মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
|
মেহেরপুরের ঐতিহ্য আনন্দবাস ১০ গম্বুজ মসজিদ, ছবি: বার্তা২৪.কম
ইসলাম
মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার ও সামাজিক সম্প্রতি সৃষ্টিতে মসজিদের ভূমিকা অপরিসীম। এটা মসজিদের একটি আবেদনও বটে।
আনন্দবাস গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ১০ গম্বুজ মসজিদটি এমনই একটি মসজিদ। যা এলাকার প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। এই মসজিদে জুমার নামাজে অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা আসেন।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলায় ইসলাম প্রচারক হিসেবে অনেক দরবেশ ও আওলিয়ার নাম শোনা যায়। তাদের একজন শেখ ফরিদ। মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে রয়েছে তার কর্মকাণ্ডের অনেক নিদর্শন। তার অনুপ্রেরণায় আনন্দবাস গ্রামে প্রায় দেড়শ বছর আগে নির্মাণ করা হয় একটি মসজিদ। যার বর্তমান নাম আনন্দবাস ১০ গম্বুজ মসজিদ।
এ প্রসঙ্গে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বলেন, ‘এ মসজিদকে ঘিরে আমাদের এলাকায় ইসলাম প্রচার হয়েছে। অন্য এলাকা থেকে বহু মানুষ জুমার নামাজ পড়তে আসেন। পরবর্তীতে এ মসজিদকে ঘিরে এলাকায় আরও বহু মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে মসজিদের গম্বুজগুলো সংরক্ষণের চেষ্টা করছি।’
বিজ্ঞাপন
মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইবনে সুয়ায়েজ মামুন বলেন, আবুল মাস্টার, মফেম উদ্দীন মণ্ডল ও আমার দাদা জিন্দার আলীসহ অনেক মুরুব্বি দেখাশোনা করতেন মসজিদটি। তাদের পরবর্তী প্রজন্মরাই এখন দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে তাদের পূর্বপুরুষরা মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন বলে আমরা শুনেছি।
বয়োবৃদ্ধ সুলতান বিশ্বাস ও মসজিদের মোয়াজ্জিন ময়েন উদ্দীন বলেন, মসজিদটি আমাদের গর্ব। এখানে নামাজ পড়ে যেন আলাদা শান্তি উপলদ্ধি করি।
শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে আসা আনন্দবাস গ্রামের যুবক জাহিদ হাসান। জাহিদ মেহেরপুর সরকারি কলেজে মাস্টার্সে লেখাপড়া করেন।
তিনি বলেন, ঐতিহবাহী এই মসজিদ আমাদের গ্রামের হওয়ায়- নিজেকে গর্বিত মনে করি।
১০ গম্বুজ মসজিদকে ঘিরে এলাকায় ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটেছে। এ মসজিদের আদলে এলাকায় আরও অনেক মসজিদ নির্মিত হয়েছে- কথাগুলো বলছিলেন মসজিদের ইমাম মাওলানা সালাহ উদ্দীন।
তিনি বলেন, বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের গম্বুজের চেয়ে এই মসজিদের একটি গম্বুজ অনেক বড়। এটাই এই মসজিদের বৈশিষ্ট্য।
ইসলামি লেখক ফোরামের ‘গ্রন্থ সম্মাননা প্রদান’ শুক্রবার
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ইসলামি লেখক ফোরামের ‘গ্রন্থ সম্মাননা প্রদান’ শুক্রবার, ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম
বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের গ্রন্থ সম্মাননা ২০২৪ প্রদান ও জুলাই বিপ্লবের স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতা শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে লেখকদের বই প্রকাশের গল্প বলার সুযোগও থাকবে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের উদ্যোগে বিকেল তিনটায় রাজধানীর বাংলা মোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এর মধ্যে অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট আলেম লেখক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং ফোরামের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
ফোরামের ফেসবুক পেজে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকেল ৩টায় কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতা শুরু হবে। যথাসময়ে এসে নাম নিবন্ধন করতে হবে।
