পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায় ২৮ লাখ বিনিয়োগকারী



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান দরপতনে আস্থা ও তারল্য সংকটে পুঁজিবাজারে এখন রক্তক্ষরণ চলছে বাজার সংশ্লিষ্টদের। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দরপতন এখন ২০১০ সালের ধসের পর বাজারে আরেক দফা ধসের রূপ নিয়েছে। নতুন এ ধসে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। ফলে ২৮ লাখ বিনিয়োগকারীর এখন একটাই প্রত্যাশা, ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যমতে, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে নতুন ধসের শুরু হয়েছে। সেদিন থেকে ২০ এপিল পর্যন্ত মোট ৫৬ কার্যদিবস উভয় বাজারে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ কার্যদিবস উত্থান আর ১৯ দিন পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। 

তাতে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীরা এখন পুঁজি হারানোর ভয়ে চরম আতঙ্কে আছেন। আর তাতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোরও লোকসানের পাল্লাও ভারী হচ্ছে।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বাজারে এই রক্তক্ষরণের জন্য দায়ী নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ২০১০ সালের পর টানা আট বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময় পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না করে নিজের চেয়ারম্যান পদটি স্থিতিশীল রাখতে ব্যস্ত রয়েছেন। 

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, সব ধরণের দুর্নীতিকে প্রশ্নয় দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য সঠিত কমিশন বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কেড়ে নেওয়ার জন্য কাজ করেছে। আর তার খেসারত দিচ্ছে বাজার।

ব্রাক ইপিএলের বিনিয়োগকারী ইমতিয়াজ আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘২৪ বছর ধরে শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ সময়ে অনেক চেয়ারম্যানকে আসতে যেতে দেখেছি। কিন্তু বর্তমান কমিশনের মতো কোনো কমিশন দেখিনি।’

তিনি বলেন, ‘এ কমিশনের আমলে গত আট বছরের যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে। তার বেশির ভাগ কোম্পানির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।’

বিএসইসির বর্তমান কমিশনের মদদে ২০১০ সালের মতোই আবারও অবৈধ প্লেসমেন্ট বাণিজ্যের আরও একটি বাজার তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তার।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গত আট থেকে নয় বছরের পুঁজিবাজারে ভালো কোনো কোম্পানি আসেনি। বরং এ সময় বাজারে শতাধিক কোম্পানির বেশির ভাগই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভালো শেয়ারের সরবরাহ না থাকায় বিনিয়োগকারীরা লাভের আশায় প্লেসমেন্ট ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।’ এছাড়াও ব্যাংকিং সেক্টরের নেতিবাচক অবস্থারও পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে দরপতনের প্রতিবাদে ব্রোকারেজ হাউজ ছেড়ে আবার রাস্তায় নেমেছেন বিনিয়োগকারীরা। আর তা দেখে সরকার পক্ষ থেকে কমিশনকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেবল সজাগ হয়েছে। তারা বাজারের সমস্যা নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টএক্সচেঞ্জের পাশাপাশি বাংলাদেশ মাচেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। বৈঠকে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তবনা কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কমিশনও এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা দূর করতে হবে। নতুন ফান্ডের যোগান দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে সংস্কার, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সময় সীমা বাড়ানো ও প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধসহ পুঁজিবাজারে জন্য বিশেষ প্রণোদনার ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দিয়েছি কমিশনকে।

কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থে প্রস্তাবনাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন বলে ডিএসইকে আশ্বাস দিয়েছেন।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য মতে, দুই পুঁজিবাজারে ২৮ লাখ ৪৭ হাজার বিনিয়োগকারী রয়েছে। বাজারের এই বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা একটাই, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

   

টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার

টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও রাইস ব্রান কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২২ হাজার টন মসুর ডাল, এক কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল রয়েছে।

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে নাবিল নাবা ফুডস প্রোডাক্ট লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ দশমিক ২৪ টাকা। যা আগে ছিল ১০৩ দশমিক ৭৫ টাকা।

টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ দশমিক ৭৫ টাকা। যা আগে ছিল ১০৪ দশমিক ৭০ টাকা।

অপর এক প্রস্তাবে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ছয় হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। রাজশাহীর মেসার্স সালমান খুরশীদের কাছ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং খুলনার শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কাছ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০১ দশমিক ৪০ টাকা। যা আগে ছিল ১০২ দশমিক ৯০ টাকা।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক-ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের র‌্যাফেল-ড্র অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। র‌্যাফেল ড্র-তে ভাগ্যবান বিজয়ী হন ব্যাংকের মুন্সীরহাট শাখার রেমিট্যান্স গ্রাহক মোঃ শাহজালাল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাউথ এশিয়ার রিজিওনাল অপারেশন্স ম্যানেজার শিহাব হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান জয়নাল আবেদীন, চিফ রেমিট্যান্স অফিসার মাজহারুল হক এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ।

প্রধান অতিথি জাফর আলম ভাগ্যবান বিজয়ীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং তাকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে তার ও তার পরিবারের খোঁজখবর নেন, কুশল বিনিময় করেন।

;

ডলারের দাম বেড়ে ১১৭ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাকার বিপরীতে ডলারের দাম একলাফে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ (এফইপিডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, মার্কিন ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ পদ্ধতিতে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ক্রলিং পেগ মিড রেট (সিপিএমআর) নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। যার ফলে তফসিলি ব্যাংকগুলো এখন থেকে সিপিএমআরের আশপাশে মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেন করতে পারবে।

জানা যায়, ক্রলিং পেগ হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।

;

ইউনিয়ন ব্যাংকের ধলাপাড়া উপশাখার উদ্বোধন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীয়াহ্ ভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা প্রদানের প্রত্যয়ে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’র ধলাপাড়া উপশাখা, টাঙ্গাইলের উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ধলাপাড়া উপশাখা উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ. বি. এম. মোকাম্মেল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়ন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউদ্দিন আহমেদ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হোসেন এবং ঘাটাইল ধলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ এবং টাঙ্গাইলের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 

;