শেষ ওভারে মুস্তাফিজ জাদু, রাজশাহীর জয়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
রাজশাহীকে জেতালেন পেসার মুস্তাফিজ- ছবি: বিসিবি

রাজশাহীকে জেতালেন পেসার মুস্তাফিজ- ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ ওভারে সত্যিকার অর্থেই জাদু দেখালেন মুস্তাফিজ! দলকে জেতালেন। আর ব্যাট হাতে দলকে হারালেন ফরহাদ রেজা। শেষ ওভারে জেতার জন্য রংপুরের প্রয়োজন দাড়ায় ৯ রানের। মুস্তাফিজের সেই ওভার থেকে মাত্র ৩ রান তুলতে পারে রংপুর! রাজশাহী ম্যাচ জিতে ৫ রানে।

শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত এই ম্যাচে জয়ের পুরো পাল্লা ঝুঁকেছিলো রংপুর রাইডার্সের দিকেই। হাতে জমা ৪ উইকেট। ব্যাট হাতে রাইলি রুশো অপরাজিত ৪২ রানে। কিন্তু প্রথম বলে এক রান নিয়ে রুশো প্রান্ত বদল করতেই যেন ম্যাচের মোড় বদলে গেলো। ফরহাদ রেজা ব্যাটিংয়ে গিয়ে শুধু ব্যাট চালালেন। টানা চার বলের একটাও ব্যাটে লাগাতে পারলেন না। মুস্তাফিজের করা কোনাকুনি চার বলে প্রচন্ড জোরে শটস খেলার চেষ্টা করলেন ফরহাদ রেজা। কিন্তু ব্যাটে যে বলের স্পর্শই হলো না একবারও! কোনমতো পঞ্চম বলে দৌড় দিলেন। বাই রান নিয়ে প্রান্ত বদল করে হাঁফ ছাড়লেন। কিন্তু ততক্ষনে ম্যাচ জয়ের হিসেব থেকে ছিটকে গেছে রংপুর। শেষ বলে চাই তাদের ৭ রান! শেষ সেই বল থেকে সিঙ্গেলসের বেশি নিতে পারলেন না রুশো। প্রায় হারা ম্যাচ জিতে ফিরলো রাজশাহী।

লম্বা সময় ধরে রংপুরকে জেতানোর পরিশ্রম প্রায় একাই করে যাচ্ছিলেন রাইলি রুশো। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেলস নিয়েই যেন বড় ভুল করে ফেললেন। ফরহাদ রেজার ব্যাটিংয়ের ওপর তার আস্থা রাখাটা মোটেও উচিত হয়নি তাহলে! শেষ ওভারে মুস্তাফিজের চার বলে ফরহাদ রেজা যে ব্যাটিং করলেন তাতে সামনের দিনে কখনো আর নিজেকে ‘ব্যাটসম্যান’  বলতে পারবেন না তিনি! এমন ভুলও কেউ কি করে? মুস্তাফিজের চার ডেলিভারির সবগুলোই একই ধরনের। একই লেন্থে। এই গতিতে। একই অ্যাঙ্গেলে আসে। ফরহাদ রেজাও একই কাজ করলেন। ব্যাট চালালেন। কিন্তু কোনবারই বলে ব্যাট স্পর্শই করাতে পারলেন না!

ফরহাদ রেজা যা করলেন তাকে বলে; ব্যাট হাতে দলকে হারিয়ে দেয়া। আর মুস্তাফিজ যা করলেন তাকে বলে; বল হাতে দলকে জিতিয়ে দেয়া!

এই ম্যাচে দু’দলের অধিনায়কের ব্যাটিং-বোলিংয়ে বেশ কিছু মিল! রাজশাহী কিংসের মেহেদি মিরাজ এবং রংপুর রাইডার্সের মাশরাফি মর্তুজা দুজনেই ব্যাট হাতে দলের ইনিংস ওপেন করতে নামলেন। দুজনেই আউট হলেন শূন্য রানে। দুজনেই বল হাতে দলের শুরু করলেন। সমান ৪ ওভারে রান খরচে কাছাকাছি দুজনেই। তবে উইকেট শূন্য থাকলেন মিরাজ। মাশরাফির শিকার দুই উইকেট।

কিন্তু শেষ হাসিটা হাসলেন মেহেদি মিরাজই। রাজশাহী কিংসের ১৩৫ রানের ছোটখাটো সঞ্চয় প্রায় টপকে যাচ্ছিলো রংপুর। কিন্তু শেষ ওভারে মুস্তাফিজের জাদুতে রাজশাহী যাকে বলে ম্যাচ প্রায় ছিনিয়ে নিলো!

