মাশরাফি-সাকিবের নির্বাচনী অভিলাষ এবং ক্রিকেট ও রাজনীতির লাভ-ক্ষতি



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা

সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নির্বাচনে সংসদীয় আসন তিনশ। কিন্তু শনিবার সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত পুরো দেশের নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো নড়াইল-২ এবং মাগুরা-১! সংসদীয় এই দুই আসন নিয়ে পেছনের পাঁচবছরে এমন কিছুই ঘটেনি যে এটা আলাদা করে অনেকক্ষণ ধরে আলোচনার দাবি রাখে।

শনিবার ঘটলো। নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচনের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিকাল নাগাদ মাগুরা-১ থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনের অভিলাষ জানালেন সাকিব আল হাসান। ব্যস কিসের জোট-সংলাপ-আলাপ? সব নির্বাচনী আলোচনার ফ্লাডলাইটে তখন মাশরাফি এবং সাকিব!

দুজনেই রোববার সকালে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফর্ম কিনবেন। এই দুই ক্রিকেট তারকার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার খবর প্রথমে শোনা গিয়েছিলো চলতি বছরের মে মাসে। তবে সেই সময় দুজনেই সেই খবরের প্রতিক্রিয়ায় হেসেছিলেন। স্বীকার-অস্বীকার কোনকিছুই বোঝা যায় না-এমনই ছিলো সেই রহস্যময় হাসি!

শনিবার প্রায় সব শীর্ষ অনলাইন, নিউজপোর্টাল, টিভিস্ক্রলে তাদের নাম, হাসিমুখের ছবি এবং নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার খবর গুরুত্ব পেল। অথচ এই দুজনের কেউই রাজনীতির মানুষ নন। খাঁটি ক্রিকেটের লোক। এখনো পুরোদুস্তর পেশাদার ক্রিকেটার। নির্বাচন মানেই রাজনীতিবিদদের ছবি, ব্যস্ততা, বক্তৃতা, মঞ্চ, মাইক, জনসভা, পোস্টার, হোন্ডা মিছিল। অথচ এই দুজনের কারোরই অমন কোন আয়োজনের প্রয়োজন পড়েনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/10/1541861739890.jpg

শুধু আগ্রহে মাথা ঝাঁকালেন। ব্যস তাতেই পুরো নির্বাচনের সব আলোকচ্ছটা নড়াইল-২ ও মাগুরা-১ এ। মাশরাফি-সাকিব হাসছেন একাদশ সংসদ নির্বাচনের হাসিতে! ভোটের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর। এখনো হাতে সময় আছে। ভোটের লড়াইয়ে পক্ষ ঠিক আছে। প্রতিপক্ষ স্থির হয়নি। আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে। অন্যপক্ষ অপেক্ষায়। তবে ভোটের মাঠে আগেভাগেই আওয়ামী লীগ ২-০ তে এগিয়ে গেল! গোলদাতা মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান!

দুজনেই দেশসেরা ক্রিকেটার। আর্ন্তজাতিক তারকা। ক্রিকেটের মাঠে বাংলাদেশকে অনেক সাফল্য এনে দেয়ার কারিগর। শুধু ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবই নয়, সার্বিক বিচারে দুজনেই ভালো মানুষ। এমন ভালো মানুষ দেশের রাজনীতিতে যুক্ত হলে সেটা সন্দেহতীতভাবে ভালো খবর। তাদের অর্ন্তভুক্তিতে রাজনীতি লাভবান হবে। তবে আওয়ামী লীগের হয়ে যাওয়া মাশরাফি এবং সাকিব এখন জনসমর্থনেও ভাগবাটোয়ারার ওজনদারিতে পড়বেন কিনা-সেটাই দেখার বিষয়!

যেখানে বাংলাদেশের প্রায় সবকিছুতেই বিভাজন ও বিভাজিত কেবলমাত্র রাজনীতির পরিচয়ে; সেখানে এখন মাশরাফি-সাকিব সার্বজনীন হাততালি পান কিনা-সামনের দিনে সেটাও পর্যবেক্ষনের বিষয়। তবে রাজনীতিকে লাভবান করতে এবং সেই সঙ্গে নিজেদেরকেও লাভবান হতে এই দুজনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য যে সময়টা বেছে নিলেন-সেটার টাইমিং নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

দুজনেই এখনো পুরোপুরি পেশাদার ক্রিকেটার। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি আছে তাদের। ক্রিকেট বোর্ড থেকে বেতন পান তারা। ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান। জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে বেতনাদির সুযোগ-সুবিধা পাওয়া কোন ব্যক্তি আবার জাতীয় সংসদে আইন প্রনয়ন ও পাসের দায়িত্বে নিয়োজিত; এমনকিছুতে আইনগত কোন সমস্যা হয়তো নেই। কিন্তু নৈতিকতা পরিমাপ শুধু আইনের ফিতেয় নয়, বিবেক দিয়েও মাপতে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/10/1541861759000.JPG

সাকিব এখন ইনজুরিতে। ক্রিকেট থেকে বিশ্রামে আছেন। হয়তো ডিসেম্বরের নির্বাচনে মিছিল, নির্বাচনী জনসভা, ভোট প্রার্থনা করার সময় তিনি পাবেন। কিন্তু মাশরাফিকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোদুস্তর ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ম্যাচের ছক-পরিকল্পনা তো তাকেই সাজাতেই হচ্ছে। খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন নাকি নির্বাচনী বৈঠকের চিন্তায় থাকবেন?

