হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে অব্যাহতি: ক্ষমা চাইলেন বিচারক
নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবদুল আহাদ হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন। হত্যা মামলার প্রধান আসামির নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশে ভুল হয়েছে স্বীকার করে রুলের লিখিত জবাবে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল হবেনা বলে জানিয়েছেন ওই বিচারক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে তিনি এ ক্ষমা চান।
আদালতে বিচারকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। সংশ্লিষ্ট মামলার বাদী নাজমুল হুদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলীম।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়ার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে পাইপগান দিয়ে এনামুল নামে এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন মল্লিক মাজহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই নাজমুল হুদা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নড়াইলের কালিয়া থানায়।
চলতি বছরের ১০ জুন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাজহারুল ইসলাম ওরফে মাঝার নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন। বিচারিক আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নিহত এনামুলের ভাই নাজমুল হুদা। এ আবেদনের শুনানিতে বিচারকের ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কারণ ব্যাখ্যা করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামি মাঝাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
নির্দেশনা মোতাবেক আসামি মাঝা আত্মসমর্পন করলে ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ তাকে জামিন দেন। এ ঘটনায় হাইকোর্ট এ জামিন কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আগামী ২০ আগস্ট শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন। একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত বিচারককে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।