টসে জিতে রংপুর বোলিং বেছে নেয়। অধিনায়ক মাশরাফি ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় বলেই উইকেট পান। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক মেহেদি মিরাজকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং ওপেন করে বেশ ভালই সাফল্য দেখিয়েছিলেন মেহেদি। এই ম্যাচে ফিরলেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে! শুরুর সেই ধাক্কা ইনিংসের কোন সময় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজশাহী। মিডল অর্ডারে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ৩৬ বলে ৪২ রান করায় রাজশাহীর স্কোরবোর্ডের স্বাস্থ্য কিছুটা সমৃদ্ধ দেখায়। শেষের পাঁচ ওভারে রাজশাহী মাত্র ৩৯ রান যোগ করে।

রংপুরের ইনিংসে ক্রিস গেইলের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামছেন কে? চোখ রগড়ে ঠিক মতো তাকাতে দেখা গেলো সঙ্গী ব্যাটসম্যান আর কেউ নন-মাশরাফি বিন মর্তুজা! তবে ব্যাট হাতে মোটেও রোমাঞ্চকর কিছু করতে পারেনি রংপুর অধিনায়ক। ২ বল খেলে কামরুল ইসলাম রাব্বীর এক্সট্রা বাউন্স পাওয়া বলে উইকেটের পেছনে শূন্য রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। ক্রিস গেইল ছক্কা-চারে ইনিংস শুরু করলেও বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি। কামরুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে গেইল ফিরেন ১৪ বলে ২৩ রান করে। মোহাম্মদ মিঠুনের ৩১ বলে ৩০ রান রংপুরকে ম্যাচ জয়ের পথে রাখে। বোপারা ও বেনি হাওয়েলকে রংপুর দ্রত হারালেও রাইলি রুশোর ব্যাটে ম্যাচ জয়ের নির্ভরতা পাচ্ছিলো রংপুর। কিন্তু শেষ ওভারে তার সব পরিশ্রম নষ্ট করে দিলেন ব্যাট হাতে নামা ফরহাদ রেজা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: রাজশাহী কিংস: ১৩৫/৮ (২০ ওভারে, সৌম্য ১৮, হাফিজ ২৬, জাকির ৪২, মাশরাফি ২/২২, ফরহাদ রেজা ২/১৭)। রংপুর রাইডার্স:১৩০/৬ (২০ ওভারে, গেইল ২৩, মিঠুন ৩০, রুশো ৪৪*, কামরুল ২/২২, হাফিজ ২/২২, মুস্তাফিজ ০/১৭)। ফল: রাজশাহী ৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: জাকির হাসান।

   

বাংলাদেশের লিস্ট এ ক্রিকেট সেরা বোলিংয়ে রাজার সঙ্গী যারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। সাকিব, সোহান, ইয়াসির রাব্বিসহ এভাবে একে একে শেখ জামালের আট ব্যাটসম্যানই শিকার রেজাউর রহমান রাজার। ৬ ওভার ৩ বলের স্পেলে ২৩ রানে শিকার আট উইকেট। রাজার এই বোলিং পরিসংখ্যানই লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা।

রাজা বোলিংয়ে আসার আগেই সাজঘরে ফেরেন শেখ জামালের দুই ওপেনার। যে তান্ডব রাজা চালিয়েছিলেন তাতে ঝুঁকি নিয়ে একটা কথা বলে যেতেই পারে ওপেনিং স্পেলে বল করলে রাজা হয়তো দশ উইকেটই পেতেন। আবার এভাবেও বলা যায়, হাতে উইকেট থাকলে কিংবা আর দুই এক ওভার বল করলেই পেতে পারতেন দশ উইকেটও। কারণ ২৩ রানে আট উইকেট শিকারের দিন এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিলেন রাজা।

লিস্ট এ তে বাংলাদেশি বোলারদের মাঝে এতোদিন সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিলো ইয়াসিন আরাফাত মিশুর।  ২০১৮ সালে গাজী গ্রুপের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে ৪০ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।

তিনে আছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাঁহাতি এই স্পিন কিংবদন্তি ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭ রানে শিকার করেন ৭ উইকেট।

চলতি ডিপিএলেই ২০ রানে সাত উইকেট শিকার করা আবু হায়দার রনি আছে লিস্টের চারে।

;

টানা দ্বিতীয়বার ফেড কাপের ফাইনালে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ২-১ গোলের জয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।

আজ (মঙ্গলবার) মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে অনেকটা সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই করে দুই দল। একের পর আক্রমণ গড়েও মোহামেডান পুলিশের গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি। অন্যদিকে এই অর্ধে যে কয়টি সুযোগ এসেছিল তা লুফে নিতে না পারার আক্ষেপ ছিল পুলিশের।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সে আক্ষেপ ঘুচে যায় তাদের। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই মোহামেডান বক্সে পুলিশের হানা। ৪৬ মিনিটে মুরিওর ফ্রি কিকে হেড করেন উখমাতোভ, পোস্টে লেগে বল প্রবেশ করে জালে। মোহামেডান গোলকিপার সুজন তা ঠেকাতে পারেননি।

