শেষ বিকালে ঢাকা মেট্রোর ইনিংসে ধস
৮ ওভারে ২০ রান। দ্বিতীয় দিনের সকালে শেষ উইকেটে সিলেট বিভাগের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ওটুকুই। শেষ পর্যন্ত ৩১২ রানে এসে থামলো সিলেটের প্রথম ইনিংস। জবাবী ইনিংসে ঢাকা মেট্রো ৮ উইকেটে ২৬৭ রান তুলেছে।
দ্বিতীয়দিনের সকাল-দুপুর বেশ স্বস্তি নিয়েই কাটছিল ঢাকা মেট্রোর । কিন্তু রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে শেষ বিকালে এসে ভেঙ্গে পড়ে ঢাকা মেট্রোর ইনিংস। চা বিরতি শেষে দিনের শেষ সেশনে নামার সময় ঢাকা মেট্রোর রান ছিল ২ উইকেটে ১৪১। শামসুর রহমানের হাফসেঞ্চুরি ততক্ষনে হয়ে গেছে। অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবও উইকেটে পুরোদুস্তর সেট। কিন্তু এই জুটি ভাঙ্গতেই ভেঙ্গে পড়ে ঢাকা মেট্রোর ইনিংস। ৬৩ রান করে শামসুর রহমান আউট হন। মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট দেখলো আরেকটি ব্যর্থ ইনিংস। ১৯ বল খেলে ১৪ রান নিয়ে ফিরেন আশরাফুল। খানিকবাদে মেহরাব হোসেন জুনিয়র এনামুল হক জুনিয়রের থ্রোতে রান আউট হয়ে দলের বিপদ আরো বাড়ান। ৭৪ রান মার্শাল আইয়ুব দলের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলে প্রথম ইনিংসে লিডের লড়াই থেকে অনেক পিছিয়ে পড়ে ঢাকা মেট্রোপলিশ। দিনের শেষ সেশনে ১২৬ রান যোগ করলেও ৬টি উইকেট হারায় ঢাকা।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা জাবিদ হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ায় স্কোরবোর্ডে ঢাকার রান আড়াইশ পার হয়। হাতে থাকা বাকি দুই উইকেটে সিলেটের গড়া প্রথম ইনিংসে ৩১২ রান ঢাকা টপকে যাবে-এমন আস্থা কি খোদ ঢাকা মেট্রোর আছে?
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (২য়দিন শেষে) সিলেট বিভাগ ১ম ইনি: ৩১২/১০ (৯৮ ওভারে, ইমতিয়াজ ৩১, শাহনাজ ৬০, জাকির ৫০, শাহনুর ৫৪, আবু জায়েদ ২৬, অনিক ২/৬১, আরাফাত সানি ২/৬৩, আশরাফুল ২/৬৫, আসিফ হোসেন ২/৪৩)। ঢাকা মেট্রো ১ম ইনি: ২৬৭/৮ (৭৯ ওভারে, শামসুর রহমান ৬৩, মার্শাল আইয়ুব ৭৪, জাবিদ হোসেন ৩৯*, খালেদ আহমেদ ৪/৬৯, শাহনুর ২/৪২)।