জুলাই বিপ্লবের ওপর স্বরচিত ছড়া-কবিতা হতে হবে। কবিতা এ-ফোর সাইজের কাগজে লিখে অথবা কম্পোজ করে জমা দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে।
জানা যায়, তরুণ লেখকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম দ্বিতীয়বারের মতো ‘লেখক ফোরাম গ্রন্থ সম্মাননা ২০২৪’ প্রদানের জন্য ফোরাম সদস্যদের কাছে তিন মাস (গত সেপ্টেম্বর ২০২৪) আগে বই আহ্বান করেছে। এ ছাড়া ফোরামের সদস্যদের থেকে যারা সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত, তাদের থেকে ২৩ সালের মধ্যে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ৩টি ফিচার/প্রতিবেদনের প্রিন্ট কপি (প্রামাণ্য অনুলিপি) পাঠাতে বলা হয়েছে।
সভাপতি কবি মুনীরুল ইসলাম জানান, ‘সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যথাসময়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। আলেম লেখকদের মিলনমেলা হবে। সিনিয়র-জুনিয়র তারকা লেখকরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের কবিতা পাঠ, আমাদের অনন্য আয়োজন। এর মধ্য দিয়ে জুলাই এবং নতুন বাংলাদেশকে পাঠকের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস হবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম ইসলামি ধারার তরুণ লেখকদের জাতীয় সংগঠন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কর্মরত এবং সারাদেশে ছড়ানো লেখকদের নিয়ে ২০১৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এই সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে সারাদেশের প্রায় পাঁচশ লেখক এই সংগঠনের সদস্য।
হজযাত্রী সমন্বয় ও মোনাজ্জেম নির্বাচনে সময় বেঁধে দিল মন্ত্রণালয়
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের লোগো, ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম
হজযাত্রী সমন্বয়, লিড এজেন্সি নির্ধারণ ও মোনাজ্জেম নির্বাচনের সময় বেঁধে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী এজেন্সিসমূহকে এসব কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা হতে এ সংক্রান্ত পত্র জারি করা হয়েছে।
২০২৫ সালে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী এজেন্সির কাছে প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৫ সনের হজে অন্যান্য দেশের জন্য এজেন্সি প্রতি হাজির কোটা দুই হাজার জন নির্ধারণ করেছে। তবে বাংলাদেশের অনুরোধে এদেশের এজেন্সি প্রতি হাজির সংখ্যা সর্বনিম্ন এক হাজার জন নির্ধারণ করেছে।
এ কারণে ২০২৫ সনে অনুমোদিত হজ এজেন্সিসমূহের মধ্যে যে সব হজ এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা এক হাজারের চেয়ে কম, সেসব এজেন্সির হজযাত্রী স্থানান্তর ও সমন্বয়পূর্বক লিড এজেন্সি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। হজ ও উমরা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ (সংশোধিত)-এর ২৬ বিধি অনুযায়ী পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে লিড এজেন্সি নির্ণয়পূর্বক সমন্বয়কারী এজেন্সিসমূহের হজযাত্রীদের ই-হজ সিস্টেমে লিড এজেন্সিতে স্থানান্তর করার বিধান রয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সনের হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইনের অনুচ্ছেদ ৯(১২) এ বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সমন্বয় কার্যক্রম শেষ হলে সমন্বয়কারী এজেন্সি হতে লিড এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে হজযাত্রীর উড়োজাহাজ ভাড়া বাবদ অর্থ প্রেরণ করবে এবং লিড এজেন্সি তার ব্যবস্থাপনাধীন সব হজযাত্রীর উড়োজাহাজ টিকেটের অর্থ এয়ালাইন্সের বরাবর পে-অর্ডার ইস্যু নিশ্চিত করবে।
