ফিরে গেলেন হোলি আর্টিজান মামলার ৩ সাক্ষী
হোলি আর্টিজান মামলার অন্যতম আসামি হলেন নব্য জেএমবির অস্ত্র ও অর্থ জোগানদাতা মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন। তিনি অন্য একটি মামলায় কারাগারে আটক থাকায় সাক্ষ্য না দিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে হোলি আর্টিজান মামলার তিন সাক্ষীকে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে হাজির হয়েছিলেন ওই তিন সাক্ষী। কিন্তু আসামি রিপনকে আদালতে হাজির না করায় তারা সাক্ষ্য দিতে পারেননি। তবে আগামী ২১ মার্চ আসামিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেদিন পুনরায় ওই তিন সাক্ষীকেও হাজির হতে বলা হয়েছে।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।
পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়।
২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
এই ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ ও মামুনুর রশীদ।
আসামি শরিফুল ইসলাম পলাতক আছেন।