রেকর্ড দাবদাহে স্পেনে পাঁচজনের মৃত্যু



কবির আল মাহমুদ, স্পেন থেকে
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি গ্রীষ্মে স্পেনের রেকর্ড ছাড়ানো তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শনিবার (২৭ জুলাই) দেশটির ৪৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। করডোবা প্রদেশের মনতরো শহরে দেশটির রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া সংস্থা দেশটির এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছড়ানোর রেকর্ড করে।

গত এক সপ্তাহে গরমে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। অসহনীয় তাপমাত্রায় অসুস্থতায় দেশটির লা রিয়োখাতে ৮৬ বছরের একজন বৃদ্ধ, করডোবাতে ১৭ বছরের এক যুবক, ভাইয়াদলিদে ৯৩ বছরের বৃদ্ধ, লগরোনিও তে ৯০ বছরের নারী এবং খামারে গরমের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে সেভিইয়াতে ৬৬ বছরের মধ্যবয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জাভিয়ের মার্টিন ভিড জানান, এর আগে ১৯৯৪ সালের ৪ জুলাই দেশটির মুরসিয়া শহরে সর্বোচ্চ ৪৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। এবারের জুলাই মাসে তাপমাত্রা সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে স্পেনের জনজীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।

Spain

বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের শিকার হয়ে পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রার নেতিবাচক প্রভাবের শিকার। এ কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিম কোণে অবস্থিত এ আইবেরিয়া উপদ্বীপ রাষ্ট্র স্পেনে মূলত জুলাই ও আগস্ট মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। মে মাস থেকে এ অঞ্চলে গরম পড়া শুরু করলেও এবার জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্তও গরম আসেনি। এ সময় ফ্যানের পরিবর্তে রাতে ঘুমাতে গিয়ে পাতলা কাপড়ের কম্বল ব্যবহার করছেন মানুষ। পরে জুলাই মাসে হঠাৎ করেই এ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় গরমকে সহ্য করে নিতে হচ্ছে অধিবাসীদের। এ বছরের তীব্র গরমের প্রভাব স্পেনের করডোবা, সেভিইয়া, গ্রানাদা, তলেদো, মুরসিয়াতে সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর রাজধানী মাদ্রিদে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল শহর বার্সেলোনাসহ কাতালোনিয়া অঙ্গরাজ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছড়িয়ে যাবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহওয়া অধিদফতর।

প্রচণ্ড গরমের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটন শিল্পেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গ্রীষ্মে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায় জড়িত বাংলাদেশিরা তুলনামূলকভাবে কম বিক্রি করছেন। পর্যটক কম আসায় একই সময় আগের বছরের তুলনায় কম ব্যবসা হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

   

ওরাং ওটাংয়ের নিজস্ব চিকিৎসার প্রমাণ মিলেছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণীরা যে নিজেদের চিকিৎসা নিজেরা করতে পারে এবং তাদের নিজস্ব চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে, সেটি এবার প্রমাণ করেছে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা অঞ্চলের রাকুস নামে একটি ওরাং ওটাং।

সায়েন্টেফিক রিপোর্ট নামে বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, রাকুস ওরাং ওটাংটি পুরুষ। অন্য পুরুষ ওরাং ওটাংদের সঙ্গে মারামারি করতে গিয়ে তার গালের ওপরে একটি ক্ষত হয়েছিল। পরে সে নিজেই তার চিকিৎসা করেছে।

গবেষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাকুস নিজে লিয়ানা পাতা সংগ্রহ করে। এই পাতাটি প্রাণীরা খেয়ে থাকে সাধারণত। তবে রাকুস সেটি না খেয়ে চিবাতে শুরু করে। এবং পাতাগুলো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে। পেস্টটি নিজের আঙুল দিয়ে গালের ক্ষতস্থানে মেখে দেয়। ক্ষতটিতে যেন পাতার রস পৌঁছায় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল তার।

ক্ষতস্থানে লিয়ানা পাতার রস দেয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সেই ক্ষতটি বন্ধ হয়ে যায় এবং একমাস পর আর কোনো ক্ষতই প্রায় দেখা যাচ্ছিল না।

