্রয় ও আনুষঙ্গি খরচ বাবদ আরও ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, চলতি অর্থবছরে ২০১৮-১৯ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্রয় খাতে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে, যা দিয়ে প্রস্তাবিত ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। তাছাড়া চলতি অর্থবছরে ইতালীর রাজধানী রোম, লস অ্যাঞ্জেলেসে অফিস/বাসভবন কেনার জন্য সবপরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। এ অবস্থায় কোপেনহেগেনের বর্তমান ভবনটি কিনতে বিদ্যমান বরাদ্দের অতিরিক্ত ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে। অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত থেকে এই বরাদ্দ করা প্রয়োজন।

পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের ৫৫টি দেশে বাংলাদেশের ৭২টি মিশন আছে। যার মধ্যে ৫৪টি দূতাবাস, দু’টি স্থায়ী মিশন, আটটি কনস্যুলেট জেনারেল, তিনটি ডেপুটি হাইকমিশন, দু’টি সহকারী হাইকমিশন, একটি কনস্যুলেট এবং একটি ভিসা অফিস আছে।

এরমধ্যে মাত্র ১০টি দূতাবাসের জন্য নিজস্ব জমি আছে। তবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসের বেশির ভাগই চলছে ভাড়া বাড়িতে। এ কারণে নানা ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনগুলোর নিজস্ব চ্যান্সারি এবং রাষ্টদূতের বাসভবনের জন্য জমি বা জমিসহ ভবন কেনার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনার আওতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত ৩২টি দেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোর জন্য জমি কেনার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে কোপেনহেগেনে রাষ্ট্রদূতের বাসভবন কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

 

   

ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশটির সহযোগিতা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বাণিজ্য জোরদারে ফ্রান্সের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন মেদেফের সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনেও আগ্রহের কথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। ফ্রান্স দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি পণ্যের বাজার হিসেবে ধরা হয় ফ্রান্সকে। দেশটিতে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মো. আমিন হেলালী ফরাসি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে বিজনেস টু বিজনেস (B2B) বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান (টিটো), এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাটাচে ইয়ান রিগেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

একীভূত হতে চায় না ন্যাশনাল ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

একীভূত না হয়ে নিজেই সবল হতে চায় বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। এ কারণে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন পরিচালক বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক যাতে ঘুরে দাঁড়ায় এ লক্ষ্য নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যবস্থাপনায়ও পরিববর্তন এসেছে। এখন  যদি বলা হয় একীবূত করা হবে, তা হয় না। যে কারণে একীভূত না হয়ে ব্যাংকটিকে কীভাবে সবল হতে পারে সে ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এর আগে গত ৯ এপ্রিল জানানো হয়, বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সংকটে থাকা বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক।

এদিকে, ব্যাংক খাতে একীভূতকরণ নিয়ে আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাহকরা আমানত তুলে নিচ্ছে বলেও বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা যায়। গত ১৫ এপ্রিল ব্যাংক খাতের এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনো একীভূতকরণের আবেদন নেওয়া হবে না।

এর আগে ১৮ মার্চ এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই হয়। এটি ছিল একীভূতকরণের প্রথম ধাপ। এছাড়া সিটির সঙ্গে বেসিক, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে জানানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে কয়েকটি ব্যাংকে একীবূত করার  সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করে। এর আলোকে একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মূলধন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য পরিস্থিতি এই ৪টি সূচকের ভিত্তিতে দূর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে বলে জানানো হয়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এক করার কথা। এরপর গত ৪ এপ্রিল ব্যাংক কিভাবে একীভূতকরণ করা হবে সে বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড- ২০২৩’ পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনা করে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় ওয়ালটন পরিবার
অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে দেশে স্বনির্ভর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে গড়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্প।

সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক মেশিনারিজের সমন্বয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সেসব পণ্য রফতানি হচ্ছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে। যে পণ্য একসময় দেশে আমদানি হতো তা এখন রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এতে দেশ ও মানুষের সম্মান সমুন্নত হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির কারণে। এই নীতি সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন সবসময় পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ওয়ালটনের উৎপাদিত ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। যা পরিবেশ সুরক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখে চলছে। পরিবেশ অধিদফতর ও ইউএনডিপির সমন্বয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে এসি এবং ফ্রিজে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ওয়ালটন যেমন পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখছে, তেমনি দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের সুষম ব্যবহারও নিশ্চিত করছে।

নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও অধিক পরিমাণে উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান ও টেকসই করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিযোগিতামূলক
অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বছর ১২টি খাতে ওয়ালটনসহ মোট ২৯টি শিল্প-কারখানা এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

;

২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে বৈধপথে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার।

;