ইতিহাসের ভয়ংকর ৫ বন্দিশালা, এখন জাদুঘর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
টাওয়ার অফ লন্ডন, ছবি: সংগৃহীত

টাওয়ার অফ লন্ডন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালের বিবর্তনে পৃথিবীর ভয়ংকর সব বন্দিশালা পরিবর্তিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে জনপ্রিয় সব দর্শনীয় স্থান হিসেবে। দাপুটে শাসক থেকে শুরু করে এসব বন্দিশালায় কারাভোগ করেছেন অসংখ্য মানুষ। ইতিহাসের রহস্যজনক এমন পাঁচটি বন্দিশালার খণ্ডচিত্র তুলে ধরা হলো:

টাওয়ার অফ লন্ডন

টাওয়ার অফ লন্ডনের অবস্থান টেমস নদীর তীরে। এটি একাদশ শতাব্দীতে রাজকীয় ভবন হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্মিত হয়। ১১০০ সাল থেলে এটিকে বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করা হয়। বিশেষ করে যারা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ ছিলেন তাদেরকে এখানে বন্দী করে রাখা হতো। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো রাজকুমারী এলিজাবেথ (প্রথম এলিজাবেথের পরবর্তী রাজকুমারী), সৈনিক গাই ফকেস, স্যার ওয়াল্টার রালেহকেও এখানে কারাবন্দী করে রাখা হয়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এই বন্দিশালাকে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে এখানে রাজকীয় গহনা, পয়সাসহ বিভিন্ন চিত্রকর্মের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/16/1565962228092.jpg
রোবেন আইল্যান্ড বন্দিশালা

 

রোবেন আইল্যান্ড, আফ্রিকা

রোবেন আইল্যান্ড ১৭ শতাব্দী পর্যন্ত ডাচদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে ব্রিটিশ অপরাধী এবং রাজনৈতিক নেতাদের বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মূলত বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদ বৈষম্যের সময়কালে এটি বন্দিশালা হিসেবে প্রকাশ পায়। এটার জনপ্রিয়তার অন্য আর একটি কারণ হলো বিশ্বনেতা নেলসন মেন্ডেলা এই কারাগারে ছিলেন। এখানে ১৯৬৪-১৯৮২ সাল পর্যন্ত নেলসন মেন্ডেলা এখানে কারাবাসে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে কারাগারটিকে জাতীয় জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবেও স্বীকৃতি পায় এ কারাগারটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/16/1565962273934.jpg
আলকাট্রাজ ফেডারেল পেনিটেনশিয়ারি বন্দিশালা

 

আলকাট্রাজ ফেডারেল পেনিটেনশিয়ারি, সানফ্রানসিসকো

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানফ্রানসিসকোতে অবস্থিত আলকাট্রাজ ফেডারেল পেনিটেনশিয়ারি বন্দিশালা। এটি মূলত একটি নৌ-প্রতিরক্ষা দুর্গ ছিল। ১৮৬১ সালে এটি সামরিক অপরাধীদের বন্দিশালায় রূপান্তরিত হয়। এ বন্দিশালাটি অ্যালফোনেজ গ্যাব্রেল, জর্জ কেলি, রবার্ট স্টাউডের কারাগার হিসেবে সুপরিচিত। 'ব্যাটেল অফ আলকাট্রাজ' যুদ্ধের সময় এই বন্দিশালার কয়েদিরা কারারক্ষীদের সঙ্গে লড়াই করে পালিয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী এ যুদ্ধের কারাবন্দীদের পালিয়ে যাওয়ার অংশটুকু নিয়ে পরবর্তীতে একটি সিনেমাও নির্মিত হয়। 'এস্কেপ অফ আলকাট্রাজ' নামে এই সিনেমাটি ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/16/1565962328743.jpg
ফ্রান্সে অবস্থিত ডেভিলস আইল্যান্ড বন্দিশালা 

 

ডেভিলস আইল্যান্ড, ফ্রান্স

১৮৫২ সালে সম্রাট নেপোলিয়ান-৩ এই কারাগারটি নির্মাণ করেন। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত এটি কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল। এই কারাগারের চারপাশ ছিল দ্বীপ বিশিষ্ট যেটি ছিলো মূলত হাঙ্গরের আবাসস্থল। কারাগারের সবচেয়ে খ্যাতিমান কারাবন্দী ছিলেন ফ্রেন্স সেনা কর্মকর্তা আলফ্রেড ড্রেইফুস। যিনি ১৮৯৫-১৮৯৯ সাল পর্যন্ত অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য কারাবরণ করেছিলেন। ১৯৮০ সালে কারাগারটির সংস্কার করা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/16/1565962376551.jpg
কম্ববোডিয়ার টুল স্লেং জেনোসাইড বন্দিশালা 

 