মসজিদে হারামের স্থাপত্য সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে আরবি ক্যালিগ্রাফি
মোহাম্মদ আবদুর রহীম
|
পবিত্র কাবার গিলাফ, ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম
মক্কার মসজিদে হারামের বিভিন্ন স্থানে লিখিত আরবি ক্যালিগ্রাফি স্থাপত্য সৌন্দর্যে নতুনমাত্রা যোগ করেছে। পবিত্র কাবার গিলাফ ও দরজায় উৎকীর্ণ ক্যালিগ্রাফি এর অন্যতম। ফলে পবিত্র হজ ও উমরা পালনকারীদের হৃদয় জুড়িয়ে যায় কালো গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা অবলোকন করে। মসজিদে হারামের প্রাঙ্গণে পৌঁছে এক অপার্থিব ভালো লাগায় মোহিত হয়ে থাকে গিলাফে উৎকীর্ণ সোনার সুতোয় বোনা ক্যালিগ্রাফি দেখে। কাবার ভেতরে-বাইরে এই অত্যাশ্চর্য ক্যালিগ্রাফির প্রতি মানুষের আকর্ষণ অপরিসীম ও চিরন্তন।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সময় কাবার গিলাফে ক্যালিগ্রাফির কথা জানা যায় না। তবে ৪০ হিজরি মক্কা ও তায়েফে প্রাপ্ত উৎকীর্ণলিপি থেকে জানা যায়, আরবি ক্যালিগ্রাফির তখন বেশ উন্নত স্টাইল প্রচলন ছিল। সৌদি আরবের উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাদ ড. নাসের বিন আলী আল-হারেসি এক গবেষণায় এ তথ্য জানান।
কাবার গিলাফে আরবি ক্যালিগ্রাফির নান্দনিক উপস্থাপনের বিষয়ে রিয়াদের ইমাম বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া কলেজের উস্তাদ ড. মুহাম্মদ বিন হুসাইন আল মাওজান বলেন, ইতিহাসের তথ্য-উপাত্ত মতে, মিসরের মামলুক সুলতানদের আমলে কাবার ভেতর ও বাইরে আলাদাভাবে গিলাফ আবৃত করা হত এবং তাতে আরবি ক্যালিগ্রাফি দিয়ে অলঙ্কৃত করা হত। মামলুক আমলের ৭৬১ হিজরিতে সুলতান নাসের হাসান বিন মুহাম্মদ বিন কালাউনের সময় কাবার ভেতরের গিলাফের একখণ্ড এখনও সংরক্ষিত আছে।
মসজিদে হারামের বিভিন্ন স্থান, কাবার গিলাফ ও দরোজার ক্যালিগ্রাফি, ছবি: সংগৃহীত
তবে কাবার গিলাফের ভেতর-বাইরে উভয় অংশে শৈল্পিক এবং নয়নাভিরাম ক্যালিগ্রাফির অলঙ্করণ শুরু করেন তুর্কি উসমানিয় সুলতানগণ। তাদের সময়ে ক্যালিগ্রাফির সবচেয়ে নান্দনিক শৈলী সুলুস ও জালি সুলুসের ব্যবহার শুরু হয়। মামলুক সুলতানদের সময়ে রায়হানি ও মুহাক্কাক শৈলীর কায়রো ধারায় ক্যালিগ্রাফি ব্যবহৃত হতো। তবে কাবার চারপাশে মসজিদে হারামে কুফি কাইরোয়ানি, জাহরি-নাবতি লিপির অলঙ্করণ ছিল।
সৌদি বাদশাহ আবদুল আজিজ আলে সৌদ ১৩৪৬ হিজরিতে গিলাফ বা কিসওয়া তৈরির একটি বিশেষ কারখানা নির্মাণের নির্দেশ দেন এবং সে বছরেই অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ক্যালিগ্রাফি সজ্জিত গিলাফ তৈরি করে কাবা ঘর আবৃত করা হয়।
ক্যালিগ্রাফির শৈলী নির্ধারণের জন্য বিশ্বের নামকরা ক্যালিগ্রাফারদের এক সম্মেলন আহ্বান করা হয়, সেখানে সুলুস লিপিকেই সর্বসম্মত রায় দেওয়া হয়। বর্তমানে গিলাফের খ্যাতনামা ক্যালিগ্রাফার মুখতার শিকদার (বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত) এ তথ্য জানান।
বাদশাহ ফাহদ বিন আবদুল আজিজের সময় থেকে গিলাফের প্রধান ক্যালিগ্রাফার হিসেবে সৌদি বংশোদ্ভূত আবদুর রহিম আমিন বোখারি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ক্যালিগ্রাফি হিসাবে কোরআন মাজিদের আয়াত, আল্লাহতায়ালার গুণবাচক নাম বিশেষ নকশা আকারে উপস্থাপন করা হয়। হজরে আসওয়াদের ওপর অংশে আল্লাহু আকবর ক্যালিগ্রাফিসহ বর্তমানে গিলাফের অধিকাংশ ক্যালিগ্রাফি মুখতার শিকদারের হস্তলিখিত। কাবার ভেতরের অংশের গিলাফে তিরাজ নামে তেরছা ধরনের বিশেষ বুনন ও কালেমা ক্যালিগ্রাফি করা হয়।