বণ্যপ্রাণীর নিজের চিকিৎসা করার প্রথম নথিভুক্ত প্রমাণ রাকুসের এই ঘটনা। এই পাতা এবং পরবর্তীতে তার গুণাবলি যাচাই করে গবেষকরাও নিশ্চিত হন যে লিয়ানা পাতার ওষুধি গুণাবলী রয়েছে।

এই পাতা আকার কুনিং নামেও পরিচিত। এই পাতার ওষুধি গুণের মধ্যে রয়েছে, ব্যথা উপশম, জ্বর কমানো। এছড়াও ডায়াবেটিস এবং ম্যালেরিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

সায়েন্টিফিক রিসার্চ জানিয়েছে, এর আগে বন্যপ্রাণীদের মধ্যে শিম্পাঞ্জির নিজের চিকিৎসা করার তথ্য রয়েছে। তবে সেটি এভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ইন্দোনেশিয়ার মেদানের সুয়াক প্রকল্পের গবেষক উলিল আজহারি ২০২২ সাল থেকে ওরাং ওটাংয়ের আচরণ রেকর্ড করছিলেন। তিনি বলেন, বণ্যপ্রাণী ক্ষত চিকিৎসায় নিজেদের উদ্ভাবনী আচরণ এবারই প্রথমবারের মতো রেকর্ড করা হলো। পদ্ধতিগতভাবে জৈবিক প্রক্রিয়ায় কোনো বণ্যপ্রাণীর এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি মনুষ্য প্রজাতির গবেষণাতেও ভূমিকা রাখবে।

বিজ্ঞানীরা ১৯৯৪ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ার গুনুং লিউসার ন্যাশনাল পার্কে ওরাং ওটাং পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে তারা আগে এই আচরণটি দেখেননি।

ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের সহ-লেখক ক্যারোলিন শুপ্লি বলেছেন, রাকুস পারেক্ আসার আগেই বণ্য ওরাং ওটাংদের থেকেই হয়তো এই প্রক্রিয়া শিখে এসেছে। বিজ্ঞানীদের সামনে সে এই কৌশল শিখেনি।

রাকুস এই ন্যাশনাল পার্ক এলাকার বাইরে জন্মগ্রহণ করেছিল। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে ওরাং ওটাং অন্য প্রাণীরদের সঙ্গেও লড়াই করে। তবে রাকুস এর আগে অন্যান্য আঘাতের চিকিৎসা করেছিল কিনা তা জানা যায়নি।

;

বাজার থেকে করোনা টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা মহামারী চলাকালীন একমাত্র ভরসা ভ্যাক্সিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এবার ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকাও বিষয়টি স্বীকার করেছে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি বাজার থেকে সব করোনা টিকা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বুধবার (৮ মে) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকা 'কোভিশিল্ড' এবং 'ভ্যাক্সজেভরিয়া'র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে । এ কারণে বিশ্বব্যাপী কোভিড টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অর্থাৎ বাজারে আর পাওয়া যাবে না অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা। ইতিমধ্যেই 'ভ্যাক্সজেভরিয়া' টিকা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন আর তৈরি করা হচ্ছে না। এর সাপ্লাই বা বণ্টনও হচ্ছে না। বাণিজ্যিক কারণেই সংস্থা সমস্ত দেশ থেকে করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ আদালতে জমা দেয়া এক নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, তাদের তৈরি করোনার টিকার কারণে টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

আদালতে নথি জমা দেবার পর গত ৩০ এপ্রিল এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্র বলেছেন, যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যাদের শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাদের জন্য আমাদের সমবেদনা। রোগীদের সুরক্ষা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন ওষুধ যাতে নিরাপদে সবাই ব্যবহার করতে পারেন, সেটা সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

যদিও ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে বাজার থেকে ভ্যাকসিন তুলে নেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তাদের কথায়, এটি সম্পূর্ণভাবেই ‘কাকতালীয় ঘটনা’।

 

;

কেরালায় স্ত্রী, মেয়ে, ছেলের গলা কেটে নিজের আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যক্তির



