সাবেক এমপি রানার জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক এমপি রানা, ছবি: সংগৃহীত

সাবেক এমপি রানা, ছবি: সংগৃহীত

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া স্থায়ী জামিন বহাল রয়েছে আপিল বিভাগে।

জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করেছে আদালত। ফলে তার কারা মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আমানুর রহমান রানার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ২০ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এক আদেশে রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন। ওই দিন শুনানি শেষে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করার নির্দেশ দেন।

তার আগে ১৯ জুন এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আমানুর রহমান খান রানাকে স্থায়ী জামিন দেন। গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে জামিন স্থগিত করে রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।।

দুই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নে। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়াকে আটক করা হলে তারা হত্যায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং জড়িত বাকিদের নাম বলে দেন।