পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আবার ঋণ দেবে সরকার



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছানাউল হক। ছবি: বার্তা২৪.কম

ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছানাউল হক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাঝে সারকার আবারও বিনা শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছানাউল হক।

 

সম্প্রতি পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একান্ত সাক্ষাতকালে বার্তা২৪.কম’কে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, ছানাউল হক ১৯৮৪ সালে আইসিবি’তেই কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) এমডি, অগ্রণী ব্যাংকের ডিএমডি, আইসিবি ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাক্ষাৎকারের চম্বুক অংশ বার্তা২৪.কম’র পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার কী ধরণের সুবিধা দেওয়ার চিন্তা করছে?

উত্তর: সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় এর আগে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। যার শতভাগ ফেরত এসেছে। তাই সরকার আবারও এ ধরণের ঋণ দেওয়ার কথা ভাবছে। সম্প্রতি আমরা একটি মিটিংও করেছি, যেখানে সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আশা করছি উভয় পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এ ঋণ সুবিধা পাবেন।

প্রশ্ন: ভারত ও পাকিস্তানি মুদ্রার অবমূল্যায়ন হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এদেশের পুঁজিবাজার থেকে কী সুবিধা নিতে পারে?

উত্তর: বার্তমানে এক ডলারের দাম ১৩০ পাকিস্তানি রুপি। যেখানে আমাদের মুদ্রার মান ৮০-৮৩ টাকা। ফলে পাসিস্তানের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হওয়ায় বাইরে টাকা পাচার হচ্ছে। আমি আশা করি, ভারত ও পাকিস্তানের মুদ্রার অবমূল্যায়নের সুযোগে বড় বড় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আসবে।

প্রশ্ন: নির্বাচন শেষে পুঁজিবাজারের অবস্থা কেমন আশা করছেন?

উত্তর: নির্বাচন শেষে দেশের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি। তাছাড়া দেশের অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে। ফলে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। ইতোমধ্যে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানি ও চীনের বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। তবে দেশে রাজনৈতিক সংকট কেটে গেলে আমাদের পুঁজিাবাজারের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রশ্ন: আইসিবি পুঁজিবাজারে কিভাবে সাপোর্ট দেয়?

উত্তর: আইসিবি গত ২০ বছর ধরে পুঁজিবাজারে সাপোর্ট দিয়ে আসছে। ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজার ধসের সময় যেমন সাপোর্ট দিয়েছিল, তেমনি ২০১১ সালের ধসেও আমরা বাজারকে সাপোর্ট দিয়েছি। বর্তমান ক্রাইসিসের মধ্যেও সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। তবে পুঁজিাবাজার থেকে আমরা মুনাফাও করছি। গত বছর ক্রাইসিসের মধ্যেও আমরা শেয়ার হোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ও ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছি।

প্রশ্ন: ফারমার্স ব্যাংকের সংকট কাটাতে আইসিবি কী ভূমিকা রাখছে?

উত্তর: গত বছর আমরা খুবই ক্রিটিক্যাল সময় পার করেছি। কারণ ফারমার্স ব্যাংক একেবারে বসে গিয়েছিল। আইসিবি ও অন্যান্য ব্যাংকগুলো ইক্যুইটি যোগান দিয়ে এই ব্যাংকটিকে আবার দাঁড় করিয়েছে। ফলে সেই অর্থে ব্যাংকটির আর ক্রাইসিস নেই। তবে ক্রাইসিস থাকলে তার একটা আন্তর্জাতিক প্রভাব পড়তো দেশে। এজন্য অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে। ফলে এখন আমানতকারীদের আস্থা ফিরেছে।

প্রশ্ন: আইসিবির ২০০০ কোটি টাকার বন্ড থেকে কী মুনাফা আসা শুরু করেছে?

উত্তর: দেখুন, বন্ড বিক্রি থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ টাকা পেয়েছি। বাকিটা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পাবো। সেটা দিয়ে উভয় পুঁজিবাজারে সাপোর্ট দিয়েছি। সংকটকালেও আমরা সাপোর্ট দিয়ে গেছি। সিঙ্গেল ব্রোয়ার এক্সপোজরদের জন্য আমরা বন্ডটাকে নিয়ে এসেছিলাম। ফলে পুঁজিবাজার আবার চাঙ্গা হয়ে গেল। এসময় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। ফলে বন্ডটার সাবসক্রিপশন সহজ হয়েছিল। এই বন্ডের কারণেই নভেম্বর-ডিসেম্বরে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে এবং মাকের্টের সাপোর্ট লেভেল ধরে রাখতে সহায়তা করেছে। ২০১৯ সাল পুঁজিবাজার ভালো থাকবে বলে আশা করছি। কারণ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। ফলে পুঁজিবাজারের ইন্ডিকেটরগুলো ভালো দিকে যাবে।

তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন কারণে আমাদের পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও এখন তারা আবার ফিরতে শুরু করেছে। এশিয়ার দেশগুলো থেকে তারা পুঁজি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরকার বন্ডের সুদ হার কমিয়ে দেওয়ায় তারা আবার ফিরতে শুরু করেছে।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;