Ashish Biswas
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কেরালা রাজ্যে এক ব্যক্তি তার নিজের স্ত্রী এবং মেয়েকে প্রথমে বিষ খাইয়ে অচেতন করেন। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাদের গলা কেটে ছেলের গলা কাটার চেষ্টা করেন। ছেলের মৃত্যু হয়েছে ভেবে এরপর নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরে বাবা ও ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বজনেরা।

আর্থিক সংকটে পড়ে ওই ব্যক্তি পরিবারের সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (৬ মে) দিনগত গভীর রাতে কেরালার দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা কোল্লামের পরাভুরে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে বলে টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি মঙ্গলবার এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, আর্থিক সংকটে পড়ে ৪৬ বছর বয়স্ক শ্রীজু সোমবার দিনগত রাতে প্রথমে স্ত্রী পৃথা (৩৯) ও মেয়ে শ্রীনন্দাকে (১২) বিষ খাইয়ে অচেতন করেন। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাদের গলা কাটেন। এরপর একইভাবে ছেলে শ্রীরাগের (১৭) গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। ছেলের মৃত্যু হয়েছে ভেবে তিনি নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে পাশের আত্মীয়-স্বজনেরা ডেকে তাদের সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে চারজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা নিশ্চিত হন যে, শ্রীজুর স্ত্রী এবং মেয়ে আর বেঁচে নেই। তবে ছেলে ও বাবা বেঁচে রয়েছেন। তাদের অবস্থা খুবই গুরুতর। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাবা ও ছেলের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্ররাভুর পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঘরে বিষ পাওয়া গেছে। সে কারণে তারা ধারণা করছেন, নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে বিষ খাইয়ে গলা কাটেন শ্রীজু। এরপর একইভাবে ছেলেরও গলা কেটে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বলা যাবে, ঘটনার সত্যতা।

 

;

পাকিস্তানের আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয় আফগানিস্তানে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার (৭ মে) বলেছে, দেশটিতে গত মার্চে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেও ছিলেন একজন আফগান নাগরিক।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওই হামলায় পাঁচ জন চীনা প্রকৌশলী নিহত হন।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি বাঁধ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের একটি গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ছয় জন নিহত হয়।

পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পুরো হামলার পরিকল্পনা আফগানিস্তানে বসে করা হয়েছিল। হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটিও আফগানিস্তানেই প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং আত্মঘাতী হামলাকারীও একজন আফগান নাগরিক ছিলেন।’

পাকিস্তানের এমন দাবির বিপরীতে এখনো মুখ খোলেনি আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত প্রশাসন।

কাবুল এর আগে বলেছিল যে, পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ইসলামাবাদের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা। পাকিস্তানে হামলা চালানোর তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।

আহমেদ শরীফ বলেন, চীনা প্রকৌশলীদের টার্গেট করার পরিকল্পনার মূল সন্দেহভাজন চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে ২৯ হাজার চীনা নাগরিক, যার মধ্যে ২,৫০০ জন সিপিইসি প্রকল্পে এবং ৫,৫০০ জন অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে, তাদের নিরাপত্তা দান করাচির জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

এদিকে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। ইসলামাবাদ বলছে, পাকিস্তানকে টার্গেট করা জঙ্গি গ্রুপগুলোকে মোকাবেলায় যথেষ্ট কাজ করছে না আফগানিস্তান।

ইসলামাবাদ বলেছে, জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সহায়তা করছে তালেবান। এই সংগঠনটি তালেবানের সঙ্গে যুক্ত নয়, কিন্তু আফগানিস্তানভিত্তিক আন্দোলনের প্রতি অনুগত।

গত বছর পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার আফগান নাগরিককে বহিষ্কার করেছিল।

তখন পাকিস্তান বলেছিল, তার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আত্মঘাতী হামলা আফগানদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।

আহমেদ শরীফ আরও বলেন,‘টিটিপি জঙ্গিরা পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। টিটিপি জঙ্গিরা হামলা চালানোর জন্য আফগানিস্তান থেকে উন্নত অস্ত্রও সংগ্রহ করছে।’

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী টিটিপি এবং তাদের সুবিধাদাতাদের মোকাবিলা করতে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে যাবে।

;