বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা উদযাপন করছেন তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। সম্প্রীতি ও ঐক্যর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মুসল্লিরা মেতে ওঠেন এই উৎসব আয়োজনে।
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মুসলিমরা মঙ্গলবার (৪ জুন) ও বুধবার (৫ জুন) এ উৎসব উদযাপন করছেন। এ বছর ২৯টি রোজা শেষে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে শুরু হয় ঈদুল ফিতর।
বিজ্ঞাপন
সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তান, ইরাক ও নাইজেরিয়ায় মঙ্গলবার ঈদ উদযাপিত হয়। অপরদিকে, মিশর, সিরিয়া, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও অন্যান্য দেশের মুসলিমরা বুধবার ঈদ উদযাপন করছেন।
বার্তা২৪.কম-এর পাঠকদের জন্য বিশ্বজুড়ে ঈদুল ফিতর উদযাপনের কিছু স্থির চিত্র তুলে ধরা হলো
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল সংসদে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন জয়শঙ্কর। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির বিরোধী দলগুলোও এই ইস্যুতে কোনো আপত্তি তুলবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের গ্রেফতার নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তেজনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এই সনাতন জোট নেতার গ্রেফতার এবং জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় ২৬ নভেম্বর ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার ও তাকে জামিন না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর উগ্রবাদীদের একাধিক হামলার পর তাকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; একই সঙ্গে মন্দিরে চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের এমন ভিত্তিহীন বিবৃতি দুই দেশের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমন একটি বিষয় নিয়ে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এরপরও অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে সরকার লক্ষ করছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার ঘটনাকে কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে। (ভারতের) এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে ভুলভাবে তুলে ধরছে না, পাশাপাশি দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনারও পরিপন্থী।
ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়া বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের পূর্বে খারকিভ থেকে সুদূর পশ্চিমে লুটস্ক এবং দক্ষিণে ওডেসা থেকে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে হারমান হালুশচেঙ্কো বলেছেন, পুরো ইউক্রেন জুড়ে জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে অঞ্চলজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
তিনি বাসিন্দাদের কিয়েভের অফিসিয়াল পেইজে নজর রাখতে ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
কিয়েভের পশ্চিমের ২ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দার শহর জাইটোমিরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি সরবরাহ সংস্থা।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে চলা বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ'র (পিটিআই) প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মীকে।
তবে গুলি ছোড়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধান আলী রিজভি জানান, বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে অভিযানে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে বেশ কিছু অটোমেটিক রাইফেল, টিয়ার গ্যাস বন্দুক জব্দ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে বুধবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট ৯৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও ইমরান খানের শীর্ষ সহযোগী আলি আমিন গান্দাপোর মানসেহরা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়েছি। তারপরও পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। আমি আর ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি সরাসরি আক্রমণের শিকার হয়েছি। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী এবং ইসলামাবাদ পুলিশের একজন মুখপাত্র অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধের জবাব দেননি।
এর আগে পিটিআই জানিয়েছে, এ হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।
কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভির কার্যালয় তা অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে জানায়, এখন পর্যন্ত কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এই ধরনের কোন ঘটনা সম্পর্কে প্রচারিত দাবিগুলো ভিত্তিহীন এবং অপ্রমাণিত।
বুধবার বিক্ষোভের স্থানগুলো পরিদর্শন করে নকভি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সফলভাবে বিক্ষোভকারীদের অবস্থানের স্থান এবং রাজধানীর অন্যান্য এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে মনোনয়ন পাওয়া বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এছাড়াও ভুয়া ফোন কল (সোয়াটিং) করে তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
এফবিআই এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাচিত বেশকিছু মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বোমা হামলা ও সোয়াটিংয়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে অবগত ও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বিবিসি জানায়, গত মঙ্গলবার ও বুধবার ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা, আবাসন, কৃষি ও শ্রম বিভাগের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত অন্তত নয়জনকে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিকেও এ হুমকি দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ওইদিন থেকেই তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্পের নিযুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহিংস ও অ-আমেরিকান হুমকির লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
তিনি বলেন, মনোনীতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারীরা দ্রুত কাজ করেছে।
ট্রাম্পের নির্বাচিত জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিস স্টেফানিকে প্রথমে এই হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনিই প্রথম বলেছিলেন যে তার পরিবার ও বাড়ি বোমা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
স্টেফানিকের অফিস বলেছে, তাঁর স্বামী ও তিন বছরের ছেলের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে নিউইয়র্কে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় এই হুমকি দেয়া হয়।
এরপর প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে মনোনীত পিট হেগসেথও তাঁর এক্স-এ এক পোস্টের মাধ্যমে বোমা হামলার হুমকির কথা জানান।
এক্স-এ তিনি লিখেছেন, "বুধবার সকালে এক পুলিশ অফিসার তাঁর বাড়িতে এসে বোমার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু আমাকে এসব ভয় কিংবা ধমক দিয়ে লাভ হবে না।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে সেবা করার জন্য মনোনিত করেছেন এবং আমি এটাই করতে চাই।"
একই ধরনের হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের প্রশাসনের কৃষিমন্ত্রী পদে মনোনয়ন পাওয়া ব্রুক রোলিন্স, আবাসনমন্ত্রী পদে মনোনীত স্কট টার্নার ও শ্রমমন্ত্রী পদে মনোনীত লোরি শাভেজ-ডিরেমার। হুমকি পেয়েছেন ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। তুমুল বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে তিনি সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এই হুমকির বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খুলেনি ট্রাম্প। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প নিজেও একাধিকবার হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন।