ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পৌনে ১১টায়, আগামী বছর দুই পর্বে



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম
ইজতেমার ময়দানের দৃশ্য, ছবি: সৈয়দ মেহেদি, বার্তা২৪.কম

ইজতেমার ময়দানের দৃশ্য, ছবি: সৈয়দ মেহেদি, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টঙ্গী থেকে: তাবলিগ জামাতের আলমি শুরার নেতৃবৃন্দ ২০২০ সালের ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ২০২০ সালে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব ১০ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্ব ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ জানুয়ারি।

টঙ্গীর ইজতেমার ময়দানে রাতে আলমি শুরার নেতৃবৃন্দ বিশেষ মাশওয়ারায় (পরামর্শ) বসে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাশওয়ারায় বিশ্বের বিভিন্ন তাবলিগি মারকাজের মুরব্বিরা অংশ নেন। বৈঠকে ৫ দিনের জোড় ইজতেমার তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে। চিল্লার সাথীদের নিয়ে ৫ দিনের বিশেষ জোড় ইজতেমা শুরু হবে ২৯ নভেম্বর শেষ হবে ৩ ডিসেম্বর।

অন্যদিকে আলমি শুরার তত্ত্বাবধানে আয়োজিত চলতি বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় বারের মতো আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইলের মুরব্বি ও তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা যুবায়ের।

ইজতেমার আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ফজরের নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত অন্যান্য নফল আমল শেষে শুরু হবে বয়ান। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে মাওলানা খুরশিদ হেদায়াতি বয়ান করবেন। এর পর মাওলানা ইবরাহিম দেওলা বিশেষ নসিহত করবেন। এর পর আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

৫৪তম বিশ্ব ইজতেমায় বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ, আলেম-উলামা ও তাবলিগি সাথীরা অংশ নিয়েছেন। স্থানীয়দের মতে এবারের মতো মানুষ বিগত কোনো ইজতেমায় অংশ নেয়নি। মানুষের উপস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই ইজতেমার কাজ শুরু করতে হয়েছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিসহ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ শনিবার টঙ্গীতে আসবেন। এ জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

শুক্রবার মধ্যরাত থেকে টঙ্গী ব্রিজ, কামারপাড়া ব্রিজ, ভোগড়া বাইপাস, মীরের বাজার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ইজতেমা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার সময় এ ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550266677588.jpg
ইজতেমার মূল মঞ্চ, এখান থেকেই বয়ান ও মোনাজাত হয়

তাবলিগের সূচনা
গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে ভারতের প্রখ্যাত আলেমে হজরত মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহি আলাইহি চারিত্রিকভাবে বিপর্যস্ত, শিক্ষাহীন, ধর্মকর্মহীন মুসলমানদের ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা দিয়ে ঈমানি বলে জাগিয়ে তুলতে দিল্লির পার্শ্ববর্তী মেওয়াত অঞ্চলের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠিরমধ্যে প্রথম তবলিগের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ১৩৪৫ হিজরি সনে পবিত্র হজপালন করে দেশে ফিরে এসে মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) যে তবলিগি কাজ শুরু করেন। তাবলিগ জামাতের মূল মারকাজ (হেডকোয়ার্টার) দিল্লির নিজামুদ্দিনে হলেও এর বার্ষিক সম্মেলনের (বিশ্ব ইজতেমা) স্থান হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করা হয়। চল্লিশের দশকে প্রথম বিশ্ব ইজতেমা ঢাকার রমনার কাকরাইল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্রমবর্ধমান প্রসারের ফলে তুরাগ নদীর তীরের বর্তমান স্থানটিতে বিশ্ব ইজতিমা শুরু হয় ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে। পরে সরকারিভাবে তুরাগতীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।

বিশ্ব ইজতেমায় দেশের লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র হজের পর তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সমাবেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ইজতেমার স্থান ও আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সম্মান ও মর্যাদার বিষয়। এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে মুসলমানদের বাংলাদেশে আগমন ঘটে এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ের সাথে বিশ্বমুসলিমের পরিচয় ও ভাববিনিময়ের একটি সম্মিলন ও যোগসূত্র ঘটে।

মুসলমান জনগোষ্ঠির বৃহত্তম অংশকে ইসলামের বিশ্বাস ও আক্বিদায় সমৃদ্ধ ও বাস্তব অনুশীলনে অভ্যস্থ করা না গেলে মানব সমাজে ইসলাম সম্মত পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়, এই উপলব্ধি থেকে মাওলানা ইলিয়াস তাবলিগ জামাতের সূত্রপাত করেছিলেন। বস্তুত কোরআনে কারিমের নির্দেশনা, রাসূলের শিক্ষা এবং পীর-মাশায়েখদের দেখানো পথে ইসলামের শিক্ষাকে সমাজে ও রাষ্ট্রের সবর্ত্র ছড়িয়ে দেওয়াই তাবলিগের মূল লক্ষ্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550266745610.jpg
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের ভিড়

বয়ান হয় ২৪ ভাষায়
ইজতোমর শেষদিন আখেরি মোনাজাতের আগে দেওয়া বয়ানকে হেদায়েতি বয়ান বলা হয়। ওই বয়ানে তাবলিগের লক্ষ্য তুলে ধরার পাশাপাশি আল্লাহতায়ালাকে রাজি-খুশির জন্য কোরআন-সুন্নাহর আলোকে প্রত্যেক মুসলমানকে নীতি আদর্শ মেনে চলার কথা বলা হয়। বলা হয়, আলেম-উলামাদের থেকে দ্বীন শিখে সে অনুযায়ী চলার কথা। আমল অনুযায়ী জীবন গড়ার কথা।

বুধবার থেকে ইজতেমায় অংশ নিতে দেশের ৬৪টি জেলার তাবলিগ জামাতের সাথি, আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্ররা ময়দানে এসে নিজ নিজ জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। বিদেশি মেহমানরা অবস্থান করছেন টিন সেডে। এর পূর্ব পাশে স্থাপন করা হয়ে ইজতেমার মূল মঞ্চ। এই মঞ্চ থেকেই তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা আরবি, উর্দু ও বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় বয়ান করেছেন। তবে মূল বয়ান করছেন উর্দু ভাষায় সেটা বাংলাসহ ২৪টি ভাষায়া অনুবাদ করে শুনানো হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550266804528.jpg
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নিজ গাড়িতে করে আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে ইজতেমার মাঠে নিয়ে যাচ্ছেন

হেলিকপ্টারে করে আল্লামা আহমদ শফি ইজতেমায় শরিক হলেন
ইজতেমার দ্বিতীয় দিন হেফাজতে ইসলামের আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফি হেলিকপ্টারে করে এসে ইজতেমায় শরিক হয়েছেন। ইজতেমার মাঠে এসে তিনি জুমার নামাজে অংশ নেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালী থেকে বেসরকারি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় বিমান টঙ্গীর বাটা সু কারখানা এলাকার হেলিপ্যাডে নামেন। পরে সেখান থেকে আল্লামা শফিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নিজ গাড়িতে করে ইজতেমায় ময়দানে নির্দিষ্ট কামড়ায় পৌঁছে দেন। শনিবার আখেরি মোনজাত শেষে ফের হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে ফিরবেন তিনি।

শুক্রবারের বয়ান
শুক্রবার ইজতেমার মাঠের বয়ানে বলা হয়, ‘পৃথিবীতে ঈমানের মূল্য অনেক বেশি। ঈমানকে মজবুত করতে হলে দাওয়াতি কাজে সময় লাগাতে হবে বেশি। মানুষ যেন আল্লাহতায়ালার হুকুমমতো সারাজীবন চলতে পারে সে চেষ্টা করতে হবে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে ও সারা দুনিয়ায় মানুষের মাঝে দ্বীন কায়েম করার জন্য ছড়িয়ে পড়তে হবে। দ্বীনের জন্য মেহনত করতে হবে। নিজের আমল দিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সা.) যে কাজে খুশি হন তা আমাদের বেশি বেশি করতে হবে। আমাদের সবার আখেরাতের চিরস্থায়ী জিন্দেগির জন্য আবাদ করতে হবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/16/1550266864979.jpg
গভীর রাতেও মুসল্লিরা আসছেন আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে 

