সেনাদের বাধায় মিয়ানমারে জাতিসংঘ নাগরিক অধিকার চুক্তি বাতিল



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও তাদের জোটের বিরোধীতার কারণে দেশটির সংসদ আন্তর্জাতিক নাগরিক অধিকার চুক্তিতে (আইসিসিপিআর) যোগদানের প্রস্তাব বাতিল করেছে।

মিয়ানমারের সংসদের নিম্নসভা এ বিল বাতিল করেছে, কারণ এ কক্ষে সেনাবাহিনীর বেশ কিছু এমপি কোটার ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে বহাল রয়েছেন। বিশেষত তাদের বিরোধিতায় এ বিলটি বাতিল হয়ে যায়।

মিয়ানমারের জান্তা আমলের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের এক চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ কারণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হচ্ছে এনএলডিকে।

এনএলডির সদস্য এমপি ডাউ তান্দার ২০১৯ সালে ২১ মে অনুমোদনের জন্য এ চুক্তিটি নিম্ন সভায় জমা দিয়েছিলেন।

নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) এ প্রস্তাবটিতে ভোট দেওয়ার সময় সামরিক সংসদ সদস্য এবং তাদের মিত্ররা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বলেছে, এ চুক্তিটি দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করতে এবং এর সুরক্ষা বিপন্ন করতে পারে।

তারা এও বলেছে যে অনুমোদনের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি, কারণ কোনও এনএলডি সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পরিবর্তে নিম্ন কক্ষে এ চুক্তিটি জমা দিয়েছিলেন।

সামরিক এমপিরা বলছেন, ২০০৮ এর সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদনের প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে সংসদের মারফতে।
সে জন্য এটি আগে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে নিতে হবে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে তা সংসদে উঠবে।

এ সম্পর্কে সামরিক এমপি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মায়ো হেত উইন বলেন, সংসদ যদি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়াই এ চুক্তিটি অনুমোদন করে, তবে এটি সরকারের দু’টি সমমানের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে।

আরেক সামরিক এমপি লেফটেন্যান্ট কর্নেল অং জিন মিন বলেন, এ চুক্তির বিধানগুলো আরও বিশ্লেষণ করা দরকার। কারণ এগুলো অত্যন্ত জটিল এবং এটি অনুমোদিত হলে মিয়ানমারকে অনেক বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে।

এনএলডির সদস্য এমপি ডাউ তান্দার বলেন, আইসিসিপিআরে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে মানবাধিকার সুরক্ষিত ও প্রচার করে এমন একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করব। আইসিসিপিআর স্বাক্ষর করা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন নিশ্চিত করে এবং দেশকে আন্তর্জাতিক আস্থা ও স্বীকৃতি দেবে।

এনএলডির আরেক বিধায়ক ইউ লুইন কো লাত বলেন, আমি আইসিসিপিআরে স্বাক্ষরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। কারণ এটি রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করবে। একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্যক্তি অধিকার রক্ষা করার মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পারি যে আমরা আমাদের জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি।

বিরোধী ইউনিয়ন সংহতি ও উন্নয়ন দলের সদস্য ইউ মাং মাইন্ত এনএলডি আইন প্রণেতাদের এ চুক্তি স্বাক্ষরের তাৎপর্য পুরোপুরি বোঝাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে এ কক্ষের বেশির ভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) প্রস্তাব জমা দেওয়ার আগে আইসিসিপিআর সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৭২টি দেশ আইসিসিপিআর স্বাক্ষর করলেও সিঙ্গাপুর করেনি।

তিনি জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে এ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউ থেইন সেনের সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, কিন্তু তিনি বিনয়ের সঙ্গে এটি অস্বীকার করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আইসিসিপিআরে স্বাক্ষর করার সঠিক সময় এটি নয়। কারণ এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির (ইউএনএইচআরসি) একটি অঙ্গ। অনেক দিন ধরেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্ত কর্মকর্তা
ইয়াংহি লি মিয়ানমারে আসতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। মিয়ানমারে তাকে প্রবেশ করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

আইসিসিপিআর চুক্তি স্বাক্ষর করা হলে ইয়াংহি লির মতো মানবাধিকার প্রতিনিধিদের ভিসা অস্বীকার করা অসম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী ইউ কিউ থিন সংসদকে চুক্তিটি স্বাক্ষর করার জন্য প্রস্তাবটি রেকর্ডে রাখার আহ্বান করে বলেন, ২০১৯ সালে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আইসিসিপিআরের সঙ্গে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে আরও সময় প্রয়োজন।
মন্ত্রণালয় চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর করতে বিলম্বের জন্য কমিশনের কোনো প্রভাব নেই, তবে মিয়ানমার অবশেষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ভালোই হবে।
আমরা সংসদীয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে পারি না, তবে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে, সব নাগরিকের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে সমর্থন এবং সুরক্ষার জন্য এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করা ভালো।

মিয়ানমার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এমএনএইচআরসি) চেয়ারম্যান ইউ উইন মরা এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ চুক্তি স্বাক্ষর করতে দেশটির আরও কয়েক বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিয়ানমার মাত্র চারটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে শিশু অধিকারের কনভেনশন (সিআরসি) এবং নারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশন রয়েছে। এছাড়া দেশটি প্রতিবন্ধীদের অধিকার সম্পর্কিত কনভেনশন এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতি অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশনকেও অনুমোদন দিয়েছে এবং সশস্ত্র সংঘর্ষে শিশুদের যোগদানের বিষয়ে সিআরসি প্রোটোকলে স্বাক্ষর করেছে।

ইউএনএইচআরসির সার্বজনীন পর্যায়ের পর্যালোচনা পদ্ধতির সমর্থক হওয়ার কারণে মিয়ানমার ২০২০ সালে তৃতীয় জাতীয় প্রতিবেদন জমা দেবে।

   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকান্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

;

ক্যাম্পসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য : অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নিরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্দ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

;