অ্যামাজনের আগুন নেভাতে মাঠে ব্রাজিলের সামরিক বাহিনী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যামাজনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ব্রাজিলের সামরিক বাহিনী/ ছবি: সংগৃহীত

অ্যামাজনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ব্রাজিলের সামরিক বাহিনী/ ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত অ্যামাজন জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভাতে সামরিক আকাশযানসহ মাঠে নেমেছে ব্রাজিলের সামরিক বাহিনী। অ্যামজনে আগুন লাগার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকারবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংকটও দেখা দিয়েছে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারো অবশ্য বৈশ্বিক উদ্বেগ কমাতে বলেছিলেন যে, অ্যামাজনের যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে আরও আগেই বন ধ্বংস করা হয়েছে। গভীর জঙ্গল এখনো অক্ষত রয়েছে। এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহের শেষে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য জি-৭ এর সভায় আলোচনারও কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফার্নান্দো আজেবাদো জানান, দেশটির প্রায় ৪৪ হাজার সেনা এই অনাকাঙ্ক্ষিত আগুন নেভাতে অ্যামাজন এলাকার ছয়টি রাজ্যে যাচ্ছেন। রাজ্যগুলো হলো- রুরাইমা, রন্দনিয়া, টোকানটিনস, প্যারা, অ্যাকর ও মাতো গ্রসো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/25/1566749928367.gif

বিজ্ঞাপন

রন্দনিয়ার রাজধানী পোর্তো ভেলোতে প্রথম অভিযানে অংশ নেবেন সাতশরও বেশি সেনা। অভিযানে তারা দুটি সি-১৩০ উড়োজাহাজ ব্যবহার করবেন পাটি ছিটানোর জন্য, যার প্রতিটি ১২ হাজার লিটার পানি ধারন করতে পারে।

অ্যামাজন সংকটের প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর ভূমিকা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হওয়ার পরই মাঠে নামছে দেশটির সামরিক বাহিনী। শুক্রবার বলসোনারো তাঁর সামরিক বাহিনীকে আগুন নেভানোর কাজে নামার অনুমতি দেয়। এ সময় তিনি দাবি করেন যে, অ্যামাজনকে রক্ষা করতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যে শনিবার প্রেসিডেন্ট বলসোনারো গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগুন স্বাভাবিক হওয়ার পথে।’ এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানসেজ সহ ল্যাটিন আমেরিকার একাধিক দেশের নেতাদের সাথে কথা বলছেন বলেও জানান তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/25/1566749945974.gif

বরাবরই বলসোনারো অ্যামাজন জঙ্গল রক্ষা করাকে ব্রাজিলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাধা হিসেবে উল্লেখ করছিলেন এবং যারা মনে করেন অ্যামাজন বন বিশাল আকারের গ্রীনহাউজ গ্যাস হজম করে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে, তাদের কড়া জবাবও দিয়ে আসছিলেন।

অ্যামাজনের অগ্নিকাণ্ড বর্তমানে একটি বৈশ্বিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ব্রাজিল ও ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপিয়ানরা বলছেন, বলসোনারো জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ব্রাজিল দূতাবাসের সামনে শুক্রবার বিক্ষোভ করে উত্তেজিত জনতা। এমনকি ব্রাজিলেও আন্দোলনে নামেন প্রতিবাদকারীরা।