অভিনেত্রী এবং নেত্রী দুটোতেই নেত্রী আছে : নুসরত জাহান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের জেলা অফিসে প্রথম নির্বাচনী বৈঠকে নুসরত জাহান,  ছবি: সেন্টু

মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের জেলা অফিসে প্রথম নির্বাচনী বৈঠকে নুসরত জাহান, ছবি: সেন্টু

প্রার্থী ঘোষণার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর উদ্দেশ্যেই বলেছিলেন, যে রাঁধেন সে চুলও বাঁধেন! তিনি টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বাড়ির সব কাজ সামলেই বাইরে অভিনয় করেন। এ বিষয়ে অভ্যস্ত তিনি। তাই রাজনীতিতে সময় দেওয়া তাঁর কাছে জটিল বিষয় নয়। অভিনেত্রী থেকে এখন সরাসরি ভোটের ময়দানে। তিনি নুসরত জাহান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করেছেন।

শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের জেলা অফিসে প্রথম নির্বাচনী বৈঠক করে তিনি বললেন, মুখ্যমন্ত্রী আমায় বলেছেন, জিতে এসো। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মধ্যমগ্রামের অফিসে নুসরত আসছেন শুনেই সকলের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। আশপাশের লোকজনও ভিড় জমিয়েছিলেন সামনে থেকে অভিনেত্রীকে একটিবার দেখার জন্য। গোলাপি রঙের শাড়ি পরে তিনি বৈঠকে আসেন। জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সকলের সঙ্গে নুসরতের পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর শুরু হয় নির্বাচনী বৈঠক।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কাজের সূত্রে সবার সঙ্গেই যোগাযোগ হয়েছে। বসিরহাটে প্রচুর অনুষ্ঠান করেছি। তবে, এখন একটু অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। দিদির (মমতা) পাশে সব সময় থেকেছি। আগে যখন পার্টির সদস্য ছিলাম না, তখনও পাশে ছিলাম। কারণ, উনি মহিলা হয়েও একা লড়াই করে গিয়েছেন। তাই মহিলা হয়েই ওনার পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা যে নারীশক্তির জাগরণের কথা বলি, দিদি হলেন তার বড় উদাহরণ। আজ সরাসরি দলে এসে সত্যিই ভাল লাগছে!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/16/1552733681888.jpg

বসিরহাট লোকসভার লড়াইটা কি কঠিন? হাসিমুখে নুসরতের জবাব, লড়াই তো প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কঠিন। বাড়িতে, অফিসে, জীবনে, সিনেমায় সবখানেই লড়াই আছে। আবার রাজনীতিতেও লড়াই আছে। রাজনীতি চতুর্দিকে। বাড়িতেও আছে, জীবনেও আছে। জীবনের প্রত্যেক লড়াইয়ে জিতে এসেছি। তাই রাজনীতির লড়াইটা আলাদাভাবে দেখছি না। কারণ দেখুন অভিনেত্রী এবং নেত্রী এই দুটো শব্দের খুব একটা পার্থক্য নেই। দুটোতেই নেত্রী আছে।

আগে ছবির প্রচারে মানুষের কাছে যেতাম। এখনও সেই মানুষের সামনে যাব। তবে, আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে। এখন তাঁদের জন্য ভালো কিছু করতে পারব এবং তাঁদের পাশেও থাকতে পারব। আমি যখন প্রথম অভিনয়ে গিয়েছিলাম, তখনও আমার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কাজ করতে করতে শিখেছি। তাই এখানেও কাজ করতে করতে শিখে যাব। আগেও দর্শকদের ভালবাসা ও আশীর্বাদ পেয়েছি। আমি নিশ্চিত, এখনও সেই ভালবাসা ও আশীর্বাদ পাব।