অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক ইতিবাচক



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অধিকাংশ সূচকে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। তবে সার্বিক অর্থনীতি চাঙা করতে ও নেতিবাচক সূচক ইতিবাচক করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের সার্বিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থমন্ত্রণালয়ে একাধিক প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অর্থনীতির মৌলিক সূচকগুলোর মধ্যে রফতানি আয় বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী, আমদানি ব্যয় কমেছে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে, শিল্প ঋণে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্রের হার কমেছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিপরীতে ব্যাংকিং খাতে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ কমেছে, আমানত সংগ্রহে মন্দা, সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে ও বেসরকারি খাতে কমেছে, গ্রামীণ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ও কৃষিঋণ বিতরণে মন্দা, রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধির হার ও বৈদেশিক অনুদান কমেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত অর্থবছরের (২০১৭-২০১৮) প্রথম ছয় মাসে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়েছিল ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯) বেড়েছে ৪ দশমিক ০২ শতাংশ। গত অর্থবছরে সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমেছিল ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তবে চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছিল ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

দেশের বর্তমান অর্থনীতির বিষয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বর্তমানে দেশের অর্থনীতি গতানুগতিক ধারায় চলছে। এ ধারায় চললে অর্থনীতিতে দ্রুত বড় কোনো অগ্রগতি হবে না। এখন বড় অস্থির কারণ বিনিয়োগে স্থবিরতা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও ব্যাংক ঋণের স্বল্পতা।’

তিনি আরও বলেন, 'প্রতি বছরই জিডিপি বাড়ছে। এর মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের সুষম বণ্টন হচ্ছে না। ফলে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। এখন আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই বৈষম্য দূর করার দিকে নজর দিতে হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বড় অংশই বেসরকারি খাতের। এ কারণে বেসরকারি খাত চাঙা হলে অর্থনীতির গতি ও কর্মসংস্থান বাড়ে। তাই এ খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো উচিত।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয় ২৯ হাজার কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে নিয়েছে ৩০ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমানত প্রবাহ বেড়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া গত অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ বেড়েছিল ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আর চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমানতের চেয়ে ঋণ বেশি বাড়ায় ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট বিরাজ করছে। এ সংকট দূর করতে হয় আমানত বাড়াতে হবে, নয় ঋণের লাগাম টানতে হবে। ব্যাংকগুলোকে এখন বকেয়া ঋণ আদায় বাড়িয়ে ও ব্যয় কমিয়ে সংকট মোকাবিলা করতে হবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোতে তারল্য আছে ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক লাখ ৭৮ হাজার কোটি ও ব্যাংকগুলোর কাছে ৭৭ হাজার কোটি টাকা আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে কৃষি খাতে ঋণ প্রবাহ ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ বাড়লেও চলতি অর্থবছরে কমেছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। গত অর্থবছরে একই সময়ে গ্রামীণ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ঋণ প্রবাহ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়লেও চলতি অর্থবছরে কমেছে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শিল্প খাতে মেয়াদী ঋণ প্রবাহ ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও চলতি অর্থবছরে ২১ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ কমেছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ।

এছাড়া গত ২৭ মার্চ রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ২৩৫ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ১৬৫ কোটি ডলার। একই সময়ের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বেড়ে ৮২ টাকা ৯৬ পয়সা থেকে ৮৪ টাকা ২৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

গত অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছিল ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে আমদানি ব্যয় বাড়ে ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ ও চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত অর্থবছরে একই সময়ে আমদানির জন্য এলসি খোলা বেড়েছিল ৬৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে কমেছে ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অর্থবছরে এলসি নিষ্পত্তির হার বেড়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে রফতানি আয় বেড়েছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বৈদেশিক অনুদান বেড়েছিল ১২০ দশমিক ০৪ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে একই সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছিল ৮২ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে এসেছে ৯১ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ২১ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছরে এসেছে ৭ কোটি ডলার।

গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল ৫৪০ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩৪ কোটি ডলার। মূলত আমদানি ব্যয় কমায় এ ঘাটতির পরিমাণ কমেছে। এদিকে গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রাজস্ব আয় বেড়েছিল ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;