টুল স্লেং জেনোসাইড, কম্ববোডিয়া

তৎকালীন কম্বোডিয়ার নেতা পল পট, টুল সেভি প্রি হাইস্কুলটিকে কারাগারে রূপান্তরিত করেন। ১৯৭৫ সাল থেকে এটি কারাগার হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি। কম্বোডিয়ার সবচেয়ে বড় কারাগার ছিল। কারাগারে বন্দী ১৭ হাজার কয়েদির মধ্যে মাত্র সাত জন বেঁচে ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সাল থেকে টুল স্লেং জেনোসাইড যাদুঘর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

   

হার্ভার্ড লাইব্রেরির বই বাঁধাই থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে গত ৯০ বছর যাবত সংরক্ষিত ছিল মানুষের চামড়ায় বাঁধানো একটি বই। বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, এ বইটি থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ করা হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম এএফপি’র মাধ্যমে জানা যায়, ঊনবিংশ শতকের বই ডেস ডেস্টিনেস দে ল’আমে বা আত্মার নিয়তি। পরবর্তীতে বইটি নিয়ে গবেষণা হয়। ২০১৪ সালে জানা যায়, এক মৃত নারীর চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা হয় এই বই।

হার্ভার্ড জানিয়েছে, বইটির বাঁধাই অপসারন করা হয়েছে এবং উল্লেখ করেছে, ‘বইটির তদারককারীদের অতীতের ব্যর্থতা যা মানুষের মর্যাদাকে আরও আপত্তিকর এবং যার দেহাবশেষ বাঁধাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল তাকে হেয় করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ফরাসি লেখক আর্সিন হোসায়ের লেখা বইটির প্রথম মালিক ছিলেন ড. লুডোভিচ বোল্যান্ড। তিনি এক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ওই হাসপাতালের এক মানসিক রোগী হৃদরোগে মারা গেলে তার চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেন ড. বোল্যান্ড। বোল্যান্ড একটি নোটে হাউসেয়েকে বলেছিলেন: ‘মানুষের আত্মা সম্পর্কে একটি বই মানুষের ত্বকের আবরণ পাওয়ার যোগ্য।’

বুধবার হার্ভার্ড বিবৃতিতে বলেছে, বইটির সাথে সম্পর্কিত বোল্যান্ডের স্টুয়ার্ডশিপ অনুশীলনগুলো ‘নৈতিক মানগুলোর স্তর পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এতে বলা হয়, বইটি মানুষের ত্বকে আবদ্ধ ছিল তা নিশ্চিত করার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের পরে লাইব্রেরি ব্লক পোস্টে বইটি সম্পর্কে ‘একটি চাঞ্চল্যকর, বিষাদগ্রস্ত এবং হাস্যকর টোন ব্যবহার করেছে যা অনুরূপ আন্তর্জাতিক মিডিয়া কভারেজকে উৎসাহিত করে।’

২০২২ সালে হার্ভার্ডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির সংরক্ষণে রয়েছে আরও ২০ হাজারেও বেশি মানব দেহাবশেষ, যার মধ্যে আছে কঙ্কাল, দাঁত, চুল, এবং হাড়ের অংশ।

;

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংকট-কবলিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) জাপান পুনরায় অর্থায়ন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থাটি গাজাকে প্রায় সমস্ত সাহায্যের সমন্বয় করে। সরকার এ কথা জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ’র ১৩ হাজার গাজা কর্মচারীর মধ্যে ১২ জন ৭ অক্টোবর হামাসের মারাত্মক হামলায় জড়িত ছিল বলে ইসরায়েলের অভিযোগের পর সংস্থার ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থায়নকারী জাপান এক ডজনেরও বেশি দেশের সাথে তাদের তহবিল স্থগিত করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া প্রশাসন ও স্বচ্ছতা জোরদার করার জন্য সংস্থার গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) টোকিওতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনির সাথে দেখা করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাপান এবং ইউএনআরডব্লিউএ নিশ্চিত করেছে, তারা জাপানের অবদান পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টার বিষয়ে চূড়ান্ত সমন্বয় এগিয়ে নেবে।

জাপানি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে স্থগিত হওয়া তহবিল পুনরায় চালু করা হবে। এপ্রিলের প্রথমার্ধে সহায়তা সংস্থায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তহবিল আকস্মিকভাবে স্থগিত হওয়ায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর গাজায় মরিয়া প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যেখানে জাতিসংঘ আসন্ন দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।

এই মাসে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন এবং অন্যান্যরা বলেছে, তারা সাহায্য সরবরাহ আবার শুরু করছে।

লাজারিনি মঙ্গলবার বলেছেন, সংস্থাটির অন্তত মে মাসের শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট তহবিল রয়েছে।

;

ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' এ তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে "লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহর রকেট ডিপোর কাছাকাছি একটি এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হামলায় ৩৬ সিরীয় সৈন্য" নিহত হয়েছে"।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে চালানো সিরিয়ায় বিমান হামলায় হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।

;

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ব্ল্যাক সি’য়ের ওপর থেকে রাশিয়ান বিমানের নিক্ষেপ করা ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের যুদ্ধক্ষমতা হারিয়েছে।

ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, পরবর্তীতে রাশিয়া সকালে আরও একবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

;