কাবার স্বর্ণমণ্ডিত ধাতব দরোজার ওপর সুলুসলিপিতে ক্যালিগ্রাফি বিদ্যমান। কাবার স্থাপত্য প্রদর্শনিতে প্রাচীন কাঠের নকশা করা দরোজায় মুহাক্কাক লিপিতে ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গিলাফে এবং দরোজার ক্যালিগ্রাফিতে বিভিন্ন আয়াত দিয়ে অলঙ্কৃত করা হয়েছে। দরোজার তালা ও চাবি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র আকৃতি এবং গঠনের, এতে সুক্ষ্মভাবে ক্যালিগ্রাফি উৎকীর্ণ দেখা যায়। এমনকি কাবা ঘরের ছাদের ধাতব চৌকোনা আকারের পানি নিঃসরণ নলটির দুই পাশে সুলুসলিপিতে কোরআন মাজিদের আয়াত উৎকীর্ণ করা হয়েছে। এ নলটিও নির্দিষ্ট সময় পরপর পরিবর্তন করা হলেও তাতে যথারীতি ক্যালিগ্রাফি রয়েছেই।
মসজিদে হারামের ক্যালিগ্রাফি, ছবি: সংগৃহীত
কাবা ঘরের ভেতর চার দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের পাথরের পাতে সুরা ও কালিমা ক্যালিগ্রাফি উৎকীর্ণ আছে। এসব ক্যালিগ্রাফিতে মুহাক্কাক, রায়হানি, সুলুস, কুফি শৈলীর ব্যবহার দেখা যায়। কাবার দরোজা দিয়ে ঢুকে হাতের ডানপাশে হাতিমের দিকের দেয়ালের ডানপাশে বাব আত-তাওবা নামে একটি দরোজা আছে। এটি ধাতব নির্মিত এবং স্বর্ণমণ্ডিত, এতে কোরআনে কারিমের আয়াত ও আল্লাহতায়ালার নাম দিয়ে সুলুসলিপিতে ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। বাদশাহ খালিদ বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে এতে স্বর্ণ দ্বারা প্রলেপ দেওয়া হয়।
পবিত্র কাবা ঘরে কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি দিয়ে সুশোভিত করার মাধ্যমে ইসলামের আধ্যাত্মিক শিল্পকলার যাত্রা শুরু হয়। মানুষ আল্লাহতায়ালাকে চর্ম চোখে দেখতে পায় না, কিন্তু আল্লাহর বাণীর এই নান্দনিক শৈলী অবলোকন করে হৃদয়ে তাকে অনুভব করে। এই বোধ মানুষকে উত্তরোত্তর স্রষ্টায় সমর্পিত ও নিবেদিত হতে প্রেরণা জোগায়। এ ধারা চলবে অনন্তকাল।
হজ প্যাকেজের বাকি টাকা দিতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
পবিত্র কাবা, ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম
আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে হজ প্যাকেজের বাকি টাকা। সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের সোনালী ব্যাংকে এবং বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে এ টাকা জমা দিতে হবে।
১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা হতে এ সংক্রান্ত পত্র জারি করা হয়েছে।
২০২৫ সনের হজে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের উদ্দেশে এ পত্রে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুসারে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য মিনায় তাঁবু গ্রহণ, মোয়াল্লেম গ্রহণ, বাড়ি বা হোটেল ভাড়া এবং পরিবহনসহ সেবা সংক্রান্ত সব চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। এ কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে হজযাত্রীদেরকে অনুরোধ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের হজের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় প্রাথমিক নিবন্ধন। প্রথম দফায় নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। কিন্তু কাঙ্খিত সাড়া না মেলায় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক দফায় ১৫ দিন সময় বাড়ানো হয়। এই সময়েও কাঙ্খিত নিবন্ধন না হওয়ায় হজ এজেন্সি এবং হজযাত্রীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত আরও ৮ দিন সময় বাড়ানো হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর নভেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মাত্র ৭৪ হাজারের মতো হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে একলাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৯৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি একলাখ ১৭ হাজার হজযাত্রী যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে।
২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে হজে গিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। ৪১ হাজার ৯৪১ জনের কোটা ফাঁকা ছিল।