নিরাপত্ত ব্যবস্থা ও যাতায়াত
মাঠের ১৭টি প্রবেশপথে আর্চওয়ে ও ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। আর ইজতেমায় আগতদের যাতায়াতের জন্য ১৩৮টি বিশেষ ট্রেন, ৪০০টি বিআরটিসি বাস, পর্যাপ্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ইজতেমার ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ৯ হাজার পুলিশ, দুই শতাধিক র‌্যাব, ৩ শতাধিক আনসার, ৩ শতাধিক ফায়ার সার্ভিসকর্মী নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ইজতেমা মাঠে মোতায়েন রয়েছেন। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পুরো ইজতেমার মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিদেশি মুসল্লি
পুলিশের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমায় আমেরিকা, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, লেবানন, ফিলিস্তিন, চাদ, জিবুতি, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রায় তিন হাজারের বেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।

   

পটিয়া মাদ্রাসার ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পটিয়া মাদ্রাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন, ছবি : সংগৃহীত

পটিয়া মাদ্রাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ১৪ ফেব্রুয়ারির মজলিসে শুরাকে অবৈধ আখ্যায়িত করে এই শুরার মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মহাপরিচালক করে শতবর্ষী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পটিয়া মাদ্রাসার ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী, শুভানুধ্যায়ী ও নিপীড়িত শিক্ষক-ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠিত পটিয়া মাদ্রাসা ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে ঐতিহ্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পটিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বিতর্কিত মজলিসে শুরায় উপস্থিত মুরব্বিরা মহাপরিচালক মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযাহর প্রতি সুবিচার করেননি। তারা মাওলানা ওবাইদুল্লাহর কোনো বক্তব্য শ্রবণ কিংবা আত্মপক্ষ সমর্পণের সুযোগ দেননি। এর ফলে তাদের প্রতি অভিভাবকসুলভ যে আস্থা ও বিশ্বাস জাতির ছিল, তা ক্ষুন্ন হয়েছে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, পটিয়া মাদ্রাসায় বর্তমানে যে ব্যক্তিকে মহাপরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে তিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এহসান এসের চেয়ারম্যান হিসেবে গরিব গ্রাহকদের শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুই ডজন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পটিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রদের ফুঁসলিয়ে যে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানো হয়েছে, মুরব্বিরা সেগুলোকে অনুমোদন দিয়েছেন এবং অপরাধীদের রক্ষা করেছেন।

সেগুনবাগান তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফটিকছড়ি জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল হুদার মুহতামিম ও জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মজলিসে শুরার সদস্য হজরত মাওলানা এমদাদুল্লাহ নানুপুরী, শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীম, জামিয়া দারুল মাআরিফ চট্টগ্রামের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল আমীন মাদানি, পটিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ ইবরাহীম, ছনহারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন, মাওলানা আবদুল আজীজ, মাওলানা আমিনুর রশীদ পটিয়াবী, মাওলানা কুতুবুদ্দীন, মাওলানা হোসাইন আহমদ ও মাওলানা উজাইরুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ২৮ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলার পর বিভিন্ন নিপীড়িত শিক্ষক-ছাত্রসহ মাওলানা জামালুদ্দীন, মাওলানা বোরহানুদ্দীন, মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী, হোযাইফা মালিক, জুবাইর ও সোহরাব হোসেন আইমন।

এক প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলাম বা পটিয়া মাদ্রাসার কারও সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা পছন্দ-অপছন্দ নেই। হেফাজতে ইসলামের কতিপয় নেতা পটিয়ার ঘটনায় যে অনাধিকার চর্চা ও অনৈতিক হস্তক্ষেপ করছেন তা তাদের ব্যক্তিগত, এতে হেফাজতের সাধারণ কর্মি-সমর্থকদের কোনো সমর্থন নেই। উপর্যুক্ত ব্যক্তিবর্গ হেফাজতকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করছেন বলে নেতৃবন্দ মন্তব্য করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই হস্তক্ষেপ করছেন তাদের নিজেদের মাদ্রাসায় কোনো শুরা নেই, পরিবারতন্ত্রই সেখানে নিয়ম, আয়-ব্যয়ের হিসাব নেই, কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। অনেকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার সুযোগ্য পরিবারকে অন্যায়ভাবে বিতাড়িত করে দখলদারিত্ব কায়েম করে আছেন। কিন্তু পটিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক হবেন যোগ্যতার ভিত্তিতে, নিয়ম ও সংবিধানের আলোকে। পরিবারতন্ত্র, দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসী হামলা করে দুর্নীতিবাজদের পদায়ন পটিয়া মাদ্রাসার ঐতিহ্যের পরিপন্থী।

