যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুশিয়ারি: ‘বাণিজ্য যুদ্ধে ভীত নয়’ বেইজিং



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
চীন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, তারা বাণিজ্য যুদ্ধে একেবারে ভীত নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেইজিংয়ের আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার পর চীন এমন কথা বললো। খবরে বলা হয়, ৩শ’ কোটি ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর সম্ভাব্য পাল্টা শুল্ক আরোপের একটি তালিকা প্রকাশের পর চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ বেইজিং কোনো বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না। তবে তারা বাণিজ্য যুদ্ধে একেবারে ভীত নয়।’ ওয়াশিংটনস্থ চীনা দূতাবাস পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করে তাহলে চীন নিজের ন্যায়ঙ্গত স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।” চীনা দূতাবাসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “আমরা আমেরিকাকে এ কাজ এখনই বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি; কারণ এর ফলে চীন-মার্কিন বাণিজ্যিক সম্পর্ককে বিপদগ্রস্ত করে চূড়ান্তভাবে ওয়াশিংটনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” চীনা দূতাবাস আরো জানায়, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বর্তমানে যে বিশাল বাণিজ্যিক ঘাটতি রয়েছে তা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে চীন আমেরিকাকে যুক্তিপূর্ণ পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি নিজেও চেষ্টা চালাচ্ছে। ট্রাম্প পরিকল্পনাটিতে স্বাক্ষর করার আগে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার চীন থেকে আমদানিকৃত প্রায় ১০০টি পণ্যের উপর ৬০ বিলিয়ন (৬,০০০ কোটি) ডলার শুল্ক আদায়ের পরিকল্পনায় সই করেন। সেইসঙ্গে আমেরিকার অর্থনৈতিক খাতে পুঁজি বিনিয়োগকারী চীনা পুঁজিপতিদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছেন তিনি। চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতিকে এই পদক্ষেপের কারণ বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ৩৭৫ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।
   

মিথ্যার মহামারি ছড়াচ্ছেন মোদি : কংগ্রেস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস অভিযোগ করে বলেছে, তাদের দলকে আক্রমণ করে রামমন্দির নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার তারই জবাব দিতে চায় দলটি।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কংগ্রেসের পক্ষে দলটির কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (‌কমিউনিকেশন)‌ জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করার কোনও পরিকল্পনা নেই কংগ্রেসের। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে কংগ্রেস।’

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় রামমন্দির ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদি। মধ্যপ্রদেশের ধার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির নির্বাচনী সভায় মোদি বলেন, ‘কংগ্রেসের লক্ষ্য বাবরি মসজিদের খোলা তালা এনে রামমন্দিরে ঝুলিয়ে দেওয়া।’

মোদি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন।’

জয়রাম রমেশ বলেন, ‘আশির দশকে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে ফৈজাবাদ জেলা আদালতের নির্দেশ মেনে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের তালা খুলে রামলালার পুজোর ব্যবস্থা করেছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। পরবর্তী সময়ে রামমন্দির আন্দোলন ওই ঘটনারই রেশ বলে মনে করেন সবাই। এখন এই রামমন্দির লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেটাকে লালন-পালন করেছে বিজেপি।’

এখন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে রামমন্দির নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করেছেন মোদি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘বিজেপি-ই প্রথম আদালতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। আর পরে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা মেনে নেয়। ১৯৯২ সালে করসেবকদের হামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরেও আদালতের নির্দেশে চালু ছিল ক্যানভাসের ছাউনির অস্থায়ী কাঠামোতে রামলালার পুজা পাঠ।’

কংগ্রেস আরও জানিয়েছে, এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করার পরে অযোধ্যার সেই বিতর্কিত জমিতে নির্মিত হয় রামমন্দির। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি হয়েছে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা।

আর মধ্যপ্রদেশের ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস যাতে বাবরি মসজিদের তালা এনে রামমন্দিরে ঝোলাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতেই বিজেপিকে ৪০০ আসনে জেতাতে হবে।’‌

পাল্টা জবাবে জয়রাম রমেশ কটাক্ষ করে বলেন, ‘‌মিথ্যার মহামারি ছড়াচ্ছেন মোদি। তার সমগ্র রাজনৈতিক জীবন অসত্যে নিহিত।’‌

;

ইউক্রেনে 'ফ্রান্সের সেনাদের' লক্ষ্য করে হামলার হুমকি রাশিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যদি তাদের সৈন্য ইউক্রেনে পাঠান, তাহলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তাদেরকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।

