মন্দিরে পর্নোগ্রাফিক পার্টি?



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
সম্প্রতি কম্বোডিয়ার ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ আঙ্কর ওয়াট মন্দিরের সামনে সিয়েম রিপ থেকে পুলিশ ১০জন পর্যটককে গ্রেফতার করে ‘অশ্লীল' পার্টির জন্য৷ অথচ সমীক্ষা বলছে, পুরো দেশটাই নারী এবং শিশু পাচারে জর্জরিত৷ উইনস্টন চার্চিল একদা বলেছিলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যে হলো সংখ্যাতত্ত্ব৷ তবু সংখ্যাতত্ত্বের ওপর নির্ভর করতেই হয়৷ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি নারী এবং শিশু পাচারে একেবারে প্রথম সারিতে৷ তারা পাল্লা দিচ্ছে আফ্রিকার কিছু দেশের সঙ্গে৷ আরো দুর্ভাগ্যজনক সত্যি হলো, কম্বোডিয়া তার মধ্যে অন্যতম৷ সেই ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকেই সেক্স পর্যটন এখানে গুরুত্ব পেতে শুরু করে৷ বর্তমানে যা বিপুল আকার ধারণ করেছে৷ দুঃখজনক সত্য হলো, ইউনেস্কোর তথ্য অনুসারে, কম্বোডিয়ার মোট চালান হওয়া মানুষের ১৫ শতাংশই শিশু৷ বস্তুত, কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের অন্যতম বর্ডার পয়পে এশিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর সীমান্ত নামে পরিচিত৷ মানুষ পাচারের অন্যতম ট্র্যানজিট পয়েন্ট৷ শিশু এবং নারী পাচারের কারণে কুখ্যাত এই বর্ডার৷ অর্থাৎ, কম্বোডিয়া সাদা বাংলায় ‘ধোয়া তুলসি পাতা' নয়৷ পাচার, যৌন কেলেঙ্কারি, নাবালক সেক্স ব়্যাকেট সবই রমরম করে চলছে থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিতে৷ শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের কোনো কোনো এইড গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী কম্বোডিয়ায় এ ধরনের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সেখানকার রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সৈন্যবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসার এবং পুলিশপ্রশাসন৷ সমাজের গভীরে রয়েছে সমস্যা৷ এ হেন কম্বোডিয়া যখন ‘অশালীন' পার্টি করার জন্য পর্যটকদের গ্রেফতার করে, তখন তা বিশ্বের কাছে হাসির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ অভিযোগ, সিয়েম রিপে ৯০ জন বিদেশিকে আটক করেছিল পুলিশ৷ তাদের মধ্যে থেকে ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ যার মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ, নরওয়েজিয়ান, মার্কিন এবং নেদারল্যান্ডের পর্যটক৷ পুলিশের অভিযোগ, ওই পর্যটকেরা নাকি মাঝ রাতে সিয়েম রিপের একটি ভিলায় পার্টি করছিলেন৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ‘পর্নোগ্রাফিক' অবস্থায় পাওয়া যায়৷ সে কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়৷ অভিযোগ শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পর্নোগ্রাফিক' অবস্থা বলতে খামের পুলিশ ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছে? তাদের যে ছবি উদ্ধার হয়েছে, সেখানে সকলের শরীরেই পোশাক দেখতে পাওয়া গেছে৷ বস্তুত, কম্বোডিয়ার পুলিশ তাদের ওয়েবসাইটে কিছু ছবি আপলোড করেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে৷ সেখানে কোথাও নগ্ন অবস্থায় পার্টি করতে কাউকে দেখা যায়নি৷ একজনের গায়ে আরেকজনকে পড়ে যেতে দেখা গেছে৷ কিন্তু তার সঙ্গে পর্নোগ্রাফির সম্পর্ক কী? আন্তর্জাতিক ওয়েব বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্নোগ্রাফির কিছু নির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে৷ পুলিশের অভিযোগের সঙ্গে যার কোনো সম্পর্ক নেই৷ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ঘটনাস্থল ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ আঙ্কর ওয়াট (বানানভেদে আঙ্কর ভাট) মন্দিরের সামনেই৷ অশ্লীল পার্টি করে ওই পর্যটকেরা মন্দির এবং খামের সংস্কৃতির অবমাননা করেছেন৷ ধরে নেওয়া যাক, অভিযোগ সত্য৷ সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কোনো দেশ নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতেই পারে৷ বহু দেশে কোনো কোনো ধর্মস্থানে ঢোকার নির্দিষ্ট পোশাক আছে৷ যেমন কোনো কোনো ক্লাবে ঢুকতে গেলেও পোশাকবিধি মেনে চলতে হয়৷ এর পক্ষে-বিপক্ষে বহু যুক্তি আছে৷ কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে তা বলবৎ করতেই পারে৷ অভিযোগ, আঙ্কর ওয়াটের অনতিদূরে পাব স্ট্রিট৷ রাতভর সেখানে পার্টি চলে৷ পার্টির আড়ালে বহু বেআইনি কাজও হয়৷ অর্থাৎ সরকার মন্দিরের অদূরে সেই অর্থে পশ্চিমি অপসংস্কৃতির ব্যবস্থা করেই রেখেছে৷ তাহলে সেখানে কয়েকজন পর্যটককে টার্গেট করা হবে কেন? যে কায়দায় ওই পর্যটকেরা পার্টি করছিলেন, পশ্চিমি দুনিয়ায় তা মোটেই খুব ‘অশ্লীল' নয়৷ সুতরাং, নিজের সংস্কৃতির ধ্বজা উড়িয়ে অন্যের সংস্কৃতিকে অবদমন করা কোনো যুক্তি হতে পারে না৷ কম্বোডিয়ার সংস্কৃতি নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের বক্তব্য, আঙ্কর ওয়াট থেকে প্রতি বছর একটা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা আয় করে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা কম্বোডিয়া৷ সে কারণেই পশ্চিমি পর্যটকদের টানতে পাব স্ট্রিট ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ এক কথায় যাকে বলা যায়, বিনোদনের ব্যবস্থা৷ সুতরাং, বিনোদনে অংশ নেওয়া পর্যটকদের হেনস্থা করার কোনো যুক্তি নেই৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়ে গিয়েছে৷ ব্রিটেন সহ অন্যান্য দেশের অভিবাসন দফতর গ্রেফতার হওয়া পর্যটকদের বিষয়ে কম্বোডিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে৷ হয়তো কিছু দিনের মধ্যে সমাধানসূত্রেও পৌঁছানো যাবে৷ তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর ফলে দেশের পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতে পারে৷ তাঁদের আরো প্রশ্ন, পুলিশের পাচারবিরোধী যে বাহিনীর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান করার কথা, তারা হঠাৎ সব ফেলে কয়েকজন বিদেশির পেছনে পড়ল কেন? অর্থলাভের আশায়?
   

