মেন্ডিস–ম্যাথুজের বীরত্বে পাল্টা জবাব শ্রীলঙ্কার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দিন শেষে স্বস্তি নিয়ে ফিরছেন মেন্ডিস-ম্যাথুজ

দিন শেষে স্বস্তি নিয়ে ফিরছেন মেন্ডিস-ম্যাথুজ

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। ইনিংসে ব্যবধানে জয়ের পথে ছিল স্বাগতিকরা। টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে জয় দেখতে থাকা কিউইদের মঙ্গলবার চমকে দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও কুশল মেন্ডিস। দারুণ প্রতিরোধে প্রাণ ফিরেছে ওয়েলিংটন টেস্টে। যেখানে সবাই ধরে নিয়েছিলেন চারদিনেই ভরাডুবি হবে লঙ্কানদের সেখানে দুর্দান্ত খেলছে সফরকারীরা। এমন কী ম্যাচ বাঁচিয়েও দিতে পারে তারা।

প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানের লিড পেয়েছিল কিউইরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ২০ রান তুলতে শ্রীলঙ্কা হারায় ৩ উইকেট। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও কুশল মেন্ডিস। চতুর্থ দিনটা দু'জন পার করে দিয়েছেন। তুলেছেন দু'জনই শতরান। সেই ৩ উইকেটেই ২৫৯ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। পুরো দিনে ৯০ ওভার দারুণ দক্ষতায় সামাল দিয়েছেন টিম সাউদি, আয়াজ প্যাটেল আর ট্রেন্ট বোল্টদের।

এখন ৭ উইকেট হাতে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা। ইনিংস হার এড়িয়ে লিডের পথেই আছে সফরকারীরা। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মুখে অবশেষে হাসি ফুটেছে।

সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নেমেই অবশ্য বিপাকে পড়েছিল লঙ্কানরা। প্রথম ইনিংসে দল শ্রীলঙ্কা তুলেছিল ২৮২ রান। জবাবে নেমে ল্যাথামের ডাবল সেঞ্চুরিতে কিউইরা তুলে ৫৭৮ রান। এরপর সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ২০ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট। দানুশকা গুনাথিলাকা (৩), দিমুথ করুনারাত্নে (১০) ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা (০) শূণ্য রানেই ফিরেন সাজঘরে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/18/1545122139205.jpg

এরপরই দৃশ্যপট পাল্টে দেন ম্যাথুজ ও মেন্ডিস। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলেছেন ম্যাথুজ। তিনি ১১৬ রানে অপরাজিত। আর নবম টেস্ট সেঞ্চুরি করে কুসশ মেন্ডিজ আছেন ১১৭ রান। দুজন ২৪৬ রানের জুটি গড়েন।

একইসঙ্গে কুশল-ম্যাথুজ জুটি আরেকটি রেকর্ডেরও জন্ম দিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবারই প্রথম কোনো টেস্ট ম্যাচের একটি নির্দিষ্ট দিন কাটল উইকেট পতন ছাড়া। এমন ঘটনার সবশেষ দেখা গেছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ এক দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো উইকেট পতন ঘটাতে পারেনি।

টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এবার নিয়ে ২২বার কোনো দল উইকেট না হারিয়ে কাটিয়ে দিল পুরো একটি দিন। শ্রীলঙ্কা পঞ্চমবারের মতো এই কীর্তি গড়ল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮২/১০

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৫৭.৩ ওভারে ৫৭৮/১০ (ল্যাথাম ২৬৪*, টেলর ৫০, নিকোলস ৫০, ডি গ্র্যান্ডহোম ৪৯, সাউদি ৬, প্যাটেল ৬, বোল্ট ১১; লাকমল ১/৮৮, রাজিথা ০/১৪৪, ম্যাথিউস ০/১, পেরেরা ২/১৫৬, কুমারা ৪/১২৭, ডি সিলভা ২/৫৪)

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ১০২ ওভারে ২৫৯/৩ (গুনাথিলাকা ৩, করুনারত্নে ১০, ডি সিলভা ০; মেন্ডিস ১১৬*, ম্যাথুজ ১১৭*; সাউদি ২/৩৬, বোল্ট ১/৫০)

   

ব্যাটিং রূপকথার রাতে পাঞ্জাবের ইতিহাসগড়া জয়



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতার দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

আইপিএল ইতিহাসে রান তাড়ার আগের কীর্তিটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ২০২০ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল দলটি। সে রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে দিয়ে আজ নতুন ইতিহাস লিখেছে পাঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সঙ্গে শশাঙ্ক আরোরা এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ঝোড়ো দুই ফিফটিতে আইপিএল ফোকলোরের অংশ হয়ে গেছে তারা।

কলকাতার মাঠ ইডেন গার্ডেনসে টসভাগ্য ছিল পাঞ্জাবের পক্ষে। টস জিতে আগে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেন। ঘরের মাঠে দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের দুর্দান্ত শুরু পায় কলকাতা। পাঞ্জাবের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬২ বলে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার। ১০ ওভার পেরোতেই সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এর আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান আসে সল্টের ব্যাটে, নারাইন থামেন ৩২ বলে ৭১ রান করে।

সল্ট-নারাইনের তাণ্ডবের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৯, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২৪ রানের ছোট তবে দেড়শর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলা বিস্ফোরক ইনিংসগুলোতে চড়ে ২০ ওভারে ২৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় তারা। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট পান পেসার আর্শদীপ সিং।

আইপিএলের এবারের আসরে যেভাবে পাইকারি হারে দুইশর উপর রান করছে দলগুলো, তাতে এত বড় সংগ্রহ নিয়েও স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না কলকাতার। তবু জিততে হলে পাঞ্জাবকে আইপিএলে ইতিহাস গড়তে হবে তা হয়ত কলকাতার সমর্থকদের আশা জোগাচ্ছিল।

কিন্তু ইংলিশ উইলোবাজ বেয়ারস্টোর ব্যাটে সে আশায় গুঁড়েবালি! ৪৫ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে। তার আগে অবশ্য ইমপ্যাক্ট সাব প্রভসিমরান ২০ বলে ৫৪ রানের তাণ্ডব চালিয়ে পাঞ্জাবের হৃদয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার বিশ্বাস গেঁথে দিয়েছিলেন। আর সে বিশ্বাসকে শেষবেলায় পূর্ণতা দিয়েছেন ২৮ বলে ২ চার ও ৮টি বিশাল ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলা শশাঙ্ক।

ইডেন গার্ডেনসে কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ব্যাটাররা মিলে করেছেন ৫২৩ রান, গড়েছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৪২ ছক্কার রেকর্ড। এমন রাতকে ব্যাটিং রূপকথার রাত না বললে চলেই না।

;

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;