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন যাই করছে, বলা হচ্ছে সামনের বছরের বিশ্বকাপকে ঘিরেই সব ফোকাস। তো মাশরাফি-সাকিবের সেই বিশ্বকাপ ফোকাসে এই নির্বাচন, ভোটের রাজনীতি কি সমস্যা তৈরি করবে না? দেশের রাজনীতিকে লাভবান করার জন্য তাদের হাতে অবশ্যই অনেক সময় আছে। তবে এখন তাদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়ার কথা ক্রিকেটের, দেশের ক্রিকেটের। মাশরাফি-সাকিব দুজনেই ভালোই জানেন-উইকেট যতই সহজ হোক, ব্যাটিংয়ে টাইমিং না মিললে ক্যাচ উঠবেই!

ভোটে দাড়ালে সাকিব-মাশরাফির ভোট বাক্সে কিছু ভোট তো বিপক্ষে পড়বেই। ক্রিকেট মাঠের নির্ভেজাল ও একনিষ্ঠ সমর্থন আর রাজনীতির মাঠের হাততালির শব্দে অনেক পার্থক্য।

উদাহরণ চান? ফেসবুকের মন্তব্যে একবার ঘুরে আসুন।

রাজনীতির মাঠে স্বাগত দেশের দুই ক্রিকেট গ্রেটকে!

   

উড়তে থাকা হায়দরাবাদকে থামিয়ে কুফা কাটাল ব্যাঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে একটা ধারণা প্রচলিত আছে, ব্যাটারদের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। বোলারদের কারণেই নিয়মিত ম্যাচ হারতে হয় তাদের। এবারের আইপিএলেও হেরে বসেছিল টানা ৬ ম্যাচ। সেই ধারণা অবশ্য গতকাল পাল্টে দিয়েছে দলটির বোলাররা। টানা ৬ ম্যাচ হারের পর টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। তাও এবারের আসরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে। আর এমন জয়েই কুফা কেটেছে ব্যাঙ্গালুরুর। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে আছে দলটি।

এ ম্যাচ শুরুর আগেও ভাবা হচ্ছিল, ভয়ঙ্কর হায়দরাবাদ এ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করলে না তিনশ করে বসে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। ভাগ্যের খেলা টসে হেরে শুরুতে বল করতে হয়েছে তাদের। আর তাদের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট খরচায় ২০৬ রানের লড়াকু ভিত পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু।

২০৬ রানের এই লক্ষ্যটাকে বিশাল বা রান পাহাড় না বলে লড়াকুই বলতে হচ্ছে; কারণ প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এবারের আইপিএলে হরহামেশায় আড়াই শ পার করছে। তিনশ করার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলছে। সেই দলটির সামনে যখন ২০৬ রানের পুঁজি তখন সেটাকে বরং মামুলি বলায় শ্রেয়।

তবে সেই মামুলি লক্ষ্যটা এদিন জটিল হয়ে যায় দলটি পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেললে। এ সময় অভিষেক শর্মা তাণ্ডব চালিয়েছেন বটে, আর তাতে রানও এসেছে। তবে অপর প্রান্তে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় হায়দরাবাদ। ১৩ বলে ৩১ রান করে একটা সময় থামতে হয় অভিষেককেও। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেনি মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা। শেষ দিকে শাহাবাজের ৩৭ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। হায়দরাবাদের ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচ জিতেছে ৩৫ রানে।

টুর্নামেন্টে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে উন্নতি না হলেও প্লে অফের দৌড়ে টিকে গেছে তারা। টুর্নামেন্টে আরও ৫টি ম্যাচ বাকি আছে তাদের। আর সেই ম্যাচগুলোতেও জিততে হবে ব্যাঙ্গালুরুকে। সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর ওপর। তবেই মিলবে ব্যাঙ্গালুরুর প্লে অফে যাওয়ার কঠিন সমীকরণ।

;

রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে আজ যা থাকছে



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ রাতে লা লিগার ম্যাচে মাঠে নামছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়াও আইপিএলে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এছাড়াও টিভিতে আজ যে সব খেলা দেখা যাবে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
রূপগঞ্জ টাইগার্স–সিটি ক্লাব

সকাল ৯টা, বিসিবি ইউটিউব চ্যানেল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল
শেখ রাসেল–ঢাকা আবাহনী

বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট, টি স্পোর্টস

রহমতগঞ্জ–ফর্টিস এফসি

বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট, বাফুফে ইউটিউব চ্যানেল

আইপিএল
কলকাতা নাইট রাইডার্স–পাঞ্জাব কিংস

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস

লা লিগা
রিয়াল সোসিয়েদাদ–রিয়াল মাদ্রিদ

রাত ১টা, র‍্যাবিটহোল ও স্পোর্টস ১৮–১

সৌদি প্রো লিগ
আল হিলাল–আল ফাতেহ

রাত ৯টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

জার্মান বুন্দেসলিগা
বোখুম–হফেনহাইম

রাত ১২টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ১

;

ফোডেনের জোড়ায় ব্রাইটনের জালে সিটির হালি



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়টা অনুমেয়ই ছিল। এরপরও নিয়মিত অঘটন ঘটা প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যায় না কিছুই। তার ওপর ম্যাচটা যে প্রতিপক্ষের ডেরায়। তবে সে রকম কিছু হয়নি এই ম্যাচে। প্রত্যাশিতভাবেই জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর সেই জয়টাও এসেছে ব্রাইটনকে ০-৪ গোলে ধসিয়ে দিয়ে। ম্যাচে জোড়া গোল করে সিটির জয়ের নায়ক ফিল ফোডেন।

এ জয়ে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ব্যবধান কমে নেমে এসেছে এখন মাত্র ১-এ। এ ম্যাচ শেষে ৩৩ ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট এখন সিটির। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৪ ম্যাচে ৭৭। লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৪। প্রিমিয়ার লিগে সিটির ম্যাচ বাকি আর ৫টি। অন্যদিকে আর্সেনাল ও লিভারপুলের বাকি ৪টি করে ম্যাচ। লিগ শিরোপা জয়ের সুযোগ আছে এই তিন’দলের সামনেই।

এদিন ম্যাচ শুরুর ১৭ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নেন কেভিন ডি ব্রুইনা। এরপর ২৬ ও ৩৪ মিনিটে পরপর গোল করে জোড়া গোলের উদযাপন সারেন ফিল ফোডেন। প্রথমার্ধেই ব্রাইটনকে ছিটকে দেন ম্যাচ থেকে।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও ব্যবধান বাড়াতে আক্রমণ শানিয়েছে সিটিজেনরা। তবে ততক্ষণে অনেকটাই নিজেদের রক্ষণ গুছিয়ে ফেলেছে ব্রাইটন। তাই দ্বিতীয়ার্ধে খুব বেশি গোল হয়নি। এরপরও ৬২ মিনিটে দলের ব্যবধান ০-৪ করেন হুলিয়ান আলভারেজ। শরিক হন দলের হালি উৎসবে।

;

চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে খেলা নিয়ে কম কথা হয়নি। বিশেষ করে আইপিএলের মাঝপথে তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যেও মতদ্বৈধতা দেখা গেছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস এও বলেছিলেন, আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তবে মুস্তাফিজ নিজে কিন্তু সেভাবে ভাবছেন না। বরং আইপিএলে খেলার কিছু উপকারী দিক খুঁজে পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।

চেন্নাই সুপার কিংসের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে নিজের ব্যক্তিজীবন এবং ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বেশকিছু বিষয় খোলাসা করেছেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে তার ভাবনা বর্ণনা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আইপিএলে সব দেশের তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে সাফল্য পেলে অন্যত্র সফল হওয়া সহজ হয়ে যায়।’

২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। প্রথম আসরে খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। সেবার অরেঞ্জ আর্মির হয়ে শিরোপাও জিতেছিলেন, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতেও দেখা গেছে তাকে।

তবে সবসময়ই তার ভেতর সুপ্ত বাসনা ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার। মুস্তাফিজের ভাষায়, ‘চেন্নাইয়ের হয়ে এবারই প্রথম খেলছি। ২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল। যেদিন চেন্নাইয়ের তরফ থেকে ডাক পাই, আমি ওই রাতে ঘুমাতে পারিনি।’

চেন্নাই সুপার কিংস তারকায় ঠাঁসা এক দল। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। এছাড়া কোচিং প্যানেলেও রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং, মাইক হাসি, ডোয়াইন ব্রাভোর মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। তাদের সান্নিধ্যে থেকে, দিকনির্দেশনায় খেলে কী শিখতে পেরেছেন সেটাও অকপটেই জানালেন মুস্তাফিজ, ‘মাহি ভাই, ডিজে ব্রাভোরা ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়গুলো কাজে লেগেছে। (ধোনির সঙ্গে) বোলিং নিয়ে মূলত কথা হয়। মাঠেই বেশি কথা হয়। মাহি ভাই নিজে এসেই আমাকে বলেন কোনটা কীভাবে করলে ভালো হয়।’

আইপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তিনিই। যদিও শেষ কয়েক ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করেছেন। তবে বাংলাদেশে ফেরার আগে আরও দুইটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেতে পারেন মুস্তাফিজ। সে দুটি ম্যাচে নিশ্চয়ই নিজের সেরাটা মেলে ধরতে চাইবেন ‘কাটার মাস্টার’খ্যাত এই গতিতারকা।

;