পিছিয়ে পড়ার দ্বিগুণ উদ্যমে আক্রমণ শানায় মোহামেডান। ৬৮ মিনিটে ইমানুয়েল সানডে জাল খুঁজে পেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে মোহামেডান। বক্সের ভেতর সুলেমান দিয়াবাতের শট ব্লক হওয়ার পর ফিরতি শটে গোল পেয়ে যান সানডে।

৭৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটাও পেয়ে যায় মোহামেডান। এ যাত্রায় গোলের কারিগর বনে যান সানডে। তার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে মোহামেডানকে আনন্দে ভাসান শাহরিয়ার ইমন।

আগামী ১৪ মে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স-আপ আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস।

;

ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন তৈয়ব হাসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু।

বুধবার (৮ মে) তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এদিন এমিরেটস এয়ারলাইনযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে পৌঁছে অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচিতে যোগদান করবেন তিনি। সেখান থেকে আগামী ১২ মে তিনি দেশে ফিরবেন।

রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারি হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসি-তে তিনি ১০ বছর এলিট রেফারি হিসেবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি (শতাধিক) আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন।

দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারিজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) রেফারি তৈয়ব। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়ব হাসান প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। রেফারি হিসেবে তিনি সর্বাধিকবার বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করেন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেছিলেন এই কৃতি রেফারি।

করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান বাবু দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক- জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পুরস্কারের অর্থ এক লাখ টাকা তিনি দুস্থ, পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করেন।

রেফারিংয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি), বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তৈয়ব হাসান বাবুকে পুরস্কৃত করেছে।

 

 

;

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের লেজের সারির ব্যাটার ফারাজ আকরাম লড়াই করলেন। ব্যাটিং ধসের পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে রইলেন। টপ এবং মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় জয় তবু অধরাই রইল তাদের। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জয়লাভ করল ৯ রানে। এই জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশের দেয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ওপেনার জয়লর্ড গামবিকে হারায় জিম্বাবুয়ে। সাইফউদ্দিনের বল ক্যাচ তুলে দেন গামবি, ডিপ থার্ড ম্যানে থাকা মাহমুদউল্লাহ সহজ ক্যাচ তালুতে জমিয়ে গামবির বিদায় নিশ্চিত করেন। 

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকেও নিজের শিকার বানান এই সিরিজ দিয়ে ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার বলে ঠিকঠাক শট না খেলতে পেরে বল স্টাম্পে টেনে আনেন এরভিন (৭)।

সাইফউদ্দিনের দুই উইকেটের মাঝে ব্রায়ান বেনেটকে কট এন্ড বোল্ড করেন শরিফুলের জায়গায় একাদশে ঢোকা তানজিম সাকিব। প্রথম ৬ ওভারে ৩৩ রান তুলতেই এই তিন উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

পাওয়ার প্লে’র পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টির বিচারে অসম্ভব কোনো লক্ষ্য না হলেও ১৬৬ রান তাড়ায় একেবারেই ছন্দ খুঁজে পায়নি সিকান্দার রাজার দল।

জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার গতিতে পরাস্ত হয়, মিডল অর্ডার ঘূর্ণিতে। তবে লেজের সারির ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখে জিম্বাবুয়ে। নবম উইকেটে ৫৪ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন ফারাজ এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালিয়ে ফারাজ ১৯ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে সফরকারীরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২৯ রান তুলতেই হারাতে হয়েছে ২ উইকেট। ফর্মহীনতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন লিটন দাস। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে আদৌ দলে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলছে, তখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হাস্যকরভাবে নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন লিটন। মুজারাবানিকে টানা দুইবার স্কুপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েও তৃতীয়বার একই কাজ করার চেষ্টা করে বোল্ড হয়েছেন। ফেরার আগে ১৫ বলে করেছেন ১২ রান।

অধিনায়ক শান্তও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। সিকান্দার রাজার আর্ম বল খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন।

চতুর্থ উইকেটে হৃদয়-জাকের মিলে গড়ে তোলেন ৮৭ রানের জুটি। তাদের জুটিতে লড়াইয়ের রসদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯তম ওভারে মুজারাবানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেছেন হৃদয়। একই ওভারে মুজারাবানির ইয়র্কারে ধরাশায়ী হওয়া জাকের আলি করেছেন ৪৪ রান। তাদের নৈপুণ্য ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

আগামী ১০ মে (শুক্রবার) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;