চামড়ার দেনা-পাওনার সমাধান মেলেনি



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
চামড়া সংকট সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চামড়া সংকট সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির চামড়া নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক কোনও সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। বৈঠকে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের মধ্যে লেনদেন নিয়ে ব্যাপক হট্টগোলও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২২ আগস্ট দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনকে (এফবিসিসিআই)।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর তিনটায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক চলে প্রায় তিন ঘণ্টা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। আড়তদাররা পাওনা টাকা না পাওয়ায় চামড়া কিনতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন। আর ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের ফলে কিছুদিন চামড়া উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকায় বিদেশি ক্রেতারা চাহিদামত সরবরাহ না পাওয়ায় অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে নতুন কারখানা স্থাপন করায় ট্যানারি মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তারা আগের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি বিধায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন:অপরিকল্পিত ট্যানারি স্থানান্তরের কারণেই চামড়ার বাজারে..

কাঁচা চামড়া রফতানিতে লাভবান হবেন পাইকারি..

এ সময় ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন গত সাড়ে তিন বছরে কেউ বকেয়া টাকার জন্য তার কাছে আসেননি। তার এই বক্তব্যে হট্টগোল শুরু হয়, প্রতিবাদ জানান আড়তদাররা এবং টাকা পরিশোধের সমাধান চান। এসময় দুই পক্ষের হট্টগোল থামান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বৈঠকের হাল ধরেন। তিনি জানতে চান কোরবানিতে কত চামড়া হয়। উত্তরে তাকে জানানো হয়, প্রায় এক কোটি পিস চামড়া হয়। পরে তিনি জানতে চান এক কোটি পিসের মধ্যে কত পিস চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে? উত্তরে একজন বলেন ২৫ লাখ, এসময় সবাই প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন এতো নষ্ট হয়নি। আর আড়তদারদের একজন দাবি করেন, যা প্রচার হচ্ছে তা সঠিক নয়, আমার মনে হয় মাত্র এক হাজার পিস চামড়াও নষ্ট হয়নি। জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, যদি এক কোটির মধ্যে এক হাজার পিস নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে আমরা এখানে বসে মিটিং করছি কেন? তাহলে সরকারের তরফ থেকে কি অ্যাকশন নিতে হবে, সে অ্যাকশনে আমি যাবো। কয়েকজন বললেন ২৫ শতাংশ, আরেকজন ১০ শতাংশ আরেকজন বললেন ১ শতাংশ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করব না আপনারা ব্যবসায়ীরা জানেন না কত চামড়া নষ্ট হয়েছে।

এসময় চট্টগ্রামের আড়তদারদের প্রতিনিধি জানান, তার ২৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানতে চান সারাদেশে হলো না আপনার এখানে কেন হলো? যদি নাটোর, কুষ্টিয়া, বগুড়ায় না হয় তাহলে চট্টগ্রামে কেন হয়েছে? এটা আমি তদন্ত করব। জবাবে চট্টগ্রাম আড়তদারদের ওই প্রতিনিধি জানান, ৭০ ভাগ লোক টাকার অভাবে ব্যবসা করতে পারেনি।

আর রাজশাহী আড়তদারদের প্রতিনিধি এ ঘটনায় একটি মনিটরিং কমিটি করার দাবি জানান। কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের প্রতিনিধিদের রাখার জন্য প্রস্তাব করেন তিনি। তার এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে কমিটি গঠনের বিষয়ে মত দেন বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীসহ অনেকেই।

পরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, দুই পক্ষের আলোচনায় উঠেছে টাকার বিষয়টি, কিন্তু কে কত টাকা পান সেটা আমাদের লেভেলের কাজ নয়। সেটি আপনাদের বসে ঠিক করতে হবে। দুই চারজনের কারণে চামড়া শিল্পের উপর ব্যাংকিং সেক্টর ভরসা হারিয়েছে। জনতা ব্যাংক থেকে জীবনে আপনারা আর টাকা পাবেন না। কারণ জনতা ব্যাংকের কাস্টমার আপনাদের ট্যানারি মালিকরা যা করেছেন তাতে তারা বলছে, আমরা মাফ চাই; এটি হচ্ছে অবস্থা। শুধু জনতা নয় অন্য ব্যাংকেরও একই অবস্থা। আপনারা দেনা-পাওনা যা আছে তা সমাধানের চেষ্টা করেন, না পারলে আমাদের কাছে আসুন।

