ওরিয়নের ব্যর্থতায় বেকায়দায় সরকার, বাজেয়াপ্ত হচ্ছে জামানত



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ওরিয়ন গ্রুপের লোগো। ছবি: প্রতীকী

ওরিয়ন গ্রুপের লোগো। ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

বারবার সময় নিয়েও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ বিএনপি ঘরানার কোম্পানি ওরিয়ন গ্রুপ। আর তাদের ব্যর্থতার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে সরকারকে। তাই ওরিয়ন গ্রুপকে আর সময় না দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জামানত বাবদ প্রায় ৪৪ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। পাশাপাশি কোম্পানিটিকে কালো তালিকাভুক্ত করারও উদ্যোগ নিচ্ছে সংস্থাটি।

সরকারের মাস্টারপ্লান অনুযায়ী, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জাতীয় গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। সেভাবেই হিসাব করে ওরিয়ন গ্রুপের সাথে চুক্তি করে সরকার। কিন্তু উৎপাদনে যেতে না পারায় সরকারকেও বাধ্য হয়ে বহুল সমালোচিত রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি নবায়ন করতে হয়।

সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পিডিবি’র এক সভায় ওরিয়ন গ্রুপকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনোভাবেই আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। ফলে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। চুক্তি বাতিল হলে প্রথম ধাপের তিনটি কেন্দ্রের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬ ডলার এবং এলওআই ইস্যুকৃত তিনটি কেন্দ্রের জন্য ১১ হাজার ৯৯০ ডলার বা প্রায় ৪৪ লাখ টাকা জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।

জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলের চেয়ে সাশ্রয়ী কয়লা। তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ১৫ টাকা। আর কয়লায় খরচ পড়ে ৫-৭ টাকা। ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর জোর দেয় সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৪০ হাজার মেগাওয়াট। যার ২০ হাজার মেগাওয়াট কয়লা দিয়ে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। এই সুযোগে ২০১২ সালে প্রথম দেশীয় কোম্পানি ওরিয়ন গ্রুপ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সরকারে সঙ্গে চুক্তি করে।

আরো জানা গেছে, প্রথম ধাপে ওরিয়ন গ্রুপের মাওয়ায় ৫২২, খুলনায় ২৮২ ও চট্টগ্রামে ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার কথা। তাদের পার্টনার হিসেবে থাকার কথা চাইনিজ কোম্পানি লনকিং’কে। এগুলোর মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০১৬ সালের মার্চে এবং মাওয়া কেন্দ্রটি একই বছরের জুলাই মাসে উৎপাদনে যাওয়ার কথা। কিন্তু উৎপাদন তো দূরের কথা প্রায় সাড়ে ৬ বছরে কেন্দ্রের কাজই শুরু করতে পারেনি ওরিয়ন গ্রুপ।

অন্যদিকে, ২০১৩ সালে দ্বিতীয় দফায় ঢাকায় ২৮২ ও ৬৩৫ এবং চট্টগ্রামে ২৮২ মেওগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এলওআই (আগ্রহপত্র) ইস্যু করে কোম্পানিটি। সেগুলোর অগ্রগতিও জিরো। দফায় দফায় শুধু সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারেনি ওরিয়ন গ্রুপ।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর বিদ্যুৎ বিভাগের এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় ওরিয়ন গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে ভৎসনা করা হয় এবং গত অক্টোবর মাসের পর আর সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক গণশুনানিতে তৎকালীন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেশি। ফলে আপাতত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে। তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে বিদ্যুতের দাম কমানো হবে।

কিন্তু ওরিয়ন গ্রুপের ব্যর্থতার কারণে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব হয়নি। বরং দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হয়েছে সরকারকে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় আছি।’

এতোদিনে ওরিয়নের সাথে কেন চুক্তি বাতিল করা হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘চুক্তি বাতিল করা আমাদের লক্ষ্য না। আমরা কাজটি করাতে চাই। আর চুক্তি বাতিল করলে অন্য কাউকে সেটার দায়িত্ব দিতেই হতো। তাই এতোদিন অপেক্ষা করা হয়েছে। তাদের দ্রুত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ব্যর্থ হলে চুক্তি বাতিল করা হবে।’

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;