সুপার ওভারে চিটাগংয়ের জয়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
রোমাঞ্চকর জয় পেল চিটাগং

রোমাঞ্চকর জয় পেল চিটাগং

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো চিটাগং ভাইকিংস। টার্গেট ছিলো মাত্র ১২ রানের। ৬ বলে ১২ রান। দুটো ছক্কা হলেই ম্যাচ শেষ! কিন্তু ৬ বলে ১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি খুলনা টাইটানস। ১ রানে সুপার ওভার জিতে আনন্দে মেতে উঠলো চিটাগং ভাইকিংস।

সুপার ওভারের শেষ বলে ম্যাচ জিততে খুলনার প্রয়োজন ছিলো ৩ রানের। কিন্তু রোবি ফ্রাইলিঙ্কের করা দুর্দান্ত শেষ বলটা ব্যাটেই লাগাতে পারেননি পল স্টালির্ং। কোন মতে একটা বাই রান নেন। দ্বিতীয় রানটা অসম্ভব ছিলো। সেটা নিতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। ১ রানে সুপার ওভারে ম্যাচ জিতে মুশফিক রহিমের দল।

শেষদিকে এসে এই ম্যাচের পরতে পরতে নাটকীয়তার দেখা মিলে। খুলনা টাইটানসের ১৫১ রানের জবাবে চিটাগং ভাইকিংস বেশ ভালভাবেই ম্যাচে ছিলো। মুশফিক রহিম যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিলো নিশ্চিত জয়ের পথেই আছে চিটাগং। কিন্তু ১৮ নম্বর ওভারে এসে কার্লোস ব্রাথওয়েট দ্বিতীয় বলেই মুশফিক রহিমকে আউট করেন। এই উইকেটই ম্যাচের মোড় ফের ঘুরিয়ে দিলো খুলনার দিকে। ক্রমেই চিটাগংয়ের জন্য শেষের টার্গেট কঠিন হতে লাগলো।

শেষ ১২ বলে চাই ২৩ রান। জুনায়েদ খান ১৯ নম্বর ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে চিটাগংয়ের কাজটা আরো কঠিন করে দেন। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে চিটাগংয়ের চাই ১৯ রানের বিশাল টার্গেট। তিন ছক্কায় শেষ ওভারে সেই টার্গেটের একেবারে কাছেও পৌছে যায় চিটাগং। কিন্তু শেষ বলে প্রয়োজনীয় ১ রান নিতে পারেনি। আগের দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকানো ফ্রাইলিঙ্ক ম্যাচের শেষ বলে রান আউট হয়ে যান। স্কোরবোর্ডে তখন দু’দলের স্কোর সমান। ম্যাচ টাই। নিয়ম অনুযায়ী ফল নির্ধারনের জন্য ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে চিটাগং ভাইকিংস ১ উইকেট হারিয়ে ১১ রান তোলে। খুলনা সেই রানের জবাবে করে মাত্র ১০ রান। একেই বলে পয়সা উসুলের ম্যাচ!

চলতি বিপিএলে যাও একটা ম্যাচ জেতার সুযোগ তৈরি হয়েছিলো খুলনা সামনে। সেই সুযোগ দেখা দিয়েও মিলিয়ে গেল! টানা চার ম্যাচের চারটিতেই হেরে খুলনা বিপিএলে এখনো পয়েন্ট শূণ্য। আর তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে চিটাগংয়ের এবারের শুরুটা বেশ ভালই হয়েছে।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইটানসের ইনিংস শেষে একটু আক্ষেপ রয়েই গেলো, ১৫১ রানের স্কোরটা আরেকটু বড় হতে পারতো! শেষের পাঁচ ওভারে যেভাবে ব্যাট হাতে শাসন করার কথা ছিলো, সেটা করতে পারেনি খুলনা। হাতে উইকেট জমা কিন্তু শেষের পাঁচ ওভারে তাদের যোগাড় হলো মাত্র ৪০ রান। ১৮ নম্বর ওভারে স্পিনার সানজামুল ইসলাম টানা দুই বলে ব্রাথওয়েট ও মাহমুদউল্লাহ’র উইকেট তুলে নিলে স্কোরবোর্ডে খুলনার রানের স্বাস্থ্য খুব বেশি সবল হতে পারেনি। তারপরও ১৫১ রানের স্কোরে খুলনা স্বস্তি খুঁজছে, এই প্রথম শুরুর দিকের পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই অন্তত ডাবল ফিগারে যেতে পেরেছে।

তবে কে জানতে উভয় দলের ১৫১ রানের এই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত এত টানটান উত্তেজনা জিইয়ে রাখবে?

সংক্ষিপ্ত স্কোর: খুলনা টাইটানস: ১৫১/৬ (২০ ওভারে, স্টার্লিং ১৮, জুনায়েদ ২০, মালান ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, ব্রাথওয়েট ১২, নাজমুল হোসেন শান্ত ৬, আরিফুল ৯*, মাইদুল ৪*, সানজামুল ২/৩৭, নাঈম ১/১৬)। চিটাগং ভাইকিংস: ১৫১/৮ (২০ ওভারে, শাহজাদ ১০, ডেলপোর্ট ১৭, ইয়াসির আলী ৪১, মুশফিক ৩৪, মোসাদ্দেক ১২, ফ্রাইলিঙ্ক ২৩, ব্রাথওয়েট ২/৩০, শরিফুল ২/৩১)। ফল: ম্যাচ টাই, সুপার ওভারে ১ রানে চিটাগং ভাইকিংস জয়ী। ম্যাচসেরা: রোবি ফ্রাইলিঙ্ক।

   

জিম্বাবুয়েকে তুড়িতে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিচার্ড এনগারাভার করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ সপাটে ছক্কা হাঁকালেন। ১০৩ মিটারের সে বিশাল ছক্কায় বল স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে যেন সাগরে আছড়ে পড়ল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশও অনেকটা একইভাবে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়েকে। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তাদের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান।

রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে যায় দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসান।

জবাব দিতে নেমে লিটন দাস এবং তানজিদ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ধীরগতিতে ব্যাট চালান দুজনই, লিটনের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৩, তানজিদ করেন ১৯ বল্রে ১৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাগড়া দিলে ব্যাটারদের মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটে। তবে তাওহিদ হৃদয় ছিলেন ব্যতিক্রমী। সহজাত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৩৭ রান করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটার। ১৬ বলে দুই চার এবং একটি বিশাল ছক্কায় ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

আগামী ৭ মে (মঙ্গলবার) একই মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;