এসময় আড়তদাররা অভিযোগ করে বলেন, ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে। চামড়া লবণজাত করে আমরা একমাস থেকে তিনমাস রাখতে পারি। এর বেশি রাখলে তাদেরই ক্ষতি হবে। কিন্তু তারা কোরবানি থেকে দুই আড়াই মাস চামড়া কেনেন না। ফলে এই চামড়া গন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা অর্ধেক চামড়া বাদ দেয়, আবার কিছু কেনেন। তার এই বক্তব্যের পর আবার হট্টগোল শুরু হয়। ট্যানারি মালিকরা বলতে থাকেন, আমরা কি এভাবে চামড়া কিনি? এভাবে হয় না। এসময় দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা উত্তেজিত বাক্য বিনিময় করেন।

ট্যানারি মালিকরা দাবি করেন, যেভাবে হোক ব্যাংককে আমাদের টাকা দিতে হবে। চামড়া ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ ব্যাংক দেয়, ৫০ ভাগ আমরা দেই। সেটি হলে আমরা সহজেই চামড়া কিনতে পারি। নইলে আমাদের চামড়া কিনতে দুই মাসের বেশি সময় লাগতে পারে। জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, চামড়া খাতে এ বছর প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা তাদের জন্য থোক বরাদ্দ রেখেছিলাম সরকারি ব্যাংকে, যদি ডিমান্ড আসে সে অনুযায়ী তাদের বিতরণ করার জন্য। ব্যাংকিং অ্যাক্টে কিন্তু বলা আছে যারা ঋণ খেলাপি তাদের ঋণ দেয়া যাবে না। সেজন্য অনেককেই ঋণ দেওয়া যাচ্ছে না। এ সময় আড়তদাররাও ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধার দাবি জানান।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার বিব্রত। আমরা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চাই। একদিকে আপনারা এক্সপোর্ট করতে দেবেন না, আরেকদিকে চামড়া কিনবেন না, বলবেন টাকা নেই। যাতে করে এটি নিয়ে আর কথা না হয়, আপনারা এর সমাধানে যান।

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, আপনারা অবশ্যই ব্যবসা করবেন, তবে ব্ল্যাকমেইলের সুযোগ নেই। প্রয়োজন মনে করলে সরকার চামড়া রফতানি করবে। সরকার কারো কাছে জিম্মি হবে না। আগামীতে জেলায় জেলায় চামড়া বিক্রি করতে না পারলে সরকার দায়িত্ব নিয়ে চামড়া কিনবে। এটা ব্যবসায়ীদের সমাধান করতে হবে, তারা না পারলে আমরা যুক্ত হবো। আমরা এখানে রাজনৈতিক কোন ফায়দা লুটতে দেবো না।

আরও পড়ুন:চামড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আসতে চাই: শিল্পমন্ত্রী

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আজকের বৈঠকে আমরা সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেছি। আমরা এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। সত্যিকার অর্থে আড়তদাররাও তো আমাদের কাছে টাকা পান, সেটি সমাধান করা প্রয়োজন। আমরা নিজেরা আবার বসব, আর ২২ তারিখ দুই পক্ষের বৈঠক আছে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আর ব্যাংক ঋণের কিছু নিয়ম কানুনও আছে। সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, সেটি নিয়েও আমরা আলোচনা করব।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পৃথিবীর মধ্যে কাঁচা চামড়া বিক্রি করে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশ। আমরা কাঁচা চামড়ার ব্যবসা কোনদিন করিনি। ফলে এই ব্যবসা করতে গেলে কিছু দেশের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়, যা আমাদের নাই। আমাদের এক্সপোর্ট লাইসেন্সই নাই। সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি। যেহেতু ট্যানারি মালিকরা বলেছে আমাদের বকেয়া টাকাগুলো তারা ব্যবস্থা করবে।

তিনি বলেন, আগামী ২২ তারিখ এফবিসিসিআই তাদের সঙ্গে বসে আমাদের বকেয়া টাকার ব্যবস্থা করে দেবে। আজকের বৈঠকের পর আমরা চামড়া বিক্রি শুরু করে দিলাম। নইলে আমাদের চামড়া গরমে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা এবার ক্যাশ টাকা যাদের কাছে পাবো তাদের কাছেই চামড়া বিক্রির চেষ্টা করব। ঢাকার ব্যবসায়ীরা এখনো প্রায় দেড়শ কোটি টাকা পাওনা আছি। আর সারাদেশ মিলিয়ে চারশ কোটি টাকা পাবো।

বিষয়টি সমাধানে কি উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি এফবিসিসিআই'র ভাইস প্রেসসিডেন্ট মো: রেজাউল করিম রেনজু।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;