বুধবার (৮ মে) মস্কোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিং-এ তিনি এ হুশিয়ারি দেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে তাদের স্থল সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতলে সেটা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গা শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে। 

তার এমন বক্তব্যের পর মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ হুশিয়ারির ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ম্যাক্রোঁ নিজেই রাশিয়ার জন্য একধরনের ‘কৌশলগত অনিশ্চয়তা’ তৈরি করার ইচ্ছা থেকেই এই ধরনের হঠকারী মন্তব্যের ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের তাকে হতাশ করতে হবে। কারণ আমাদের জন্য সেই পরিস্থিতি আরও বেশি নিশ্চিত।

রুশ কর্মকর্তা আরও বলেন, যদি ফরাসিরা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে উপস্থিত হয় তবে তারা অবশ্যম্ভাবীভাবে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

এর প্রমাণ প্যারিসের কাছে ইতোমধ্যেই রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

জাখারোভা বলেন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে নিহতদের মধ্যে ফরাসি নাগরিকদের সংখ্যা বাড়ছে।

এর আগে গত সোমবার ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পরে রাশিয়া তাদের সামরিক মহড়ার অংশ হিসাবে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের মহড়া চালাবে বলেও জানান।

;

‘রূপকথার গল্প তৈরি করে সম্পর্ক নষ্ট করছে জার্মানি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়ার হ্যাকারদের সম্পর্কে ভিত্তিহীন রূপকথা তৈরির অভিযোগ করে বুধবার (৮ মে) মস্কো বলেছে, ‘বার্লিনের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, তার প্রতিরক্ষা বাহিনী, মহাকাশ সংস্থা এবং ক্ষমতাসীন দলের উপর সাইবার আক্রমণ শুরু করার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করার পরে রাশিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শের জন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্লিন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘জার্মানি নিয়মিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হ্যাকারদের কার্যকলাপ সম্পর্কিত রূপকথার গল্পকে কাজে লাগায়। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি র্জামানি।’

এদিকে বার্লিন বলেছে, দুই বছর আগে শুরু হওয়া মস্কোর সাইবার আক্রমণগুলো জার্মানির শাসক সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি লজিস্টিক, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং আইটি সেক্টরের কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

বার্লিন বলেছে, নিরাপত্তার কারণে ক্ষয়-ক্ষতির বিশদ বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।

জাখারোভা বলেন, ‘পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি তথ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার কাল্পনিক এবং মিথ্যা গল্প। তাদের মিথ্যা দাবিগুলোর লক্ষ্য, রাশিয়া সম্পর্কে ভীতি ছড়ানো।’

জাখারোভা বলেন, ‘মস্কো থেকে জার্মান রাষ্ট্রদূতের প্রত্যাহার জার্মানিতে রাশিয়া বিরোধী মনোভাব উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে আরেকটি অন্যায্য পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে। এর পুরো দায় জার্মানির উপর বর্তায়।’

;

কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিয়েছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে বুধবার (৮ মে) কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করেছে ইসরায়েল।

এএফপি জানিয়েছে, হামাসের রকেট হামলায় চার সেনা নিহত হওয়ায় এটি বন্ধ করার চার দিন পর তা ফের খুলে দেওয়া হলো।

ফিলিস্তিনের বেসামরিক বিষয় দেখভাল করা সংস্থা সিওজিএটি’র যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাঠানো খাদ্য, খাবার পানি, আশ্রয়ের সরঞ্জাম, ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক সাহায্য বহনকারী ট্রাকগুলো মিশর থেকে ইতিমধ্যেই ক্রসিংয়ে পৌঁছেছে।’

বিবৃতিতে ইসরায়েল আরো জানিয়েছে, ‘পরিদর্শন শেষে এসব সাহায্য গাজায় ঢোকানো হবে।’

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ও উত্তর গাজার মধ্যে ইরেজ সীমান্ত ক্রসিং ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ত্রাণ সরবরাহে জন্যও উন্মুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার হামাসের রকেট হামলায় চার সেনা নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পর কেরেম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

ইসরাইলি সেনারা মঙ্গলবার গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ নগরীর পূর্বাঞ্চলে আগ্রাসন শুরু করার পর তারা সেটি দখল করে।

এর আগে দুটি ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছিল। জাতিসংঘ বলেছিল, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদেরকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দেবে।

;