সংবাদ সম্মেলন থেকে পটিয়া মাদ্রাসায় সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নতুন শুরা গঠনের নামে প্রহসনমূলক সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে সরকার, প্রশাসন ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রতি আমাদের দাবি হলো-

পটিয়া মাদ্রাসা ইত্তেহাদুল মাদারিসের সংবিধান অনুযায়ী নিয়মাতিন্ত্রক ও বৈধ মজলিসে শূরার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিচালনার ব্যবস্থা। ২৮ অক্টোবর (২০২৩) মাদ্রাসায় সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযাহর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের সত্যতা যাছাইয়ে নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ কমিটি গঠন। তদন্তে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি জানানো হয়, পক্ষপাতদুষ্ট মুরব্বিদের বিভিন্ন মাদ্রাসায় আধিপত্যবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং সন্ত্রাসে উস্কানি ও ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং মাদ্রাসার স্থাবর সম্পত্তিতে জবরদখল, দুর্নীতি ও মধ্যস্বত্ত্বভোগের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী দোকান, মার্কেট ও ভাড়া বাসাসমূহের ভাড়া নির্ধারণ করে সুচারু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাদ্রাসার প্রাপ্য হক যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করা।

;

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল
মডেল। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক স্বাধীনতা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার
কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা.
বশিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবর রহমান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

;

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২০২ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভিক্ষাবিরোধী বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী সালেম আল সামসির বরাতে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ পাওয়ার আশায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন আটককৃত এসব ভিক্ষুক। মূলত তারা পেশাদার ভিক্ষুক নন। তবে রমজানে ধনীরা দুস্থদের সহায়তা করে থাকেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করছিলেন তারা।

জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ২০২ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ, আর বাকি ৯০ জন নারী।

দুবাই পুলিশের তথ্যমতে, যারা নির্দেশনা অমান্য করে ভিক্ষা কর ধরা পড়বেন, তাদের ৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ মাসের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যারা অন্য দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে এনে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নামাবে, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।

দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আল সামসি অনুরোধ করেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যেন তাদের অবহিত করা হয়। এই কর্মকর্তার মতে, বেশিরভাগই ভিক্ষুকই বানানো গল্প বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

এমন প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। সম্প্রতি নারীর পোশাক পরিধান করে মহিলার ছদ্মবেশে মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুবাইয়ের পুলিশ। তবে লোকটির নাম ও দেশের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লোকটি পুলিশের কাছে বলেছে নারী ভিক্ষুকরা বেশি সহানুভূতি পায় বলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাই আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারীর ছদ্মবেশে সে এ কাজটি করেছিল।

দুবাই পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সন্দেহভাজন এবং অপরাধমূলক ঘটনা বিভাগ বলেছে, লোকটি বোরকা এবং নেকাব আবৃত একজন মহিলার ছদ্মবেশে দুবাইয়ের একটি মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মার্চ দেশটির ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুবাইয়ে ভিক্ষাবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই ভিক্ষাবৃত্তি একেবারেই নিষিদ্ধ। সেখানে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভিক্ষা না দিতেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আর রমজান মাসে ভিক্ষা করার দায়ে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাস জেলের বিধান রয়েছে আরব আমিরাতে। তারপরও একশ্রেণির লোক ভিজিট ভিসায় এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ভিজিট ভিসায় এসে এ ভিক্ষাবৃত্তি বেশি করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

;

‘৫৩ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার ফিরে পায়নি’



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে নষ্ট করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটাই তারা পাচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি কামনায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গণ-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ সামান্য স্বার্থে নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সৎ সাহস অধিকাংশই হারিয়ে ফেলেছে। আল্লামা মামুনুল হক-সহ গুটিকয়েক সাহসী আলেম যারা দেশ-জাতি ও ইসলামের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ইসলাম এদেশের গনমানুষের অন্তরে গ্রথিত। একে এত সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না।

এসময় তিনি ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যুব মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় গণ-ইফতারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া ফারুকী, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমীন, ওমর মাতুব্বর, নাঈমুদ্দীন, মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আজীজ, দীদার প্রমুখ।

;