ফলাফলের আগেই সরকার গঠনে চিঠি দিতে চায় ২১ জোট



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভার ফলাফল ঘোষণার আগেই বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জোট করে সরকার গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে আগেই চিঠি দিয়ে রাখতে চায়।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সাত ধাপের মধ্যে আর মাত্র দুই ধাপ বাকি রয়েছে। ১৯ মে শেষ ধাপে ভোট গ্রহণ ও ২৩ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে ২১টির মতো বিজেপি বিরোধীদল এক জোট হয়েছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে।

তারা পরিকল্পনা করছে, যদি কোনো দল একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেয়ে থাকে, তবে তাকে যেন সরকার গঠনের জন্য আহ্বান করা না হয়।

এদিকে লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য ২৭২ আসন ম্যাজিক সংখ্যা।

ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী জোট ১৯ মে ভোটগ্রহণ শেষে এবং ২৩ মে ফলফল ঘোষণার মধ্যবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে একটি চিঠি আগেই দিয়ে রাখতে চাইছে। তারা বলতে চায় বিজেপি বা অন্য কোনো দল যদি ২৭২ আসন এককভাবে না পায় তাহলে তাদের যেন সরকার গঠন করতে না ডাকে। শুধুমাত্র যে বিরোধী জোট এই ম্যাজিক সংখ্যা দেখাতে পারবে তাদেরই যেন ডাকা হয়।

নির্বাচনের পরে যখন সরকার গঠনে দরকষাকষি চলবে তখন এই চিঠি আগে থেকে দেওয়া আছে বলে এই বিরোধী জোট রাষ্ট্রপতিকে মনে করিয়ে দেবে। এটাও একটি আগাম রাজনৈতিক কৌশল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদি বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পায়, কিন্তু সবচেয়ে বেশি আসন পায়, তবে তাদের সরকার গঠন করতে ডাকতে পারে রাষ্ট্রপতি। কারণ সরকার গঠন করতে কাকে ডাকবেন এটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। এ ক্ষেত্রে যেহেতু বর্তমান রাষ্ট্রপতি বিজেপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন, তাই তারা এগিয়ে থাকতে পারে।

কিন্তু এ বিরোধী জোট মনে করে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেয়েও বিজেপিকে সরকার গঠনে ডাকা হলে তারা ঘোড়া (সাংসদ) বেচা-কেনায় সামিল হতে পারে।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপি ২৮২টি আসন নিয়ে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে। তাদের জোটের এনডিএর যৌথ শক্তি ছিল লোকসভার ৩৩৬টি আসন।

১৯৯৮ সালে বিজেপি নেতা অটল বিহারি বাজপেয়ী রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণকে আগেই চিঠি দিয়ে তাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর দেখা গেল বিজেপি পেয়েছে ১৭৮টি আসন। কিন্তু তাকে সরকার গঠনে ডাকা হল। বিজেপি তার জোটসঙ্গীদের নিয়ে তখন সরকার গঠনে সমর্থ হলে ২০ মাসের মধ্যে অনাস্থা ভোটে লোকসভায় হেরে যায় এবং সেই সরকারের পতন হয়।

সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই ২১ দলের জোট অফিসিয়ালি এক হওয়ার ঘোষণা দেয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এ জোট বিজেপি ও কংগ্রেসের বিরোধী জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

   

কেরালায় স্ত্রী, মেয়ে, ছেলের গলা কেটে নিজের আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যক্তির



Ashish Biswas
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কেরালা রাজ্যে এক ব্যক্তি তার নিজের স্ত্রী এবং মেয়েকে প্রথমে বিষ খাইয়ে অচেতন করেন। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাদের গলা কেটে ছেলের গলা কাটার চেষ্টা করেন। ছেলের মৃত্যু হয়েছে ভেবে এরপর নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরে বাবা ও ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বজনেরা।

আর্থিক সংকটে পড়ে ওই ব্যক্তি পরিবারের সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (৬ মে) দিনগত গভীর রাতে কেরালার দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা কোল্লামের পরাভুরে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে বলে টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি মঙ্গলবার এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, আর্থিক সংকটে পড়ে ৪৬ বছর বয়স্ক শ্রীজু সোমবার দিনগত রাতে প্রথমে স্ত্রী পৃথা (৩৯) ও মেয়ে শ্রীনন্দাকে (১২) বিষ খাইয়ে অচেতন করেন। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাদের গলা কাটেন। এরপর একইভাবে ছেলে শ্রীরাগের (১৭) গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। ছেলের মৃত্যু হয়েছে ভেবে তিনি নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে পাশের আত্মীয়-স্বজনেরা ডেকে তাদের সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে চারজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা নিশ্চিত হন যে, শ্রীজুর স্ত্রী এবং মেয়ে আর বেঁচে নেই। তবে ছেলে ও বাবা বেঁচে রয়েছেন। তাদের অবস্থা খুবই গুরুতর। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাবা ও ছেলের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্ররাভুর পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঘরে বিষ পাওয়া গেছে। সে কারণে তারা ধারণা করছেন, নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে বিষ খাইয়ে গলা কাটেন শ্রীজু। এরপর একইভাবে ছেলেরও গলা কেটে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বলা যাবে, ঘটনার সত্যতা।

 

;

পাকিস্তানের আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয় আফগানিস্তানে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার (৭ মে) বলেছে, দেশটিতে গত মার্চে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেও ছিলেন একজন আফগান নাগরিক।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওই হামলায় পাঁচ জন চীনা প্রকৌশলী নিহত হন।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি বাঁধ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের একটি গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ছয় জন নিহত হয়।

পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পুরো হামলার পরিকল্পনা আফগানিস্তানে বসে করা হয়েছিল। হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটিও আফগানিস্তানেই প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং আত্মঘাতী হামলাকারীও একজন আফগান নাগরিক ছিলেন।’

পাকিস্তানের এমন দাবির বিপরীতে এখনো মুখ খোলেনি আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত প্রশাসন।

কাবুল এর আগে বলেছিল যে, পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ইসলামাবাদের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা। পাকিস্তানে হামলা চালানোর তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।

আহমেদ শরীফ বলেন, চীনা প্রকৌশলীদের টার্গেট করার পরিকল্পনার মূল সন্দেহভাজন চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে ২৯ হাজার চীনা নাগরিক, যার মধ্যে ২,৫০০ জন সিপিইসি প্রকল্পে এবং ৫,৫০০ জন অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে, তাদের নিরাপত্তা দান করাচির জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

এদিকে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। ইসলামাবাদ বলছে, পাকিস্তানকে টার্গেট করা জঙ্গি গ্রুপগুলোকে মোকাবেলায় যথেষ্ট কাজ করছে না আফগানিস্তান।

ইসলামাবাদ বলেছে, জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সহায়তা করছে তালেবান। এই সংগঠনটি তালেবানের সঙ্গে যুক্ত নয়, কিন্তু আফগানিস্তানভিত্তিক আন্দোলনের প্রতি অনুগত।

গত বছর পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার আফগান নাগরিককে বহিষ্কার করেছিল।

তখন পাকিস্তান বলেছিল, তার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আত্মঘাতী হামলা আফগানদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।

আহমেদ শরীফ আরও বলেন,‘টিটিপি জঙ্গিরা পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। টিটিপি জঙ্গিরা হামলা চালানোর জন্য আফগানিস্তান থেকে উন্নত অস্ত্রও সংগ্রহ করছে।’

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী টিটিপি এবং তাদের সুবিধাদাতাদের মোকাবিলা করতে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে যাবে।

;

জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র, ইউক্রেনের ২ কর্নেল গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ দেশটির শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার কথা জানিয়েছে এসবিইউ (ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা)। এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইউক্রেনের সরকারি সুরক্ষা বিভাগের দুই কর্নেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবার বরাতে মঙ্গলবার (৭ মে) এতথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এক বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা পরিষেবা বলেছে, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনা অনুসারে এই ষড়যন্ত্রের সন্দেহে রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা স্টেট গার্ড অব ইউক্রেনের দুই কর্নেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর আগেই দুই কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধান ভাসিল মালিউককে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পঞ্চম মেয়াদে শপথ গ্রহণের আগে এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হলো।

মালিউক বলেছেন, তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে এই অতি গোপনীয় অভিযান পরিচালনা করেছেন।

এসবিইউ জানিয়েছে, তিনজন এফএসবি কর্মচারী এ হামলার তদারকি করেছে। তাদের একজনের নাম দিমিত্রো পার্লিন। তিনি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের আগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। অপরজন হলেন ওলেক্সি কর্নেভ।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রুশ বাহিনী জেলেনস্কিকে হত্যার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ কিয়েভের।

;

ইসরায়েলের ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব হামাসের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দীদের জন্য জিম্মি বিনিময়ের জন্য তিন ধাপের চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তবে হামাস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে মুক্তি দিতে চাওয়া এই ৩৩ জন জিম্মির সবাই জীবিত নয়।

প্রস্তাবিত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ৩০ জন শিশু ও নারীকে মুক্তি দেবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে গত সোমবার (৬ মে) হামাস বলেছে, তারা গাজায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

চুক্তির তৃতীয় দিনে প্রথম ধাপে হামাস তিন জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং তারপর প্রতি সাত দিনে আরও তিন জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

ষষ্ঠ সপ্তাহে এই পর্বের আওতায় থাকা বাকি সব বেসামরিক জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে হামাসের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী কারাগারে সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

শর্ত অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পর তৃতীয় দিনে ইসরায়েলি বাহিনীকে উত্তর গাজার আল-রশিদ রাস্তা থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রথম পর্বের ২২তম দিনে ইসরায়েলি বাহিনীওক সালাহ আল-দিন রোডের পূর্বে উপত্যকার কেন্দ্র থেকে ইসরায়েলের সীমান্তের কাছে একটি এলাকায় সরিয়ে নেবে ইসরায়েল।

দ্বিতীয় পর্বে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনিদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলের কিছু রিজার্ভ সেনাকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে হামাস।

তৃতীয় ধাপে কাতার, মিশর এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে থাকা সাহায্য সংস্থার আদান-প্রদান এবং পুনর্গঠনের বাস্তবায়ন শুরু হবে।

রয়টার্স জানিয়েছে, একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তিটি ইসরায়েলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ শর্তগুলো একতরফা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘প্রস্তাবটি ইসরায়েলের দাবি থেকে অনেক দূরে।’

হামাস সদস্য খলিল আল-হাইয়া কাতারভিত্তিক আল জাজিরা চ্যানেলকে বলেছেন, ‘প্রস্তাবে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

হামাসের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরও বলেছে, ‘আমাদের জিম্মিদের মুক্তির অগ্রগতির জন্য হামাসের উপর সামরিক চাপ প্রয়োগ করতে রাফাহ আক্রমণ চলবে।’

নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এটি ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় রাখবে এবং তা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’

;