ইমরান-বুশরার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের একটি জবাবদিহি আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)  আদালত এ আদেশ দেন বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালত আদেশে বলেছেন, ইমরান খান সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়েছেন। এটি বিচার বিভাগের মর্যাদাকেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত করেনি; বরং ন্যায়বিচার প্রদানের মতো বিচারিক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত করেছে।

একই সঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর করা ‘রাজনৈতিক বা উত্তেজনা সৃষ্টিকারী’ মন্তব্য গুরুত্ব দিয়ে প্রচার না করতেও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আদালত।

আল–কাদির ট্রাস্ট মামলায় সুষ্ঠু বিচারের অনুরোধ জানিয়ে করা এক আবেদনের নিষ্পত্তিকালে আদালতের বিচারক রানা নাসির জাভেদ পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান ও তার স্ত্রীর ওপর ‘প্রতিষ্ঠানের’ বিরুদ্ধে কথা বলার বিষয়ে ওই নিষেধাজ্ঞা দেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, ইমরান খান সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়েছেন। 

এটি বিচার বিভাগের মর্যাদাকেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত করেনি; বরং ন্যায়বিচার প্রদানের মতো বিচারিক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত করেছে।  

আদালতের মর্যাদা ব্যাহত করতে পারে এমন রাজনৈতিক বা উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আইনজীবী দল, ইমরান খান ও তার স্ত্রী এবং তাদের পক্ষের কৌঁসুলিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আদালত। 

;

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৫৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন।

মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচন

রাহুল, শশী, হেমা মালিনীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার সাত দফা ভোটের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৮৮টি আসনে। এই দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বলিউড তারকা হেমা মালিনীসহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যেরও ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এই দফার ভোটে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তার পুরনো আসন, কেরালার ওয়েনাড় থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন। সেখানে তার মূল লড়াই বাম জোট এলডিএফের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও। কেরালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল (আলাপুঝা) ভোটে লড়ছেন। সিপিএমের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দুই সাবেক মন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং টমাস আইজ্যাক (পথনমথিট্টা)।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনও প্রার্থী পালাক্কাড় আসনে। কেরালা থেকেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং ভি মুরলীধরন (অত্তিনগল)। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত তার পুরনো আসন রাজস্থানের জোধপুর থেকেই আবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওই রাজ্যের কোটা থেকে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ছেলে বৈভব (জালোর) এবং একদা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী মরুরাজ্যে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।

দ্বিতীয় দফার ভোটের লড়াইয়ে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী (মান্ড্য) এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল (রাজনন্দগাঁও) রয়েছেন। কুমারস্বামী জেডিএস এবং ভূপেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দুই অভিনেতা হেমা মালিনী (মথুরা) এবং অরুণ গোভিল (মিরাট)। হেমা মথুরার দু’বারের সংসদ সদস্য। আশির দশকে টিভি সিরিয়াল রামায়ণে রামের ভূমিকায় অভিনয়কারী অরুণ এ বার প্রথম নির্বাচনী ময়দানে।

দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তাছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও আসামের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও।

;

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;