হোপের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট ১৯৯ রান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট ১৯৯ রান, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট ১৯৯ রান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট থেকে: বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের নামটা এখন বদলে দেওয়ার দাবি তুলতেই পারেন শাই হোপ! তিন ম্যাচে সবমিলিয়ে তার রান ২৯৭। সিরিজের শেষ ম্যাচেও হার না মানা ১০৮ রান করে দলের সেরা ব্যাটসম্যান হয়ে রইলেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। সিরিজে তার এই দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সুবাদেই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ৯ উইকেটে ১৯৮ রান। তিন ম্যাচের সিরিজের ট্রফি জিততে হলে বাংলাদেশকে ১৯৯ রান করতে হবে।

সিলেটের উইকেট কিছুটা স্লো হলেও এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৯৯ রানের স্কোরকে ‘সামান্য’ বলাই যায়। ইনিংসের শুরুর ১০ ওভার বাদ দিলে বাকি সময়টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেভাবে সামনে বাড়লো তাকে বলা হয়-খুঁড়িয়ে হাঁটা! একপ্রান্ত আঁকড়ে ধরে ওপেনার শাই হোপ খেলে গেলেন বলেই উইন্ডিজ ইনিংস কোনমতো দু’শো রান ছড়ালো। টিকে থাকলে যে স্লো এই উইকেটেও রান পাওয়া যায় তার প্রমাণ হোপের ইনিংস। ইনিংস ওপেন করতে এসে শেষ পর্যন্ত ১৩১ বলে করলেন অপরাজিত ১০৮।

টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বোলিং বেছে নেন। শুরুর ১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেটে ৪৫ রান তুলে। মেহেদি মিরাজ ওয়ানডাউনে খেলতে নামা ড্যারেন ব্রাভোকে ফিরিয়ে দেয়ার পর উইন্ডিজ ইনিংসে যেন মড়ক লাগে। মিডলঅর্ডারে কোনো ব্যাটসম্যান আর দাঁড়াতে পারেননি। সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন প্রথম ওভারেই মারলন স্যামুয়েলসকে বোল্ড করেন। শিমরন হেটমায়ার উইকেটে আসতেই মেহেদি মিরাজের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। হেটমায়ারের উইকেট শিকারকে অভ্যাসই বানিয়ে ফেলেছেন মেহেদি মিরাজ। পেছনের আট ইনিংসে মিরাজ তাকে আউট করেছেন সাতবার! বাংলাদেশের একাদশে এখন মেহেদি মিরাজের নাম দেখলেই সম্ভবত আতঙ্কে ভুগবেন হেটমায়ার!

অন্যপ্রান্ত থেকে কারো কাছ থেকে তেমন সহায়তা না পেয়ে একাই দলের ইনিংসকে শেষ পর্যন্ত টেনে নেন ওপেনার শাই হোপ। শেষের দিকে যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা ঝটপট করে আউট হচ্ছিলেন, দেখে মনে হচ্ছিলো জুটির অভাবে তার সেঞ্চুরিটা পুরো করতে পারবেন না শাই হোপ। কিন্তু দ্রুত সেঞ্চুরি করতে গিয়ে কোন তাড়াহুড়ো দেখালেন না। দলের শেষ ব্যাটসম্যান দেবেন্দ্র বিশুকে নিয়ে ৯০ এর ঘরে পৌঁছালেন। তবে ৯৪ রান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছালেন সাকিব আল হাসানকে লংঅফের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে। ১২১ বলে তার এই সেঞ্চুরির ইনিংসটা যে কোনো তরুণ ক্রিকেটারের জন্য দারুণ শিক্ষণীয় বিষয়। শুধু এই ইনিংস কেন, পুরো সিরিজেই তার ব্যাটিং থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। ৫৯ বলে ৪৩ রান। ১৪৪ বলে অপরাজিত ১৪৬ রান। এবং ১৩১ বলে অপরাজিত ১০৮ রান। রানগুলো মনে রাখুন- তিন ম্যাচের সিরিজে এগুলো শাই হোপের রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ১৯৮/৯ (৫০ ওভারে, হোপ ১০৮*, স্যামুয়েলস ১৯, পল ১২, মিরাজ ৪/২৯, সাকিব ২/৪০, মাশরাফি ২/৩৪, সাইফুদ্দিন ১/৩৮)।

   

ব্যাটিং রূপকথার রাতে পাঞ্জাবের ইতিহাসগড়া জয়



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতার দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

আইপিএল ইতিহাসে রান তাড়ার আগের কীর্তিটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ২০২০ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল দলটি। সে রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে দিয়ে আজ নতুন ইতিহাস লিখেছে পাঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সঙ্গে শশাঙ্ক আরোরা এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ঝোড়ো দুই ফিফটিতে আইপিএল ফোকলোরের অংশ হয়ে গেছে তারা।

কলকাতার মাঠ ইডেন গার্ডেনসে টসভাগ্য ছিল পাঞ্জাবের পক্ষে। টস জিতে আগে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেন। ঘরের মাঠে দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের দুর্দান্ত শুরু পায় কলকাতা। পাঞ্জাবের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬২ বলে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার। ১০ ওভার পেরোতেই সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এর আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান আসে সল্টের ব্যাটে, নারাইন থামেন ৩২ বলে ৭১ রান করে।

সল্ট-নারাইনের তাণ্ডবের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৯, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২৪ রানের ছোট তবে দেড়শর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলা বিস্ফোরক ইনিংসগুলোতে চড়ে ২০ ওভারে ২৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় তারা। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট পান পেসার আর্শদীপ সিং।

আইপিএলের এবারের আসরে যেভাবে পাইকারি হারে দুইশর উপর রান করছে দলগুলো, তাতে এত বড় সংগ্রহ নিয়েও স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না কলকাতার। তবু জিততে হলে পাঞ্জাবকে আইপিএলে ইতিহাস গড়তে হবে তা হয়ত কলকাতার সমর্থকদের আশা জোগাচ্ছিল।

কিন্তু ইংলিশ উইলোবাজ বেয়ারস্টোর ব্যাটে সে আশায় গুঁড়েবালি! ৪৫ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে। তার আগে অবশ্য ইমপ্যাক্ট সাব প্রভসিমরান ২০ বলে ৫৪ রানের তাণ্ডব চালিয়ে পাঞ্জাবের হৃদয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার বিশ্বাস গেঁথে দিয়েছিলেন। আর সে বিশ্বাসকে শেষবেলায় পূর্ণতা দিয়েছেন ২৮ বলে ২ চার ও ৮টি বিশাল ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলা শশাঙ্ক।

ইডেন গার্ডেনসে কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ব্যাটাররা মিলে করেছেন ৫২৩ রান, গড়েছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৪২ ছক্কার রেকর্ড। এমন রাতকে ব্যাটিং রূপকথার রাত না বললে চলেই না।

;

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;